বাকলিয়া থানার ওসি মো. মহসীন জানান, অপহরণের এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার সকালে পাঁচ বছর বয়সী আনিকা রহমানকে পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তার মামাত ভাই আলী আজম (২৩) এবং তার চার সহযোগী আরিফুল ইসলাম (২৫), সবুজ মিয়া (২০), বাবু (৩০) ও সাইফুলকে (২৯)।
এদের মধ্যে সাইফুল পেশায় ট্যাক্সি চালক। বাকিরা পোশাক কারখানার কর্মী।
ওসি জানান, আনিকা নগরীর বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই ফায়ার সার্ভিস এলাকার আবদুর রহমানের মেয়ে।
আর অপহরণকাণ্ডের ‘মূল হোতা’ আলী আজম সম্পর্কে আবদুর রহমানের আপন বড় বোনের ছেলে।
মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১ অগাস্ট বিকেলে বাসার কাছে খেলার সময় আনিকাকে অপহরণ করে আজমসহ পাঁচজন। পরে আবদুর রহমানের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এক সপ্তাহের মাথায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটিয়ায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী একজনের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, ‘ভাল করে’ ঈদ করতেই তারা শিশুটিকে অপহরণ করে।
ওসি বলেন, “অপহরণের পরিকল্পনা করা হয় জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে। ঈদের খরচ জোগাড় করতেই এই অপহরণ। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।