আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাগরিকত্ব পরীক্ষায় ফেলের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে



নাগরিকত্ব পরীক্ষায় ফেলের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নতুনদেশ ডটকম কানাডার নাগরিকত্ব পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গেছে। গত মার্চে নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হ্ওয়ার পর থেকেই অভিবাসীরা নাগরিকত্ব পরীক্ষায় খারাপ করতে থাকে। এক বছর আগে নতুন নাগরিকদের কানাডার আইন, রাজনীতি, সমাজ এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারণা দিতে নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ১৯৯৫ সালে প্রণীত একটি বইয়ের তথ্যের উপর নাগরিকত্বের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতো। ওই নিয়মে চার থেকে আট শতাংশ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হতো।

কিন্তু নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি চাল হওয়ার পর অকৃতকার্যের হার ৩০ শতাংশে উঠে পড়ে। নাগরিকত্ব প্রত্যাশীদের জট তৈরি হয়ে যাওয়ার আশংকায় কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেন। গত ১৪ অক্টোবর থেকে পরিমার্জিত পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়। এতে অকৃতকার্য হওয়ার পরিমাণ কমলেও তা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়নি। পরিমার্জিত পদ্ধতিতে অকৃতকার্যের হার ২০ শতাংশ।

সরকারের নীতি নির্ধারকরা এই হারকেও উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন। নতুন এবং পুরনো দুই পদ্ধতিতেই ২০টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর (মাল্টিপল চয়েস) বাছাই করতে হয়। এর জন্যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে ৩০ মিনিট। ইংরেজী এবং ফ্য্রান্স ভাষায় এই পরীক্ষা দেওয়া যায়। গত বছরের মার্চ মাসে প্রবর্তিত নতুন পদ্ধতিতে পাশ নম্বর ধরা হয় ৭৫ শতাংশ।

অর্থ্যাৎ ২০টির মধ্যে অন্তত ১৫ টি উত্তর সঠিক হতে হবে। পূরনো পদ্ধতিতে পাশের নম্বর ছিলো ৬০ শতাংশ । অর্থ্যাৎ ২০টির মধ্যে ১২টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হতো । নিয়ম অনুসারে নাগরিকত্ব পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের সিটিজেনশীপ জাজের কাছে পাঠানো হয়। সেখানে একজন জজের সামনে তারা যে নাগরিকত্বের যোগ্য তার প্রমাণ দিতে হতো।

২০০৮-০৯ সালে প্রায় ১০ হাজার অকৃতকার্য ব্যক্তিকে জজের কাছে পাঠানো হয়। এতে দেখা দেয় নতুন বিপত্তি । সিটিজেনশীপ জাজদের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের পেছনে প্রচুর সময় দিতে হয়। শেষ পর্যন্ত গত অক্টোবর মাসে পরীক্ষা পদ্ধতির আরেক দফা পরিবর্তন করে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের পূণরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করা হয়। প্রশ্নপত্র্ও সহজতর করা হয়।

কয়েকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর এর বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়। নাগরিকত্ব পরীক্ষায় অকৃতকার্যের হার বেড়ে যাওয়া নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারকদের পাশাপাশি এ নিয়ে রাজনীতিতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিরোধীদলগুলো অভিযোগ করছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ সরকারের অভিবাসন বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নাগরিকত্ব পরীক্ষাকে কঠিন করে ফেলা হয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন এ- সিটিজেনশীপ মন্ত্রী জেসন কেনি বলেছেন, ব্যাপক প্রতারনার কারনে আগের পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হয়েছে। পূরনো পরীক্ষা পদ্ধতিতে পাচটি স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্নপত্র ছিলো যা আসলে কিনতেই পাওয়া যেতো।

নতুন নিয়মে নাগরিক হবার আগে নাগরিকত্বপ্রত্যাশীকে দেশের ঔতিহ্য সংস্কৃতি, সমাজ ও রাজনীতি সম্পর্কে জানত হবে। http://www.notundesh.com/shirshokhobor.html

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.