আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রেন যাত্রাতে অনিয়ম,বিভ্রান্তিকর অবস্থা ও আরো কিছু কথা।।

নিজের ছাঁয়ার কাছ থেকে পালিয়ে থাকার প্রানান্তকর প্রচেষ্টায় আছি।
বাংলাদেশ রেইলওয়ের ইতিহাস অনেক পুরোনো হলেও সেই তুলনায় তেমন একটা উন্নতির ছোয়া লাগেনি। । সেই ১৮৬২ সালে দর্শনা থেকে জাগিতি পর্জন্ত ৫৩ কিলোমিটার ট্রেইন সড়কের মাধ্যমে যার যাত্রা শুরু তা এখন ২৫৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বিশাল নেটওয়ার্ক। ।

বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়ে জনমনে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও তার খুব কম অংশই পুরন করতে পারছে আমাদের এই পুরনো জরাজীর্ন যাতায়াত মাধ্যমটি। । প্রতি বছর বৃহত সংখ্যার টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে একে। । রেইলওয়ের দুর্নিতী সম্পর্কে জানতে পারি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে।

। সে রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্রকৌশলে পড়ছে। । কিছুদিন আগে তাদের একটি ওয়ার্কশপ ছিলো সৈয়দপুরে। ।

সেখানে অনেক মুল্যবান যন্ত্রাংশ যেখানে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। । যাই হোক আমে এইসব অনিয়মের দিকে তাকাতে চাচ্ছিনা। । আমার চোখে দেখা দুই একটি ছোটো অনিয়মের কথা বলতে আমি আজ ব্লগটি লিখার অবতারনা করলাম।

। #আমাকে খুব ঘন ঘন ঢাকা যেতে হয়। । যেহেতু ট্রেন যাত্রা আরামদায়ক তাই এইটাই আমার প্রথম পছন্দ। ।

কিছুদিন থেকে একটি বিষয় লক্ষ করছি। । তা হলো ট্রেনে টিকেট কেটে উঠছি,কিন্তু যাত্রা পথে ট্রেনের টিকেট দেখা হচ্ছেনা । । টিকেট চেক করা হচ্ছেনা।

। আমার কাছে এখন ৩ টা টিকেট আছে যা চেক করা হয়নি। । যাদের এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা কেন এই কাজটি ঠিকমতো করছেনা আমার অজানা। ।

গতো পর্শুদিন টিকেট চেকার আমার সামন দিয়ে ৪-৫ বার যাওয়া আসা করলো,কিন্তু এক বারের জন্যও টিকেট দেখতে চাইলোনা। । টাকা দিয়ে টিকেট কিনেছি তাই টিকেট দেখাতে হাত নিশ পিশ করছিলো। । তাই আমি বার বার ওই লোকটার দিকে তাকাচ্ছিলাম যখনি উনি যাচ্ছিলেন।

। একবার উনি জিজ্ঞেস করলেন "ভাই কিছু বলবেন"??? আমরা জানি ট্রেন যাত্রা পথে অনেক স্টেশনে থামে। । সেই স্টেশন গুলো থেকে যদি কেউ টিকেট না কেটে উঠে তারা এই অনিয়মের কারনে পার পেয়ে যাবে (হয়তো যাচ্ছেও)। ।

বাংলাদেশ রেলওয়ে এমনিতেই প্রচুর লোকসান গুনছে। । এ অবস্থায় টিকেট না কেটে উঠে পার পেয়ে গেলে হয়তো অনেকেই এইটাকে সুযোগ হিসাবে ব্যাবহার করবে। । যদি কোনোক্রমে টিকেট চেকার টিকেট দেখতে চায়,সে হয়তো তখন ওই টিকেট চেকারের কাছ থেকে টিকেট কেটে নিয়ে পার পেয়ে যাবে।

। এ ক্ষেত্রে আইন অন্ধ থেকে যাচ্ছে। । #আরো একটি অনিয়ম হচ্ছে ট্রেন শিডিউল মতো যাতায়াত করছেনা। ।

গতোবারের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাচ্ছি, আমি সিল্কসিটিতে করে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে আসছিলাম,আমাদের ট্রেইন সঠিক সময়ে আব্দুলপুর জংশনে পৌছালো। । কিন্তু সেই খানে ৩০ মিনিট দেরি করতে হলো কারন কিছুক্ষন আগে একটি লোকাল ট্রেন আব্দুলপুর থেকে রাজশাহীর দিকে রওনা দিয়েছে। । সঠিক সময়ে আব্দুলপুরে পৌছানোর পরেও আমাদের ট্রেন কে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হলো একটা লোকাল ট্রেন তার শিডিউল মিস করার জন্য।

। এই সিল্কসিটিতেই গতবারের আগেরবার আমার যাত্রা সময় ২.৪০ হলেও ট্রেইন ছেড়েছিলো সন্ধ্যা ৬.৪৫ এ। । বোঝেন অবস্থা !!! !!! এই রকম দুর্ভোগ আরো অনেক আছে (টিকেট কেনার সমস্যা,খাবার ক্যন্টিনের খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন... ... ...)। ।

কবে যে এসবের সমাধান হবে,আদৌ হবে কিনা তাও আমাদের জানা নেই। । তবে বাংলাদেশীরা আশা করতে ভালোবাসে। । আমরা আশা করি কোনো একদিন হয়তো আমাদের ট্রেইন ও উন্নত বিশ্বের মতো একটি নির্ভরযোগ্য যাতায়াত মাধ্যমে পরিনত হবে।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.