আমি একজন নিরিহ মানুষ
থিউরি অব ডিজিটাল কান্ট্রি
তাহমীদ আবরার
আবির তার মানি ব্যাগ থেকে একটি সবুজ রঙের কার্ড বের করে কার্ড রিডার মেশিনে প্রবেশ করানোর সাথে সাথেই তার বায়োডাটা বেরিয়ে আসল। নিজের ছবি, নাম, ঠিকানা, পিতা/মাতার ছবিসহ নাম ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ, জন্মস্থান, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় ইনফরমেশন। আবিরের বয়স ২১ বছর। সে ড্যালিয়েন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী বিভাগের স্নাতক শ্রেণীর শেষ বর্ষের ছাত্র। ছাত্র বলেই তার কার্ডটি সবুজ।
যারা স্কুলে এখনো ভর্তি হয়নি তাদের কার্ডটি কালো। আর যারা ছাত্রজীবন শেষ করে কর্মজীবনে পা রেখেছেন তাদের কার্ডটি নীল রঙের। নীল রঙের কার্ডটি আবার দু’ধরনের একটি ব্যবসায়ী অপরটি চাকুরীজীবি। কালার এক হলেও ক্যাটাগরি ভিন্ন হওয়াতে সহজেই ডিফারেন্স বুঝা যায়। চাকুরীজীবন শেষ করার পর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী পান হোয়াইট কার্ড।
আর যারা স্টুডেন্ট লাইফ শেষ করে এখনো চাকুরী বা ব্যবসায় জড়িত হতে পারেনি তাদের কার্ডটি লাল রঙের। এছাড়াও কৃষি কাজে যারা জড়িত তাদের জন্য সোনালী রঙের কার্ড, কারণ তারা মাটির নির্যাস থেকে সোনার ফসল ফলান এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। ভিন্ন রঙের কার্ড হওয়াতে কর্তৃপক্ষ খুব সহজেই যেমন বুঝতে পারেন দেশে কতজন শিশু, কতজন ছাত্র, কতজন চাকুরীজীবি, কতজন ব্যবসায়ী আর কতজন বেকার এবং কতজন কৃষিজীবি আছেন তেমনি দেশের অপরাধ প্রবনতাও কন্ট্রোল করা যায় সহজে। প্রত্যেকটি কার্ডের হিডেন ফুটারে যার যার ফিঙ্গার প্রিন্ট ও বারকোড সংযোজন করা হয়েছে। যখন কার্ডটি মেশিনে রিড করানো হয় তখন তার ফিঙ্গার প্রিন্টটিও রিড হয়।
অফিস, আদালত, বাসাবাড়ি, ব্যাংক, কর্পোরেট অফিসসহ প্রায় সবজায়গাতেই কার্ড লক ডোর বসানো হয়েছে। যে কেউ এই সমস্ত ডোর অতিক্রম করতে হলে তাকে তার নিজের সাথে থাকা কার্ড দিয়ে আনলক করে নিতে হয়। আর যখন কোন কার্ড দ্বারা লকডোর কে আনলক করা হয় তখন তার কার্ড নাম্বারটি কার্ডটি প্রবেশ করানোর সময় তারিখসহ ডাটা কন্ট্রোল রুমে ডাটাবেজে লিপিবদ্ধ হয় । প্রয়োজনে নাম্বারটি সার্চ দিলেই তার পুরো বায়োডাটা চলে আসে। এছাড়াও সি.সি. ক্যামেরা বসানো আছে প্রত্যেকটি লকডোরের সাথে।
কোন অপরাধী অফিস কিংবা বাসাবাড়িতে অপরাধ করতে হলে তাকে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। তাই অপরাধ প্রবনতা থাকে কর্তৃপক্ষের কন্ট্রোলে। কার্ড দ্বারা যে জায়গাগুলোতে অপরাধ দমন করা যায় না সে জায়গাগুলােতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এমনকি রাস্তা-ঘাট, যানবাহনেও বসানো হয়েছে এই ক্যামেরা। এই ক্যামেরার দারনকৃত দৃশ্যগুলি দেইলী ওয়াইজ থেকে শুরু করে ইউকলি, মানথলি, ইয়ারলি করে আলাদা আলাদা রেজার্ভ করা হয়।
এখন আর এনালগ কান্ট্রির মতো নগদ টাকা দিয়ে কেউ কেনাকাটা করেনা। যাবতীয় লেন-দেন কার্ড দ্বারাই সম্পন্ন হয়। পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে শুধু ডিজিট ট্রান্সফার করলেই চলে। সরকারী বেসরকারী কর্মস্থলগুলোতেও এটেন্ডেস নিয়ে এখন আর কোন ঝামেলাই হয় না। কারণ কার্ড দিয়ে এটেন্ডেন্স দেয়া হয়।
সরকার বা কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দেওয়ার পথ প্রায় বন্ধ। ইচ্ছে করলেই ফাঁকি দেওয়া যায়না। কেউ অসুস্থ থাকলে তার মেডিকেল চেক আপ করার জন্য সরকারী ডাক্তারগণ তার বাসায় চলে আসেন। প্রয়োজনে অফিসেও। একটা মানুষের নাগরিক জীবনে যা কিছু প্রয়োজন সব কিছুই চলে ডিজিটাল নিয়মে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে।
দেশের নিরাপত্তার জন্যও কম্পিউটারাইজ সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে মজবুত ভাবে। যাতে করে ভিনদেশী কোন শত্রু হঠাৎ আক্রমন না করতে পারে আর করলেও তা যথাযথভাবে প্রতিহত করা যায়। সর্বোপরি একটি ডিজিটাল কান্ট্রি। এই ডিজিটাল দেশের থিউরিস্ট আবিরের বাবা ড. টি, এ থ্যাম্স। তিনি ইতিমধ্যে গবেষনা করছেন উন্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো কি করে এই দেশেও চোখের রেনিটা ব্যবহার করে সিকিউরিটি আরো পারফেক্ট করা যায়।
বিজ্ঞানী টি, এ নিজেই থাকেন হেড কোয়াটারে কন্ট্রোল রুমের নির্বাহী দায়িত্বে। বিভিন্ন গবেষনার সুবিধার্থে কন্ট্রোল রুমের পাশেই রেখেছেন ল্যবরেটরী। এক সাথে দুই কাজ করা এটাই তার লক্ষ্য। দেশের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব তার কাঁধেই। তাকে বেজ করেই ডিজিটাল কান্ট্রির আর্বিভাব।
দেশের এই ডিজিটালাইজড সিস্টেম দেখে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো হিংসায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।
আজ ১৪ এপ্রিল। বাংলা নববর্ষের সূচনা দিন। হেড কোয়ার্টারে কর্মরত সমস্ত অফিসারদের নিয়ে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ একটি পান্তা-ইলিশের আয়োজন করা হয়েছে সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ড. টি,এও ছিলেন সভাপতি হিসেবে।
আনন্দ-ফূর্তি করে পান্তা-ইলিশ খেয়ে এবং মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে সবাই পরিতৃপ্ত। সারাদিন পান্তা-ইলিশ খাওয়াতে সবার চোখেই ঘুম একটু বেশি। তাই রাত ১০টা বাজতেই সবাই ঘুমের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে ঢলেও পড়েছেন ঘুমের কোলে।
রাত ১.১৫ মিনিট।
গভীর ঘুমে সবাই। যারা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে ছিল তারাও ঘুমের ভারে ঝিমাচ্ছেন। আবিরের বাবাও নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন। আবির পড়ছে। তার সামনে ফাইনাল পরীক্ষা।
এমন সময় তিনটি পিপিলিকা আবিরের কাছে এসে বিপদ সংকেত দিল। আবির চমকে উঠল। সাথে সাথে আবির ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়ল। ক্লােজ সার্কিট ক্যামেরা এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখছে কোথায় কি ঘটে যাচেছ। হঠাৎ তার ল্যাপটপে ভেসে উঠছে দশ বারোটি রেড মার্কস।
তার বানানো সফটয়্যার রিড করতে পারছে না এগুলো কী? কিন্তু বিপদ সংকেত দিচ্ছে। সে ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেল। এগুলো এমন কী যে কম্পিউটার বিপদ সংকেত দিচ্ছে অথচ রিড করতে পারছেনা এর আকার আকৃতি। সে দৌঁড়ে তার বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল এবং এ বিষয়ে অবগত করল। তার বাবাতো হতবাক! তার ছেলে কম্পিউটার বিজ্ঞানে এতো আপডেট অথচ তার জানা ছিলনা! ড. টি, এ, কন্ট্রোল রুমে গেলেন।
সেখানে গিয়ে দেখেন দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসাররা অনেকেই ঘুমাচ্ছেন আর যারা জেগে আছেন তারাও ঝিমাচ্ছেন। তিনি সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বললেন এবং সমস্ত ক্লােজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে সার্চ করে দেখতে বললেন কোথাও কোন বিপদ সংকেত পাওয়া যায় কিনা। না! কোথাও কোন বিপদ সংকেত পাওয়া গেলনা, ড. টি.এ’র বানানো সিকিউরিটিবহুল কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে। সবাই আবিরের কথা হাসিতে উড়িয়ে দিল। আবিরের বিপদ সংকেত ছেলেখেলা মনে করে ঠাট্টাও করল অনেকে।
এতে আবির কোনভাবেই মনক্ষুন্ন হয়নি। কারণ অনেকেই জানেনা আবিরের এনবোট আবিস্কারের কথা। মানে এনট রোবট। এনবোট মাটির গন্ধ শুকে বুঝতে পারে অনেক কিছুই। নিরাপত্তার কাজে তাদেরকে যে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হচেছ সে বিষয়ে কেউ অবগত নয়।
এনবোট বুঝতে পারে মাটিতে নতুন কোন প্রাণীর আর্বিভাব হলে। এমনকি নতুন কোন গাছ জন্ম নিলেও। তাই এনবোটের সংকেত আবির কোন ভাবেই ছোট মনে করতে পারছেনা। সে নিজেই রেড মার্কসগুলোকে রিড করানোর চেষ্টা করছে ।
রাত ৩.২০মিনিট অপরিচিত প্রাণীগুলো ধীরে ধীরে কন্ট্রোল রুমের দিকে এগুচ্ছে।
হেড কোয়াটারের চতুদিকের যে বেষ্টনী আছে তা কোন ভাবেই এই অপরিচিত প্রাণীগুলোর বাঁধা হিসেবে কাজ করছে না। প্রাণীগুলো এমন এক ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরী যা কঙ্কর বা লোহার বেষ্টনীর পাশে আসলেই গলে তরল পদার্থ হয়ে যায় এবং লোহার বেষ্টনী ঘামতে থাকে। ঘামের সাথে মিক্স হয়ে বেষ্টনীর এপার থেকে ওপারে অনায়াসেই চলে আসতে পারে এবং পুনরায় প্রাণীর আকৃতিতে ফিরে আসে। এভাবে প্রাণীটি তার লক্ষ েপৌঁছতে পারে খুব সহজেই। ইতিমধ্যে আবির এ তথ্যটুকু আবিস্কার করে ফেলেছে ইন্টারনেটে এক সায়েন্টিফিকের থিউরি স্টাডি করে।
প্রাণীগুলো কন্ট্রোল রুমের খুব কাছে চলে আসছে। কন্ট্রোল রুমের নিরাপত্তায় যে সমস্ত প্রহরী ছিল তারা একে একে মারা যাচ্ছে। হঠাৎ মনে হয় তাদের কাছে কি যেন আসছে অমনি তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রহরীদের মৃত্যুর দৃশ্যটুকু দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কিভাবে ঘটছে এমন অদৃশ্য ঘটনা তা তারা আন্দাজ করতে পারছেনা।
সবাই বিচলিত হয়ে পরেন। আবিরের বাবা ড. টি, এ, আবিরের স্মরণাপন্ন হলেন। আবির ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোডকৃত তথ্যগুলো দেখাল। ওহ! শীট! বলে চিৎকার করে উঠলেন এবং বলতে থাকলেন আমরা বড় ধরনের ভুল করে ফেলেছি। তোমার কথায় কান না দিয়ে আমরা অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।
এখন একটা কিছু কর আবির। আবিরের বাবা বললেন। কন্ট্রোল রুমে নিয়োজিত অফিসাররা নিজেকে বাঁচাতে চারিদিকে ছুটাছুটি শুরু করলেন। সবাই অস্থির কিভাবে এই অদৃশ্য জন্তু থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করা যায়। আবির তার এনবোট গুলোকে আবার কল করল।
এনবোট আবিরের সামনে এসে হাজির। কোডিং এর ভাষায় আবির এনবোট গুলোকে কন্ট্রোল রুমের চারপাশে ছড়িয়ে পরে বর্তমান অবস্থা জানাতে বলল। তারা অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বর্তমান অবস্থা আবিরের কাছে বর্ণনা করে। আবির তাদের দেওয়া তথ্য থেকে জানতে পারে এই অদৃশ্য প্রাণীগুলো তৈরি করতে একটি বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে যা কোন রক্তবাহী প্রাণী বা মানুষ তাদের স্পর্শে এলেই বিষ ক্রিয়ায় তিন মিনিটের মধ্যে মারা যাব। ে
প্রাণীগুলো তিন ভাগে বিভক্ত।
মোট বারটি প্রাণী। চারটি রঙে। চার রঙের চারটি একত্রে মিলিত হলে একটি ভয়ংকর ডিনামাইটে পরিণত হয়। যা এক হাজার কিলো পর্যন্ত ধ্বংস করতে সক্ষম। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আলাদা আলাদা একটি অথবা যে কোন তিনটি পর্যন্ত প্রাণী কোন বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেনা।
আবিরের বাবা এই সমস্ত তথ্য শুনে প্রায় জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়েন। খুব আস্তে আস্তে আবিরকে বললেন, আবির আল্লাহর নাম নিয়ে তুমিই যা করার কর। নতুবা আমাদের দেশ রক্ষা করা সম্ভব হবেনা বাবা! আবির এই অদৃশ্য প্রাণীগুলোকে দৃশ্যে পরিনত করার চেষ্টা করছে। বায়োনারী কোডসহ যত প্রকার কোডিং প্রসেস আছে তার জানা মতে সবই প্রয়োগ করা হলেও কোন ভাবেই প্রাণীগুলোকে দৃশ্যমান করা সম্ভব হচ্ছেনা। তখন আবিরের ছোটকালে দেখা টম এন্ড জেরির দৃশ্য অদৃশ্য খেলার কথা মনে পড়ে গেল।
আবির ভাবতে শুরু করল নিশ্চয় প্রাণীগুলোর সাথে এমন কোন পদার্থ আছে যা দিয়ে তাদের নিজেদের শরীর কে অদৃশ্য করে রাখতে পারে, প্রয়োজনে ধাতব পদার্থ থেকে তরল পদার্থে পরিনত করতে পারে। আবিরের ভাবনাই ঠিক। প্রাণীগুলোর শরীরে এমন একটি ক্ষু্দ্র মেশিন বসানো আছে যা ধাতবকে হিডেন করা এবং প্রয়োজনে তরল পদার্থে রূপান্তর করা যায়। এই প্রাণীগুলোর নাম এমএলএইচ ৩০০০। আবির ইন্টানেট থেকে এমএলএইচ ৩০০০ এর বিশদ তথ্য বের করেছে।
কিভাবে এদেরকে রোধ করা যায় ইতিমধ্যে তাও আবিস্কার করে ফেলেছে।
প্রাণীগুলোর শরীর থেকে যে হিডেন ইনক তৈরী হয় প্রথমেই তা রোধ করতে হবে। এ জন্য তার এনবোটকেই কাজে লাগানোর চিন্তা করল। কেমিক্যালের সাহায্যে আবির আর তার বাবা যৌথ গবেষনায় এমন একটি লিকুইড তৈরী করার চেষ্টা করলেন যা প্রাণীগুলোর উপরে ছিটিয়ে দিতে পারলে হিডেন ইনক অকেজো হয়ে যাবে। আর প্রাণীগুলো দৃশ্যমান হবে।
তারা তাই করল। এতে কাজ হলো এবং প্রাণীগুলো দৃশ্যমান হতে লাগল। চার রঙের এই প্রাণীগুলো সত্যিই তিনটি ভাগে বিভক্ত। তারা এখন কন্ট্রোল রুমের সিকিউরিটিদের মারতে ব্যস্ত। তাই তারা এখনো বিচিছন্ন অবস্থাতেই আছে।
তাদের চার রঙের চারটিকে একত্রিত হতে দেওয়া যাবেনা। আবিরের এনবোটগুলো প্রাণীগুলোকে বিচ্ছিন্ন রাখতে সহযোগিতা করছে। প্রাণীগুলো তৈরী করার সময় শুধু রক্তবাহী প্রাণী মারতে পারবে এমন বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আবিরের এনবোট এক প্রকার রোবট হওয়াতে প্রাণীগুলো বিরক্তিকর পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছে। ফলে তারা কোন ভাবেই একত্রিত হতে পারছেনা এবং এনবোট গুলোকে মারতেও পারছেনা।
এই সুযোগে আবির প্রাণীগুলোকে ইনএ্যাকটিভ করার চেষ্টা করছে।
অবশেষে আই.এম.আই.কোড দিয়ে আবির প্রাণীগুলোর কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে সক্ষম হল । সবাই আবিরের প্রতি অধিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাকে চিনতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, আমরা আবিরের সতর্কতা অবলম্বন করলে আমাদের হেড কোয়ার্টারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত অফিসাররা অকালে মারা যেত না। আমরা তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।