একটি অনিয়মিত লিটল ম্যাগাজিন
প্রতারনার আরেক নাম গ্রামীন ফোন! আপনি কি অবাক হচ্ছেন। যে দেশে ২ কোটিরও ওপরে মানুষ ব্যবহার করে। যার উপর নির্ভর করে দিন রাত যোগাযোগ করে থাকে আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ প্রয়োজনীয় কাজে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে। সে খানে কি ভাবে একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন থেকে প্রতারানা করে টিকে আছে। আছে তাদের এখন খুঁটির জোর অনেক।
আজ শুধু প্রতারনার একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। পরে অন্যান্য বিষর পর্যায়ক্রমে তুলে ধরব। আমি দীর্ঘদিন থেকে গ্রামীনের ইন্টারনেট পাকেজ ব্যবহার করে আসছি। গত ১৩ নভেম্বর রাতে আমি একটি বিশেষ কাজে গাইবান্ধা বেড়াতে যাই। আমি সাধারনত মডেম দিয়ে পিসিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করি।
বাহিরে যাওয়ার জন্য মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজের সিম টা উঠাই। রাতে আমি ফেসবুকের বন্ধদের সাথে শেয়ার করে যখন ঘুমাতে যাচ্ছি। ঠিক তার পূর্ব মহুর্তে হ্যন্ড সেট থাকায় পি-৬ প্যাকেজের অবশিষ্ট মেগাবাইট দেখলাম। অবশিষ্ট আছে ৭৯১ মেগাবাইট। সাধারনত মডেমে থাকলে এটা দেখা হয় না।
পরদিন সকালে আমি নেট ব্রাউজ করার জন্য ঢুকলে দেখি কিছুক্ষন ব্রাউজ হবার পর আর কাজ করছে না। এর আমি ব্যালেন্স দেখে বুজলাম আমার একাউন্টে থাকা টাকা শেষে আর কাজ করছে না। নেট প্যাকেজ ব্যালেন্স শূন্য। হেল্প লাইনে কল করলাম। একজন কষ্টমার ম্যানেজার জানালো আপনার প্যাকেজ শেষ হয়েছে।
আপনার কোন অবশিষ্ট মেগাবাইট নেই। আমি বললাম এট হতেই পারে না। এক রাতে কোন ভাবেই শেষ হতে পারে ন। তিনি আমাকে পরামর্শ দিলেন, নিকটস্থ কাষ্টমার কেয়ারে গিয়ে কি ভাবে আমার প্যাকেজটা ব্যয় হয়েছে তার বিবরন নিতে। অনেকটা বাধ্য হয়ে সময় সল্পতার মধ্যেও আমি গাইবান্ধা গ্রামীন ফোন কাষ্টমার কেয়ারে গেলাম।
ওই খানে এক কাষ্টমার ম্যানেজার আমার হ্যান্ড সেট তার হাতে নিয়ে জানালো আপনি তো এখনও অনলাইনে আছেন। আপনার তো শেষ হবেই। তার পরও যদি আপনি বিশ্বাস না করেন তবে ১১৫ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করে যান। আমরা আপনার মাসিক ইন্টারনেট ব্যবহার জানিয়ে দিব। তবে ১ সপ্তাহ সময় লাগবে।
আমার মাঝে জেদ চেপে বসল। আমি তারপরও রাজি হলাম। কিন্তু কাষ্টমার ম্যানেজার ঝামেলা শুরু করলেন, আমি ১০ বছর থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। আমি আপনাকে বলছি তা পছন্দ হচ্ছে না। তার সাথে এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হলো।
যদি তিনি একজন কাষ্টম্যার ম্যানেজার হিসাবে ভাল ব্যবহার করলেন না। তারপরও আমি টাক বের করে দিতে চাইলাম। আমার ভাগ্নে যার বাসা গাইবান্ধা। ওকে বললাম তুমি আমার ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিসংখ্যানটা তুলে নিয়ে যেও। ৩৪৫ টাকার প্যাকেজে যদি বেশী টাকাও খরচ হয় তাও করব।
তবে অবশিষ্ট মেগাবাইট আমি নিব। কাষ্টমার ম্যানেজার এবার নিয়ম বের করলেন। আমি যে ওই সিমের মালিক তার তো প্রমান নেই আমার কাছে। আমাকে সিম ক্রয়ের কাগজপত্র দেখাতে হবে। আমি তো বেড়াতে গেছি।
সঙ্গে কাগজপত্র থাকার কথা নয়। অনেকটা নিরাস হয়ে ফিরলাম। এবার ১২১ এ কল করার পালা। কয়েকজন কাষ্টমার ম্যানেজারের সাথে কথা বললাম। সবার এক কথা।
আমি ইন্টারনেট স্পেশাল টিমের সাথে কথা বলতে চাইলাম কিন্তু তারাও নিজেদের স্পেশালিষ্ট বলে আমাকে পাত্তা দিলো না। অবশেষে বিকালে একজন কাষ্টমার ম্যানেজার পেলাম তিনি আমাকে ইন্টারনেট স্পেশালিষ্টের সাথে যোগাযোগের সুযোগ করে দিলেন। ইন্টানেট স্পেশালিষ্ট আমাকে আশ্বাস্থ করলেন। আমি নোট করে রাখছি। আপনি রাতে একবার কল করে জেনে নিবেন।
এ ভাবে ৩ দিন দফায় দফায় কল করেছি। ৩৪৫ টাকার পি-৬ প্যাকেজের জন্য আমার তিন দিনে অনেক টাকা খরচ করতে হলো। তার পর ওদের সাথে চ্যালেন্স করে ১৬ নভেম্বর ৭৯১ মেগাবাইট ফেরত পেয়েছি। যদি আমি জেদ করে না বসতাম তা হলে কখনও অবশিষ্ট মেগাবাইট পেতাম না। মডেমে ব্যবহার করলেও হয়তো ছিড়ে দিতাম।
হয়তো ভূল করে কিছু ডাউন লোড হয়েছে। এ ভাবে যে কতজন গ্রামীনের ইন্টানেট প্রতারনার শিকার হয়েছে বলতে পারেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।