হাতের সিগারেটটি ছুড়ে ফেলে সাদা কাগজটি'র উপর আরেকবার চোখ বুলালেন প্রফেসার হান।
১/০=অজানা
১-১=০
(০+০+.......+০+০+.....+০+০...+০)=১
সহজ সরল সমীকরন। অথচ কত বিস্ময় লুকিয়ে আছে। কারও মাথাতেই কেন এতদিন আসেনি। এক ঈশ্বর এর সাথে কোন এক শূণ্য'র সংঘর্ষের কারনে চলমান অজানা বিশ্ব ব্রক্ষান্ড শুরু হয়েছিল (১/০=অজানা)।
ঈশ্বর নিজে ধ্বংস হয়ে প্রতিটি সৃষ্টির মধ্য বিলীন হয়ে গেছেন।
প্রফেসার হান এর মাথায় অবশ্য আরও গভীর এক চিন্তা উপস্থিত। ব্যাপারটা সহজ করবার জন্য আরও একবার লিখলেন তিনি।
৮/২=৪ তার মানে ৮ থেকে ৪ বার ২ বিয়োগ করলে শুণ্য হবে। অর্থাৎ চার বার দুই যোগ করলে ৮ হবে।
৮-(২+২+২+২)=০
একই ভাবে,
১/০=অজানা
১-(০+০+০+........+০+০+.....)=০
১-১=০
অর্থ্যাৎ, অজানা সংখ্যক বার শূণ্য যোগ করলে এক হওয়া সম্ভব।
মানে দ্বারাচ্ছে অজানা সংখ্যক বার শূণ্য যোগ করতে পারলে আবারও ঈশ্বরকে পাওয়া সম্ভব। পুরো বিশ্বে ব্রক্ষান্ডে কত সংখ্যক শূণ্য আছে। সবগুলোকে যোগ করতে হবে। সেই ঈশ্বর যার আরাধনা করে আসছে যুগের পর যুগ মানুষ।
বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন ভাবে। যার অস্তিত্ব আছে কি নেই এখনও সন্দিহান মানুষ। সেই ঈশ্বরের খোজঁ পেয়ে গেছেন প্রফেসার হান। সারাজীবন শুনে এসেছেন ঈশ্বর মানুষ তৈরী করেন আর আজ থেকে তিনি ঈশ্বর তৈরীর কাজে হাত দেবেন।
অতিরিক্ত উত্তেজনায় সিগারেট এর টুকরোটি ঘরের ঠিক কোথায় ফেলেছিলেন বলা মুশকিল।
দমকল বাহীনি যখন আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে ততক্ষনে লাশ সনাক্ত করার আর উপায় ছিল না। তার আবিস্কারটি আর জানা হল না কারও।
ঈশ্বর হয়ত চান না প্রফেসার হান এর গবেষনাটি আলোর মুখ দেখুক। তাই মৃত্যু নামক ব্যাপারটি তার হাতেই রেখে দিয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।