আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বন্ধুরা : সহযোগিতা করছে বিএসএফ

সময় বয়ে চলে তার আপন গতিতে

সিলেটের তামাবিল সীমান্তে বিএসএফের সহযোগিতায় ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিডিআর বাধা দিলেও সে বাধা মানছে না তারা। বিডিআর পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালেও বিএসএফ তাতেও সাড়া দিচ্ছে না। বরং তাদের ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকতে বলেছে। বিডিআর অগত্যা হ্যান্ডমাইক দিয়ে ভারতীয়দের ধান কাটতে নিষেধ করছে।

কিন্তু বিএসএফ তাতে কর্ণপাত করছে না। এদিকে ওপর থেকে নির্দেশ না পাওয়ায় বিডিআরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না এর বিরুদ্ধে। নিজেদের জমির ধান অন্যরা কেটে নেয়া সত্ত্বেও কিছু করতে না পারার ক্ষোভ ও আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সীমান্তের কৃষকরা। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সীমান্তে আমস্বপ্নপুর এলাকায় ১২৭৭নং পিলারের কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভারতীয় ১০/১২ জন নাগরিক সীমান্তের ১৫০ গজ ভেতরে ঢুকে ধান কাটতে থাকে। এ সময় টহলরত বিডিআর তাদের ধান কাটতে বাধা দেয়।

তখন ভারতীয় নাগরিকরা ধান কাটা বন্ধ করে ওপারে চলে যায়। আবার ৯টার সময় ৫০/৬০ জন বিএসএফসহ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক ধান কাটতে নামে। এ সময় তামাবিল বিডিআর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইউনুসের নেতৃত্বে একদল বিডিআর মিট পতাকা নিয়ে ধান খেতে নামে। বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিডিআরকে সরে যেতে বলে। বিডিআরও তাদের বাংলাদেশের ভূমি ছেড়ে ওপারে চলে যেতে বলে।

বিএসএফ বিডিআরের কথায় কর্ণপাত না করে ভারতীয় নাগরিকদের ধান কাটতে সহযোগিতা করে। সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত ১০/১২ জন ভারতীয় নাগরিক ধান কাটে। কিছুক্ষণ বিরতির পর আবার ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১ একর জায়গার ধান কেটে নিয়ে যায় তারা। এলাকার কৃষক আবদুর রব, আবদুর রশিদ ও রফিক মিয়া জানান, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের ১৫০ গজ ভেতরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বিডিআরের সামনেই ভারতের নাগরিকরা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিডিআর শুধু হ্যান্ডমাইক দিয়ে চলে যাওয়ার কথা বলছে।

কিন্তু ভারতীয়রা বিডিআরের কথা শুনছে না। শক্ত কোনো পদক্ষেপ না নিলে ভারতীয়রা আমাদের এলাকায় থাকতে দেবে না। আমাদের ফসলাদি নিয়ে যাবে, কখন যে আমাদের ঘরবাড়িও দখল করে নেবে, এই আতঙ্কে আছি। ’ এলাকার ওহাব আলী, নূর মিয়া ও আবদুল খলিল জানান, দিনের বেলা ভারতীয় নাগরিকরা ধান কেটে নিয়ে যায়, রাতে সার্চলাইট জ্বালিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। গত রাতে কয়েক গাড়ি বিএসএফকে রংহংকং ক্যাম্পে আসতে দেখা যায়।

রাতভর বাংকার খনন করতে থাকে তারা। দিনের বেলায়ও বিএসএফকে দলে দলে মহড়া দিতে দেখা যায়। বিএসএফের মহড়া ও অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখে এলাকাবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। অনেকেই ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে। বিডিআর এর সত্যতা স্বীকার করেছে।

তারা সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে জানায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।