আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বোমা হামলা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তদন্ত রিপোর্টের উৎস নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট।

ব্লগীয় যুদ্ধকে ভালোবাসি। ব্লকিও যুদ্ধকে ঘৃণা করি।

হেয়ার রোডের এই বাড়িটির গেটে ২৪ ঘন্টাই আলো থাকে। কারন গেটে সর্বদাই নিয়োজিত থাকে কিছু সংখ্যক পুলিশ। কারন এই বাড়িটিই হলো বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন।

অন্যদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার রাতেও আলো জ্বলমল গেটের দুপাশেই পুলিশ। হাতে বিখ্যাত থ্রি নট থ্রি রাইফেল। প্রহরায় কোন কমতি ছিলনা। যদিও ছিল ঈদের পরদিন। তাই প্রহরিদের মধ্যে তখনো ঈদের আনন্দ বিলীন হয়নি।

একটু পরেই হঠাৎ দুটি শব্দ। প্রহরীরা একজন আরেকজনের দিকে তাকালো। একজন হেসে উঠল। বললো কে এই কাজ করছো বলো। কোরবানীর মাংস খাইছো আর বায়ূ ছাড়ছো।

অন্যরাও হেসে উঠল। কিন্তু কেউ স্বীকার করলোনা যে কে বায়ূ ছেড়েছে। হঠাৎ একজন বাগানে একটু ধোয়া দেখতে পেল। সবাই দৌড়ে গেল সেখানে। দুটি ছোট কৌটা সাথে কিছু ছোট ছোট পাথর।

সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল হৈ চৈ। পুলিশ কমিশনার, র‌্যাব মহাপরিচালক, এমপি, মন্ত্রী সবাই। বাসায় থাকতে পারলেন না কুমারী মন্ত্রী সাহারা খাতুন ও। চলে গেলেন সোজা হেয়ার রোডে। প্রধান বিচারপতির বাসায়।

এবং সমানতালে ইনভেষ্টিগেশন। যেহেতু বোমা বিস্ফোরন তাই এটি বের করার দ্বায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীরই। প্রথমেই ফোন করলেন আগাচৌ (আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর) কাছে। কারন আগাচৌ এখন অসম্ভব এক ক্ষমতার অধিকারী। প্ল্যানচ্যাটের মাধ্যমে যখন তখন যেকোন বিষয়ের সমাধান দিতে পারেন।

আগাচৌ ফোন পেয়ে যারপর নাই খুশি। তার প্রিয় কবিতাটি আবারো আওড়ালেন- কালো আর ধলো বাহিরে কেবলি ভিতরে সবারি সমান রাঙা। বিকেলের আরষ্ঠতা ছেড়ে উঠে পরলেন প্লানচ্যাটের জন্য। কিন্তু শুধু একজনের উপর ভরসা করলেই হবেনা। আরো চেষ্টা চালাতে হবে।

এবার নারায়নগঞ্জ ও বিক্রমপুর। এই পীরযুগলই তাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। অসম্ভব ক্ষমতার অধিকারী তেনারা। ১০-১২ টা জিন সর্বদা তাদের সথে ঘুরাঘুরি করে। এমনকি বাবা শাহজালাল, শাহ পরানের সাথে রয়েছে তেনাদের আধ্যাত্নিক যোগাযোগ।

উপরওয়ালার সাথেও রয়েছে সুসম্পর্ক। পীরদ্বয় প্রথমে রাজিই হলেন না। কারন ঈদের পরদিন। প্রত্যেকটি টিভি চ্যানেলে ঈদ অনুষ্ঠান। জমজমাট আয়োজন।

তাছাড়া কোরবানীর পরদিন। এই মহুর্তে জীনেরা ছুটিতে আছেন। উপরওয়ালা ব্যাস্ত কোরবানীর হিসাব মিলাতে। বাবা শাহজালাল শাহপরানে মাজারে প্রচুর ভক্ত। তাই তাদের আত্না সেখানে ব্যাস্ত ভক্তদের আর্জি মেটাতে।

কিন্তু সাহারা নাছোরবান্দা। তাই অনেক অনুনয়ের পর পীরদ্বয় রাজি হলেন বোমা হামলাকারীদের খুজে বের করে দেয়ার জন্য। নিশ্চিন্ত মনে এবার মান্যবর মন্ত্রী চললেন প্রধান বিচারপতির বাড়িতে। তবে হালকা টেনশনও কাজ করছিল। কারন তারা যদি সময়মতো দোষীদের বের করতে না পারে তবে পুলিশি তদন্তে দিতে হবে।

এখানে ঝামেলা বেশী। ইদানিং পুলিশ ও একটু নিরপেক্ষ হতে চাচ্ছে। র‌্যাবের কাছে দিলে আরো ঝামেলা। তাহলে হয়তবা নিজেই ফেঁসে যেতে পারেন। কিন্তু না।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে পৌঁছার আগেই ফোন। এ যে আগাচৌ। প্লানচ্যাট সফল। পেয়ে গেছেন হামলাকারীর নামের তালিকা ও হামলার উদ্দেশ্য। মনে মনে মন্ত্রী সৃষ্টিকর্তাকে প্রনাম করলেন।

কিন্তু প্রনাম শেষ করতে পারলেন না। তার আগেই ফোন। অপরিচিত নাম্বার। এই নাম্বার ইহজীবনেও দেখেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিছুটা ভয় এবং কিছুটা রোমাঞ্চ নিয়ে বললেন হ্যালো।

কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে গম্ভীর আওয়াজ। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝে গেলেন। এযে জীনের দেশের মোবাইল নাম্বার। এরকম নাম্বার থেকে এর আগেও ফোন এসেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ভয় এবং সংকোচ ভূলে গিয়ে তদন্তের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলেন।

জ্বীনেরা ইতিমধ্যে তদন্তকাজ শেষ করেছে এবং ফাইনাল রিপোর্ট ও পেয়ে গেছে। এবার খুব খুশি মন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বহারা খাতুন প্রবেশ করলেন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। সাথে সাথে সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরল আর তিনি বলে গেলেন তার প্রিয় বানী---- বিরোধীদলের নেত্রী তার বাড়ি এবং দুই ছেলেকে রক্ষার জন্যই এই হামলা চালিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি দোষীদের খুজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে। পুনংচ: ব্লগারগন।

সেই তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৫ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাদের ধরার জন্য বর্তমানে পুলিশি অভিযান অব্যহত আছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.