বছর ঘুরে আবারো কনকনে ঠান্ডা দিনগুলো ফিরে এলো। পেঁজা তুলোর মত বরফ পড়ে সবকিছু আজ শুভ্র সাদা। গাছগুলো অনেক আগেই তাদের পাতা হারিয়েছে, এখন তাদের কালো-খয়েরী ডালগুলোও ঢাকা পড়লো তুষারের নিচে – সাদা, নরম বরফ যা হাতে নিতেই গলে যায়।
জানি প্রাকৃতিক নিয়মে আকাশ থেকে বরফ ঝরে কিন্তু প্রতিবারই মুগ্ধ চোখে দেখি, কারণ দেখে বিশ্বাস হয়না। বরফ কনা যখন জমাট বেঁধে মাটিতে নেমে আসে, তাদের আকৃতি দেখে মনে বিস্ময় জাগে।
প্রত্যেকটি কনার কি আশ্চর্য সুন্দর আকৃতি – ইংরেজীতে যাকে স্নো ফ্লেইক বলে।
বাসার সামনে দাঁড়ানো গাড়ীগুলোর সত্যিকারের রঙ কি তা আজ কেউ বলতে পারবে না। গতকালের লাল, নীল, কালো, রুপালী গাড়ীগুলো আজ সাদা। মনে হচ্ছে পৃথিবীকে কেউ আজ একটিমাত্র রঙে রাঙিয়েছে। শিল্পীর প্যালেটে রঙ ছিল সাদা, শুধুই সাদা।
আশেপাশের বাড়ীগুলোর ছাদ ঢাকা পড়েছে তুষারের নিচে, দেখে মনে হয় পুতুল বাড়ী।
এক কাপ ধোঁয়া উড়ানো চা খেলাম কিছুক্ষন আগে। চোখ ছিল জানালায় – দেখছিলাম তুষারের অবিরাম, ক্লান্তিহীন খেলা, পৃথিবীকে সাদা চাদরে ঢেকে দেয়ার এক প্রাচীন খেলা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।