আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতারনার আরেক নাম ফ্যান্টাসি কিংডম


ঈদের ছুটিতে বাসার পিচ্ছি পোলাপাইন নিয়া কোথায় যে ঘুরতে যাবো ঠিক করতে পারছিলাম না। শেষে পোলাপাইনের ব্যপক ইচ্ছায় ৫/৬ তম বারের মত ফ্যান্টাসি কিংডম গেলাম। গিয়া দেখি হায়রে লাইন প্রথম লাইন হইলো গাড়ি পার্কিং করার লাইন। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে গাড়ি পার্কিং করতে হলো আর এই লাইনের কারন হলো কর্তৃপক্ষ লাইনে দাড় করিয়ে ৬০ টাকা গাড়ি প্রতি পার্কিং ফি আদায় করছে। বাংলাদেশে আর কোন যায়গায় এত টাকা পার্কিং ফি আছে কি না আমার জানা নাই।

তারপর গেলাম ওয়াটার ওয়ার্ন্ড এর টিকিট কাটতে মোটামুটি ১ ঘন্টা দাঁড়ালাম টিকিটের জন্য। টিকিটের দাম আবার আকাশ ছোঁয়া জনপ্রতি ৪৯০ টাকা। এতগুলো টাকা একসাথে দিতে খারাপ লাগছিলো তবুও এই ডাকাতদের হাতে অনেক গুলো টাকা দিয়ে ৯ টা টিকিট কাটলাম। এদের বালের নিয়ম করছে খাবার বাহির থেকে আনা যাবেনা আরে বাপ তোদের এসব খাবার আমার ভাল নাও লাগতে পারে এই জন্য কি আমি বাহির থেকে খাবার আনবোনা । বাচ্চার জন্য পায়েস রান্না করে নিয়েছিলাম এই খাবার নিয়াও গেট এ ফাইজলামী শুরু করছে পরে একটা গালি দিলাম সিকিউরিটি কে ।

ঢুকে দেখি আল্লাহ এ কী হাজার হাজার মানুষ। তিল ধারনের ঠাঁই নাই। সব জায়গার তো একটা ধারন ক্ষমতা আছে। এদের ধারন ক্ষমতা যে অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে তা বুঝা যায় সহজেই। তারপর ও লোক ঢুকাচ্ছে হাজারে হাজারে।

পানিতে নামতেই মনে হলো যেন ড্রেনের পানিতে নামলাম। কারন ইতিমধ্যে সব লোক মুত্র ত্যাগ করে পানির বরকত বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুনে। আমার একবার ডিজনী ওয়ার্ল্ড এ যাবার সুযোগ হয়েছিলো তখন দেখেছি পানিতে কেউ পেশাব করলে অম্ল ক্ষার রিএকশন এর কারনে সেখানকার পানি নীল হয়ে যেতো ফলে লজ্জায় কেউ এ কাজ করতোনা । কিন্তু এখানে কিছুই সে রকম নাই খা বাঙ্গালী পয়সা দিয়া মুত খা। দর্শনার্থী যারা আছে তারা খুবই উসৃংখল ইভ টিজিং সাধারন ব্যপার এদের কাছে।

কিছুক্ষন পর পর একপার্টি আরেক পার্টির সাথে মারামারি করছে। আর চান্স খুঁজছে কিছু পোলাপাইন কিভাবে মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া যায়। মানুষ বেশি আর খাবারের দাম আয়ত্তের বাহিরে। এর মধ্যে দেখলাম একটা ছেলেকে অনেক লোক মিলে ধাওয়া করে মার দিচ্ছে। পুলিশ নির্বিকার।

আমি এসব দেখে বাচ্চা কাচ্চা নিয়া জান নিয়া ভাগলাম। মনে মনে বললাম এই পার্কের কর্তপক্ষের মুখে আমি মুতি। বাংলাদেশে বিনোদনের তেমন কোন ব্যবস্হা নাই বলে এই কুত্তার বাচ্চা গুলো মানুষকে লুটে খাচ্ছে আর সরকার এ ব্যপারে নির্বিকার। আর উচ্চবাচ্চ কখনোই সরকারের প্রশাসনের আমলা বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীরা করবোনা কারন এদের মুখে টাকার বান্ডেল ডুকাইয়া দেয়া হইছে। এইসব পার্কের মালিক আর সরকারী দায়িত্ব প্রাপ্ত লোকদের উপর আল্লার গজব পড়ুক ।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.