© ২০০৬ - ২০১১ ত্রিভুজ
পত্রিকায় একটা খবর পড়লাম যার গুরুত্বপূর্ন অংশগুলো কোট করা হলো-
---
ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এবার ইমামদের সামনে অশ্লীল ব্যালে নৃত্য পরিবেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এবার অশ্লীল ব্যালে নৃত্য পরিবেশন করা হয়েছে প্রশিক্ষণরত ইমামদের সামনে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে গতকাল আগারগাঁও কার্যালয়ে এ নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
আগারগাঁও ফাউন্ডেশন অফিসের সপ্তম তলার হলরুমে যখন সারা দেশ থেকে আগত বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সামনে এ অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করা হয়, ইমামরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজালের নির্দেশে এ নৃত্য পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে বোর্ড অব গভর্নরসের অনেক সদস্য উপস্খিত ছিলেন।
...
নৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্খিত কয়েকজন ইমাম জানান, ঠিক যখন জোহরের আজান শুরু হয় তখন ডিজি অনুষ্ঠান ঘোষককে নির্দেশ দেন এবার ব্যালে ড্যান্সের ঘোষণা দাও। আজান চলাকালে নাচ শুরু হলে কয়েকজন ইমাম আপত্তি জানালেও থামেনি দু’জন তরুণ-তরুণীর অশ্লীল নৃত্য।
....
....
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইমাম জানান জীবনে এমন ঘটনার মুখোমুখি হবো তা কল্পনাও করিনি। ইসলামি একটি প্রতিষ্ঠানে ইমামতির প্রশিক্ষণ নিতে এসে উলঙ্গ অশ্লীল নাচ দেখতে হবে তা চিন্তারও অতীত। হাত ধরাধরি করে বুকে বুক মিলিয়ে যে অশ্লীল নৃত্য করেছে তা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজালের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকার করেন। এরপর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পিআরও আনোয়ার কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০ জনের একটি টিম শিক্ষা সফরে আসে ফাউন্ডেশনে। তাদের বাংলাদেশের একটি কালচারাল অনুষ্ঠান দেখানো এবং তাদের পক্ষ থেকে আমেরিকান কালচার বিষয়ে একটি অনুষ্ঠান উপস্খাপনের কর্মসূচি ছিল। সে অনুযায়ী প্রথমে আমাদের হামদ নাত শেষে তাদের কালচারাল প্রোগ্রাম শুরু করতে বলা হয়। তারা প্রথমে একটি গান পরিবেশন করে।
এরপর ব্যালে ড্যান্স শুরু হলে আজান শুরু হয় এবং অনুষ্ঠান বìধ করে দিয়ে তাদের লাঞ্চের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ইমামদের জন্য ব্যালে ড্যান্স পরিবেশন কতটা শোভনীয় এ প্রশ্নের জবাবে পিআরও আনোয়ার কবির বলেন, অনুষ্ঠানের সূচিই ছিল আমরা আমাদের অনুষ্ঠান দেখাব, তারা তাদের কালচার দেখাবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আমেরিকার কালচার দেখানো কতটা শোভনীয় এ প্রশ্নের জবাবে অপ্রাসঙ্গিকভাবে আনোয়ার কবির বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য করে বলেন, খালেদা জিয়া তো মদ খায়। খালেদা জিয়া মদ খায় আপনি দেখেছেন? জানতে চাইলে থতমত খান পিআরও।
অনুষ্ঠানে উপস্খিত একাধিক ইমাম জানান, পিআরও’র এই বক্তব্য মিথ্যা।
তারা পুরো নৃত্য পরিবেশন করেছে। এরপর ডিজি তাদের পুরস্কার প্রদান করেছেন। ছেলেমেয়ে প্রত্যেকের সাথে দীর্ঘ সময় নিয়ে করমর্দন করেছেন। তাদের অনুভূতি জানতে চেয়েছেন।
সূত্রঃ
নয়া দিগন্তঃ Click This Link
মানবজমিনঃ Click This Link
---
বিষয়টা পর্যবেক্ষন করে এটা বেশ পরিষ্কার যে, কাজটা ইচ্ছে করেই করা হয়েছে।
কোন মন্ত্রনালয় থেকে অনুমতি ছাড়া সরকারী একটা সংস্থায় এধরনের প্রোগ্রাম করা সম্ভব না, বিশেষ করে যেখানে বিদেশি এতগুলো লোক ছিলো। এদের সিকিউরিটির ব্যবস্থার জন্যও অনেক কিছু করা হয়েছে। সুতরাং বিষয়টা শুধু ইসলামি ফাউন্ডেশনের ডিজির কাজ না, কাজটার জন্য পুরো সরকার এবং তাদের প্রশাসন দায়ী।
প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মত একটি যায়গায় ইমামদের সামনে অশ্লীল ব্যালে নৃত্য পরিবেশন করা কতটা জরুরী ছিলো? সেক্যুলার হওয়ার জন্য আর কি কি কার্যক্রম হাতে নেয়া জরুরী?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।