সাধারন এবং নাগরিক জীবনে বিশ্বাসী!!!
কয়দিন হলো শুরু হয়েছে, লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার। যেখানে দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশের কিশোরী ও যুবতী মেয়েদের কে ভারতীয় কালচারের আদলে উপস্থাপন করা হচ্ছে। শাড়ী- আমাদের বাংলাদেশের মহিলাদের একটি জাতীয় পোষাক, এই অর্থে, আমাদের দেশের অধিকাংশ মহিলা শাড়ীতে অভ্যস্ত। কিন্তু, এই লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রোগ্রামে শাড়ি পরিধানের স্টাইলকে এমন কায়দায় উপস্থাপন করা হচ্ছে যা খুবই আপত্তিজনক। এছাড়া, সেলোয়ার কামিজ ও আমাদের দেশের মেয়েদের একটি সাধারন পোষাক।
এই অনুষ্ঠানে এই সেলোয়ার কামিজকে উপস্থাপন করা হয়েছে যা তা ভাবে। (পাঠকগণ প্রোগ্রামটি নিজ চোখে দেখলে বুঝবেন)
কৈশরকালীন বয়ষটি খুবই অনুকরনপ্রবন। তার উপর লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রোগ্রামের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তথা এডভারটাইজিং এর মিশন এবং ভিশন ছিল "সুন্দরীদের খোজে"। তা দেখে আমাদের অনুকরনপ্রবন দেশের কিশোরী এবং যুবতী মেয়েরা বিজ্ঞাপনদাতা এবংলাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার এর "সুন্দরীর সংজ্ঞা" অনুসারে নিজেদের প্রস্তুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে যার প্রমান আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবন চলার পথে দেখতে পাই। তারপর রাস্তার চলার পথে, বাংলা সিনেমার পোস্টারে নারীদের কিভাবে উপসথাপন করা হচ্ছে? আমার ব্যক্তিগত ধারনা থেকে মনে হয় সামাজিক অপরাধগুলোর উৎপত্তি এখান থেকেই।
শিক্ষিত জনগোষ্ঠী যদিও এসব অপরাধের বাইরে কিন্তু সমাজের অশিক্ষিত বেকার সমাজ নিজেদের এসব অশ্লীল কালচারে ডুবিয়ে রাখে যার ফল প্রকাশই হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ।
আমাদের মনে রাখা উচিৎ আমরা বাংলাদেশী এবং মুসলিম জাতি। দেশ হিসেবে আমাদের কালচার অনেক সুন্দর এবং মার্জিত। ধর্মীয় দিক থেকে নারীদের স্থান অনেক উপরে। কারন, আমাদের গর্ভধারিনীর পদতলে আমাদের স্বর্গ।
তো আমরা অবশ্যই চাইব না, নারীদের বাণিজ্যিকভাবে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হোক।
আরেকটি প্রশ্ন প্রায়ই আমার মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়, টিভিতে প্রায়ই বিভিন্ন নারী সংগঠন এবং এনজিও এর কর্মীদের করা বক্তব্য দেখা যায়। যেমনঃ সম-অধিকার, নারী নিরাপত্তা এবং নারী নির্যাতন ইত্যাদি সমকালীন সময়ে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু। কিন্তু তাদের কি মনে হয় না, নারীকে চলচ্চিত্রে অর্ধনগ্ন এবং বানিজ্যিক টিভি প্রোগ্রামে তাদের নিছক পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে? যার প্রধান উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন।
পরিশেষে বলতে চাই, আমি কোনো নারী বিরোধী ব্যক্তি নই।
আমিও চাই, নারীরা মিডিয়াতে কাজ করুক। তবে মার্জিতভাবে। আজকের ইভ-টিজিং বলেন তার প্রধান কারন আমাদের মিডিয়া। ছোট একটি উদাহরন দিয়ে শেষ করব। কাকরাঈল মোড়ে জামে রিকশায় বসে ছিলাম, রাস্তার মাঝখানে বড় একটি ফিল্মের ব্যনার- "ভালোবাসা দিবি কিনা বল" তার নিচে আবার ইংরেজীতে লেখা- "লাভ মি অর কিল মি"।
আমাদের চলচ্চিত্রে্র সিনেমাগুলোতে শিখিয়ে দেয়া হয় - কিভাবে ভালোবাসা আদায় করে নিতে হয় এবং ইহারই বহিঃপ্রকাশ আজকের ইভ-টিজিং।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।