^^^^^^^^^
খেলা শুরু হয়েছিল ব্রাজিলের আক্রমণ দিয়ে, একের পর এক আক্রমণ রচনা শুধু শট নেয়াটাই যেন তাদের হচ্ছিলনা। এর মাঝে দু-একবার মেসি এক আধটু ঝলক দেখিয়েই ফেলেছে। তাও কেমন যেন খেলাটা ব্রাজিলই খেলছিল। গ্যালারিতে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল ধ্বনিতে সমর্থকরা নেচে গেয়েই যাচ্ছে। গোল না হলে তীব্র হতাশা প্রকাশ, তারকারা বল পেলেই সমর্থকদের শিষ-চিৎকার ফুল-হাউস খলিফা স্টেডিয়ামটাকে মনে হচ্ছিল কোন এক স্বপ্নপূরী।
খেলার উনিশতম মিনিটে দানি আলভেজের তীব্র শট আর্জেন্টাইন গোলকিপারের ফ্লাশ করা আর উনচল্লিশ মিনিটে মেসির শট পোস্টে লাগাটাই প্রথমার্ধের হাইলাইটস।
নেইমার ছেলেটা অসাধারণ খেলেছে, তার স্পিড ছিল দেখার মত। দানি আলভেজের কথা আর কি বলব! রোনালদিনহো এখনো যে ফুরিয়ে যায়নি তার আলসে কিন্তু ভয়ংকর মুভ গুলাতেই বোঝা যাচ্ছিল।
ঐদিকে ডি মারিয়া ছিল অসাধারণ, আর একজনের কথা বলছিনা। চোটখাট খেলোয়াড়টা যে এত ফাস্ট মুভ করে, টিভিতে সেটা বোঝাই যায় না.....
দ্বিতীয়ার্ধে খেলাটা আরও জমে উঠে, দু'দলের আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ ছিল দেখার মত।
তবে একটা জিনিসেরই অভাব ছিল, সেটি গোল। দু'দলের খেলোয়াড়রাই গোলে শট নিতে যাচ্ছিলনা যেন (যেইটাকে আমরা ত্যানা পেঁচানি খেলা বলি, গত বিশ্বকাপে স্পেন যে খেলাটা খেলে সবার বিরক্তির পাত্র হয়েছিল)! এরমাঝেই আচমকা মেগা-স্টারগুলো কিছু দর্শনীয় স্কিল দেখিয়ে ফেলতেছিল, রবিনহোর বাইসাইকেল কিক টা অন্যতম। আর একবার মেসি ব্রাজিলের গোলমুখে ৫/৬ জনের সাথে ড্রিবলিং করে শেষ পর্যন্ত বলের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়। খেলা শেষ হতে তখন মাত্র ১০ মিনিট বাকি, কোথা থেকে এক পাগল সমর্থক মাঠে প্রবেশ করে সারা মাঠ দৌড়াতে থাকে আর তার পেছনে পেছনে নিরাপত্তারক্ষীরা....... ম্যাচের ফানি মোমেন্ট!
ম্যাচ অফিসিলাল তখন ২ মিনিটের এক্সট্রা টাইম ঘোষণা করেছে, এর একটু পরেই মেসির অসাধারণ এক গোলে দোহা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা।
*** এতক্ষণ যে ম্যাচের বর্ণনা দিলাম সেটা খেলা শুরুর এক ঘন্টা আগেও আমার দেখার কোন নিশ্চয়তা ছিলনা।
ব্যস্ততার কারণে টিকেট সংগ্রহ করতে পারিনি। খেলার পনেরদিন আগেই অনলাইনে, স্টোরে সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। তবুও আশা নিয়ে আজ স্টয়েডিয়ামে যাই, খেলা শুরুর ৩ ঘন্টা আগে। এক কিলোমিটার দূরে গাড়ি পার্ক করে হেঁটে যেতে যেতে কতজনের কাছে জিজ্ঞেস করেছি এক্সট্রা টিকেট আছে কিনা। গেট গুলোর সামনে তীর্থের কাঁকের মত দাঁড়িয়ে থেকেছি কারো এক্সট্রা টিকেট আছে কিনা দেখতে।
একটুর জন্যই একজনের কাছ থেকে নিতে না পেরে অনেক্ষণ বসে বসে ফলো করছিলাম কারো হাতে বেশ কয়েকটা টিকেট দেখা যায় কিনা। এক ছেলের হাতে টিকেট দেখে তাকে জিজ্ঞেস করতেই সে বলে তার কাছে পাঁচটা আছে সব একসাথে নিতে হবে। পরে আমার কাছে একটা বিক্রি করতে রাজি হওয়ার সাথে সাথে আরো চারজন এসে তার বাকি চারটা টিকেটও নিয়ে নেয়। আহ, টিকেট হাতে পাওয়ার পর কি যে শান্তি লেগেছিল.......
আমি বরাবরই সকার ফ্যান, তাই ডিসাইড করেছিলাম আজ যারা ভালো খেলে জিতবে তাদেরই আমি সাপোর্ট করব। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দু'দলের কারণেই আমার ১০০ রিয়াল সার্থক।
এইবার ছবি দেখেন, ক্যাপশন নিজেরা মিলিয়ে নিবেন.........
স্টেডিয়ামের বাইরে ফ্যান জোন। সেখানে কনসার্ট হচ্ছিল.....
খলিফা অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দর্শনীয় টর্চ টাওয়ার।
অবশেষে আমি স্টেডিয়ামের ভেতরে গেলাম।
সহাবস্থান! আমাদের দেশে হলে স্টেডিয়ামেই কয়জনের মাথা ফাটত কে জানে, আমরা একদম হুলিগান সাপোর্টার!
দুই আর্জেনটাইন কিপার মাঠে নামল, খেলা শুরু হতে ঢের বাকি।
ক্যামেরা খালি ব্লন্ড খুঁজে..... সব শালা লুল
দু'দল মাঠে প্র্যাকটিসরত।
ম্যাক্সিকান ওয়েভ।
গোল.কম এর ভোটে ম্যাচের সেরা ফ্লপ, রবিনহো।
ম্যাচসেরা মেসি।
এইমাত্র খেলা শুরু হল......
ম্যাচের বয়স যখন ১২ সেকেন্ড
সহাবস্থান-২
বেশ কয়েকজন গ্রেট প্লেয়ার, সামি আল জাবের অন্যতম। আর আছেন কাতার ২০২২ বিড এর এম্বাসেডর গ্রেটেস্ট প্লেয়ার জিনেদিন জিদান!
দর্শকদের একাংশ।
৭২ মিনিটেও ০-০
সেই গাগল সাপোর্টার আর সিকিউরিটিরা......
গোওওওওওওওওওওওওল!
আর্জেনটিনার সাপোর্টাররা............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।