তোমার অস্তিত্বে সন্দিহান, তবু্ও সদাই তোমায় খুঁজি
খোন্দকার সাহেবের নাচানাচি করিবার শখটা বহু পুরাতন। নাচিবার যোগ্যতার কারণে তিনি বামধারা হইতে সোজা প্যারেড বাহিনীর সর্দারের আস্তিনে ঠাই করিয়া নিয়াছেন। বয়সের কারণে এখন না নাচিলেও পুরাতন অভ্যাসের বশে মঞ্চে ওঠিলে ও বহু লোকের সমাগম দেখিলে এখনও তাহার পা আপনা আপনিই নাচিয়া ওঠে। পায়ের দোলানীতে তাই মাঝে-মধ্যেই তাহার পায়জামাটা খসিয়া পরে। অবশ্য ভক্তজনেরা ওহাকে নীচে নামিতে দেয়না।
নামিতে গেলে ওহাকে পাঞ্জাবীর আস্তিনের সহিত বাধিয়া রাখেন।
মুম্বাইয়ের শাহরুখ আসিবে শুনিয়া খোন্দকার সাহেবের পুরাতন শখটা আবার মাথাচাড়া দিয়া ওঠিল। ওনি প্রতিজ্ঞা করিলেন, যে করিয়া হোক ওনি শাহরুখের সহিত নাচিবেন এবং পায়জামাটা এবার নীচে নামাইবেনই। কিন্তু বিধি বাম। শাহরুখ তাহার যুবতী সখীদিগকে ব্যতিরেকে কাহারো সহিত নাচিতে অস্বীকার করিলেন।
খোন্দকার সাহেবের মন ভাঙ্গিয়া খান খান হইয়া গেল। 'নাচতে না জানলে ওঠান বাকা' প্রমাণ করিতে তিনি এখন শাহরুখ খানের পিছনে লাগিয়াছেন আর তাহার নাচকে বিজাতীয় সংষ্কৃতি বলিয়া গালিগালাজ করিতেছেন।
কিছু কিছু নিন্দুকেরা জানিতে চাহিতেছেন, খোন্দকার সাহেবের এই বোধটা কেন শাহরুখ আসিবার আগে উদিত হয় নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।