আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোরকা এবং শর্ট-পোশাক একই উদ্দেশ্যে সৃস্টি???!



আজকের আমাদের সময় পত্রিকার শেষের পাতায় একটি টপিক লিখেছেন এই শিরোনামে। প্রতিবেদক অবশ্য নিজেকে নারীবাদী কলামিষ্ট ফ্রম পাবনা হিসেবে পরিচয়ও দিতে ভুল করেননি। কিন্তু প্রতিবেদনের প্রথমে যে বিষয় নিয়ে উনি তার প্রতিবেদন শুরু করেছিলেন পরবর্তিতে মনে হয় একটু গুবলেট পাকিয়ে ফেল্লেন। যাই হোক বোরকা এবং শর্ট-পোশাক একই উদ্দেশ্যে সৃস্টি কিভাবে এক কাতারে চলে আসল তা নারীবাদী কলামিষ্ট ই ভালোভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। তবে এতদিন জেনে এসেছিলাম যে বোরকা নারীদের পর্দা হিসেবে ব্যাবহার হয়।

প্রতিবেদকের কথামতে এটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আবিস্কার । মেয়েদের শর্ট-পোশাকও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আবিস্কার। আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা ভোগের পণ্য,লোভের বস্তু,আমদের মা,চাচী,খালারা নাকি একবেলা খাবার খেয়ে থাকে,নারী হয়ে জন্ম নেওয়ার অপরাধে খেতে হয় লাথি গুঁতো. .ইত্যাদি। উপরোক্ত প্রতিবেদনে কি আসলেই বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে?সত্যি কি তাই!! এখন দেশের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী অনেকটাই পাল্টেছে। নারীরা এখন অনেক স্বাধীন এবং স্বাবলম্বী এবং তারা অনেক ক্ষেত্রে সচেতনও বটে।

কতিপয় বহুল প্রচলিত গদবাঁধা পার্থক্য বারবার বললেই মনে হয়না যে নারীবাদি হওয়া যায়। পত্রিকাতে যদি গঠন মুলক আলোচনা থাকে তবে তা সকলের জন্যই উত্তম। উস্কানী মুলক লেখনীতে পক্ষের এবং বিপক্ষের উভয় পক্ষই বিভ্রান্ত করতে পারে। আর নিজেকে নারীবাদী কলামিষ্ট হিসেবে উপস্থাপন না করে শুধু কলামিষ্ট হিসেবে উপস্থাপন করলেই কি প্রতিবেদনটা নারীবাদী হতোনা? লিঙ্কটি দেওয়া হলো বোরকা এবং শর্ট-পোশাক একই উদ্দেশ্যে সৃস্টি

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।