সুন্দর মনের থেকে সুন্দর শরীর অনেক আকর্ষণীয়।
বেশ ভালোই আছি, ভালোই থাকি সারাদিন। কথা শেষে প্রেমিকারা বলে 'ভালো থেকো'। উত্তরে বলি 'ভালো রেখো'। এ কারণে, অথবা অকারণেই ওরা আমাকে ভালো রাখে- তাই ভালো থাকি।
ভালো থাকতে থাকতেই দিনরাত কেটে যায়। তবে আজকের দিনটা 'অতি ভালো' কেটেছে, কর্মমুখর। অনেক কাজ ছিলো সারাদিন। সকালে সেই গাজীপুর, তারপর এয়ারপোর্ট, সেখান থেকে অফিসে। চলতি মাসে আজই প্রথম অফিস করলাম, ঘন্টাখানেক ছিলাম।
বেরিয়ে গেলাম নিউমার্কেট, কোন এক প্রেমিকাকে নিয়ে কেনাকাটা। ওর সকল আহ্লাদ-আবদার মিটিয়ে খেতে গেলাম দু'জনে ধানমন্ডি ৪-এর সাংহাই-তে। ওকে বিদায় না করতেই ৫ নাম্বারে চলে এলো আরেক প্রেমিকা, সাথে ছোট বোন। ওদেরকে রিসিভ করে বসালাম এরিক'স বিস্ত্রো-তে। ইতোমধ্যে চলে এলো তৃতীয় আগন্তুক, ওকে বসালাম খাইবার ক্যাফে-তে।
একই সময়ে তিন রেস্টুরেন্টে দৌড়াদৌড়ি, মজাই লাগলো। আগে কখনো এভাবে জ্যাম লাগেনি। কাল আরও ডেট আছে, আজ এগুলো না মিটালে কাল ঢাকার রাস্তার মতো মনে হবে দিনটা, তাই অবোধ বিনয় নিয়ে তিন রেস্টুরেন্টেই ছিলো আমার একান্ত ছুটোছুটি ...।
... আসলে, আমার এ লেখার প্রতিপাদ্য ঈদকেন্দিক অর্থউত্তোলন নয়, প্রেমিকারা নয়, বিকেল-সন্ধ্যার সন্ধিক্ষণের চুমোগুলোও নয়। আমি চোখ বুলাতে চেয়েছি, খালেদা জিয়ার বাড়ীর ভেতরে ও বাইরে।
আমি জানি, রবীন্দ্রনাথ এ বাড়ীটি দেখেননি ...। আমি এ ব্যাপারেও নিশ্চিত, আর্জেন্তিনায় ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর যে হাওলাতি বাড়ীতে রবীন্দ্রনাথ বিশ্রামে ছিলেন, সে বাড়ীটাও এমন অভিজাত ছিলো না, এমন অভিজাত বাড়ী হয়তো আর্জেন্তিনাতে এখন অঢেল।
বাড়ির সচলচিত্র গতরাতে বিটিভিতে দেখেছি। অন্যেরাও দেখিয়েছে, কিন্তু বিটিভির মতো এতো ডিটেইল কেউ দেখায়নি। তবে এই পোস্টের ছবিগুলো আমার তোলা নয়, আমি সেই বাড়ীতে যাইনি।
গেলে ভাল্লাগতো, আয়তন দেখতে নয়, তৈজসপত্র দেখতেও নয়। প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্ত্রী, দেশের দু'তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং তারেকের মা যেখানে এতোকাল ছিলেন, সেখানে যাওয়ার, সেখানটা দেখার ইচ্ছেটা জাগতেই পারে, হতে পারে কুড়েঘর। তবু যেতে চাই, যাওয়ার ইচ্ছা আছে, হয়তো পারবো না জানি। তাই ছবিতে একটি ডূ। ছবিগুলো আমার এক কলিগ-এর তোলা।
ও একদমই জানে না, আমি যে ছবিগুলো দেখে ফেলেছি। সবাইকে নিয়েই যে দেখছি, এটাও সে কল্পনা করেনি। তবে আমি নিশ্চিত, একদমই রাগ করবে না ও। যদি করে, তাহলে এক প্যাকেট সিগারেটেই ...।
পরিশিষ্ট : এই বাড়ী নিয়ে আমার কোন সিদ্ধান্ত নেই।
আবেগ আছে, কবিতার উপলব্দি আছে, সাহিত্যের খেই আছে কিন্তু এই বাড়ী নিয়ে, বাড়ীর ভেতরের এখনকার দৃশ্যমানতা ও বস্তুগত উপস্থিতি নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজী নই। আর এই বাড়ী নিয়ে পলিটিক্যাল কোন অবস্থানও আমার নেই, আমি শুধু দেখতে চেয়েছি, এর ভেতরে বাইরে। একটা বাড়ী হবে, বাড়ী?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।