যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয় স্বপ্নের দেশ। বিশ্বের বহু মানুষের স্বপ্ন থাকে আমেরিকার নাগরিকত্ব অর্জনের। আর সেই আমেরিকানরাই কিনা দেশটির নাগরিকত্ব ছেড়ে অন্য দেশের নাগরিক বনে যাচ্ছেন!
বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত খবরে এমনটিই জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, কার্যকর হতে যাচ্ছে এমন একটি নতুন আয়কর আইনের বিধিবিধানে হতাশ হয়ে অনেক মার্কিন নাগরিক এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশটির এক হাজার ১৩১ জন প্রবাসী মার্কিন নাগরিকত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
এর আগের বছরের এই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৮৯।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নিবন্ধকের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রবাসী মার্কিন নাগরিকদের একটি অংশ তাদের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিতে চায় সম্ভবত করের কারণে। আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর বৈদেশিক হিসাব ও করসংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছে, প্রবাসী কোনো মার্কিন বছরে ৫০ হাজার ডলারের বেশি আয় করলে যাবতীয় সম্পদ ও আয়ের বিবরণী মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সার্ভিসকে জানাতে হবে। প্রবাসী মার্কিন নাগরিকদের কাছ থেকে অনাদায়ি আনুমানিক ১০০ বিলিয়ন ডলার আদায় করার লক্ষ্যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ নিয়েছে। যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেন তাঁদের পাশাপাশি বিদেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের কাছ থেকেও কর আদায় করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন নাগরিক বিবিসিকে জানান, তিনি ২০১১ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। তিনি বর্তমানে স্ক্যান্ডিনেভিয়াভুক্ত একটি দেশে বাস করছেন। তিনি জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রে করের অর্থ পরিশোধের কারণে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। কারণ, তিনি বর্তমানে যে দেশে বাস করেন সেখানে বেশ মোটা অঙ্কের কর পরিশোধ করতে হয়। এরপর আবার কর আদায়ে নতুন আইন পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
থুন ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইসরসের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড কুইনজি বলেন, ‘কর পরিশোধকারীদের দলে আমি। তবে নতুন আইনের বিধান মেনে চলা খুবই ব্যয়বহুল হবে। অনেক প্রবাসী বছরে চার থেকে পাঁচ হাজার ডলার কর দেন; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো ধরনের সেবাই তাঁরা নেন না। ’
নতুন আইন বাস্তবায়নের ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ। আন্তর্জাতিক করসংক্রান্ত বিভাগের উপসহকারী মন্ত্রী রবার্ট স্টেক ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলেন, দেশে-বিদেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের নতুন আইন অনুযায়ী কর দিতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।