যদি মুখে ছালা হয় তাহলে গরম জলের মধ্যে হলুদের পাউডার মিশিয়ে কুলকুচি করুন৷ সেরে যাবে৷
যদি শরীরের কোন অংশ পুড়ে যায় তাহলে জলের মধ্যে হলুদের পাউডার মিশিয়ে লাগান৷ আরাম পাবেন৷
সূর্যের তাপে গা জ্বলে গেলে হলুদের পাউডারের মধ্যে বাদামের চূর্ণ এবং দই মিশিয়ে লাগান৷
সর্দি-কাশি হলে হলুদ খান৷ কাশি কমাতে হলে হলুদের গাঠ মুখে রেখে চুষুন৷ এছাড়া এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে হলুদের গুড়ো এবং গোলমরিচ গুড়ো মিশিয়ে পান করুন৷
আয়ুর্বেদের মতে হলুদ নাকি রক্ত শুদ্ধ করে৷ তাই হলুদের ফুলের পেস্ট লাগালে চর্ম রোগ দূর হয়৷
হলুদ চেহারার সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে৷ হলুদের সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হ্য়৷
হলুদের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, লোহা প্রভৃতি নানা পদার্থ রয়েছে৷ তাই হলুদ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা জন্মায়৷ লিভারের ক্ষেত্রে হলুদ খাওয়া খুবই ভাল ৷
কাচা হলুদ যে কতটা উপকারী তা হয়ত সকলেই জানেন৷ তবে কাচা হলুদ খাওয়ার পাশাপাশি আপনি রান্নাতেও বেশী পরিমাণে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন৷ কারণ হলুদ এর প্রয়োগে আপনার রান্নাটা ভীষণই স্বাস্থ্যকর হয়ে যাবে৷ হলুদের মধ্যে এমন কিছু পদার্থ আছে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে৷শরীরের যন্ত্রনা কমায়৷ এছাড়া আর এতে নানা সমস্যা দূর হয়৷ হলুদ কি সমস্যা দূর করে চলুন তা জেনে নিই৷
কিছুদিন আগেই একটা গবেষণাতে প্রমানিত হয়েছিল হলুন নাকি ক্যান্সার সারায়৷ হলুদের মধ্যে ফিনোলিক যৌগিক কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে৷
আরেকটি গবেষণাতে প্রমানিত হয়েছে হলুদ মোটা হওয়া থেকে বাঁচায়৷ হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা শরীরে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়৷ শরীরের কলা গুলোকে বাড়তে দেয় না৷
গা ব্যথা হলে দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খান আরাম পাবেন৷ জয়েন্টের ব্যথা হলে হলুদের পেস্ট তৈরি করে লেপ লাগান৷
গলায় ব্যাথা হলে কাচা হলুদ আদার সঙ্গে পিষে তার গুড় মিশিয়ে গরম করুন৷ তারপরে সেটা খান গলা ব্যথা কমে যাবে৷
ঘা এর মধ্যে হলুদের লেপ লাগান৷ ঘা তাড়াতাড়ি সেরে যাবে৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।