বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন] গত ৩০শে জুলাই তুরস্কের সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান একযোগে পদত্যাগ করেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লিপ্ত কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার পদোন্নতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তুর্কি সরকারের সঙ্গে বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারা পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এরদোগানের নেতৃত্বাধীন একেপি পার্টি টানা তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হয়ে তুরস্কের কুখ্যাত ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান সংশোধনের পথে এগিয়ে চলছে।
আর এই পথে প্রধাণ অন্তরায় তুরস্কেরই সেনাবাহিণী। সংবিধানে সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে মদ্যপ কামালের অনুসারী এই কুখ্যাত সেনাবাহিনীর রয়েছে বিরাট ভূমিকা। তুরস্কে ইসলাম বিদ্বেষী ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ রক্ষার অজুহাতে সেনা বাহিনী ৬০, ৭০ ও আশির দশকে রাজনৈতিক অঙ্গনে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে এবং ৯০এর দশকে ইসলামপন্থীদের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নাজমুদ্দীন আরবাকানকে অপসারণ করে।
তবে আশার কথা গত এক দশকে তুরস্কের রাজনীতিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে তুরস্কের জাস্টিস এণ্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) টানা তৃতীয় বারের মত ক্ষমতায় আসার পর এই কুখ্যাত সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান করার ক্ষমতা হারিয়েছে, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অপরাধে ৪২ জন শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা এবং কয়েক ডজন জুনিয়র অফিসার বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
শুধু তাই নয়, সংবিধান সংশোধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ক্ষমতাও এখন আর তাদের নেই বলেই মনে হচ্ছে। তাই বোধহয় পদত্যাগ করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোন পথই খোলা নেই।
তুরস্কের আকাশ বাতাসে আজ ধ্বণিত হচ্ছে সেক্যুলারিজমের পতন ঘন্টা। প্রধানমন্ত্রী এরদোগানের যোগ্য নেতৃত্বে তুরস্ক এগিয়ে চলছে সংবিধানকে পবিত্র করার লক্ষ্যে, সেনাবাহিণীর উপর থেকে মদ্যপ কামালের ছায়াকে দূর করা লক্ষ্যে। পরম করুণাময়ের কাছে আমার আকুল আবেদন, তুরস্ক থেকেই যেন শুরু হয় সেক্যুলারিজমের বিলুপ্তির পথে যাত্রা, তুরস্ক থেকেই যেন শুরু হয় খিলাফাতের নবযাত্রা।
তথ্যসুত্রঃ
www.amardeshonline.com
bangla.irib.ir ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।