চুপ!
মৌমাছি মৌমাছি
কোথা যাও নাচি নাচি
ব্লগীয় ফটোওয়াক ১
আমার তখন কাজের চাপে মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা, টেনশনে রাতে ঘুমও হয় নাই ঠিকমতো; ঘুমাইতে গেলাম ভোরবেলায় আর সূর্য উঠতে না উঠতেই গুরুজীর ফোন- ভাবলাম ভালোই হলো, সক্কাল সক্কাল ঘুম ভাঙ্গল এখন আবার কাজে বসি। কিন্তু না সে কেবল শুরুম্ভ ছিল- পালাক্রমে রাষ্ট্রপ্রধান আর গুরুজী ফোন দিয়ে ডিউটি করে গেলেন। মুন্ডু গরম করে ফটোওয়াকে যাওয়ার জন্যে নয়, ওদের উপর ভুলে যাওয়া কারাতে একটু প্র্যাকটিস করতেই গেসলাম ছবির হাটে। লজ্জিত হলাম সবাইকে অপেক্ষা করতে দেখে, সবাই রেডী- আরো কয়েকজন মিলিত হবে নির্ধারিত স্পট- বলধা গার্ডেনে। রিকশায় হানীর সাথে গল্প করতে করতে গেলাম, আমার ১৮-৫৫ লেন্স আর বলধা গার্ডেনের টাইনি অবজেক্ট ভাবতেই গরম মুন্ডু আরো গরম হয়ে গেল; আলসেমী করে লেন্স কিনি নাই কেন ভেবে নিজেকেই খুন করতে ইচ্ছে করছিল।
আমি কেবল আমার কথাই বলছি কারণ ইতোমধ্যেই অনেক রোমহর্ষক এবং আমোদপ্রদায়ক অনেক গল্প পেয়ে গেছেন আপনারা, আমি মুগ্ধ গরম কফির উপস্থাপনা আর কালপুরুষ দা এর লেখার ঢং দেখে, ভালো লাগল বিদ্যাসাগর আর গুরুজীর তোলা ছবি। নতুন কিছু লেখার সাধ্যি নেই, আচ্ছা আবার আমি আমার কথায় ফিরে যাই- সকাল বেলা নাস্তা না করা (মাইরি চা টাও জোটে নি!) আগুন জ্বলা পেট নিয়ে ঢুকলাম বলধা গার্ডেন নামক প্রেম কাননে। আমি ভালো মেয়ে, তাই আশেপাশে না তাকিয়ে সোজা চলতে গিয়ে দেখি ছবি তোলার অবজেক্টও মিস করে যাচ্ছি। তাই সবাই যে শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছিল আমিও সেই অপহৃতকেই আপন করে নিচ্ছিলাম।
প্রজাপতিটা যখন তখন
এই নিরীহ পোকাটাও মুক্তি পেল না!
বৃত্তবন্দী একে ঘায়েল করতে এগিয়ে গেলে আমিও পেছপা হলাম না।
ঝরা পাতা
এর মাঝেই আসল আমার সুপারভাইজারের ফোন; সন্ধ্যার মধ্যেই রিসার্চের কিছু লেখা তাকে মেইল করতে হবে- পেটের আগুন তখন মাথায় জ্বলা শুরু করল আর এর পর কী ঘটল আমার মনে নেই; কপাল টপাল কুঁচকে কী ছবি তুললাম জানি না, কিছুতেই মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না।
আবারো ফুল
ফুল-২
ফুল-৩
কাঁটা
কাঁটা ছাড়া ফুল লাভ হয় কি মহীতে!
ঘুরতে ঘুরতে এক জায়গায় দেখলাম অনেক প্রজাপতির উড়াউড়ি আর তাদের পেছনে ক্যামেরা হাতে সকল ব্লগারের ঘুরাঘুরি, একটা হলুদ প্রজাপতির পেছনে অনেক ছুটলাম কিন্তু পারলাম না ধরতে, তাই হলুদ ফুলে বসা নিরীহ পোকাকেই ক্যামেরাবন্দী করতে হলো। মাছিরাও বাদ গেল না।
পোকা
পোকা- ২
মাছি
মৌমাছি-২ (আমার সবচেয়ে ভালো লাগা ছবি )
একটু শান্তি পেলাম স্টার এর জম্পেশ খাওয়ার পর আর তার জন্যে কালপুরুষ দা এর ম্যানেজমেন্ট ও ফালু দার প্রতি কৃতজ্ঞতা!তিন-চারদিন পর ছবি নামালাম ক্যামেরা থেকে, ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে ক্রপিং চালালাম! কী করব- ১৮-৫৫ লেন্স বলে কথা! এখন কাজে ফাঁকি দিয়ে শেয়ার করছি আপনাদের সাথে, নইলে যেন ব্লগীয় ওয়াকটা কোথাও অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে! ইস্পেশাল ধন্যবাদ গুরুজীকে, পিচ্চিটা চাপাচাপি না করলে সৃষ্টিকর্তার এমন অদ্ভুত সৃষ্টির সৌন্দর্য এত কাছ থেকে দেখা হতো না!
ঝুলছে ফুল
ঝুলছে ফল
ঝুলছে পাতাও
কিছুদিন আগে ঢাকা ভার্সিটিতে ছোট্ট এক ফটোওয়াক হয়েছিল- ক্যামেরাম্যান, বৃত্তবন্দী আর আহাদিলের সমন্বয়ে। তিন নেতার মাজারে তোলা এই ছবিটি সেই মহান নেতাদের জন্যে উৎসর্গীকৃত।
শ্রদ্ধার্ঘ্য
ছবিগুলোর অপেক্ষাকৃত বড় ভার্সন দেখতে ক্লিক করুক......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।