আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লোভের সাথে আড়ি এবং বেগম জিয়ার বাড়ী : কার লাভ কার ক্ষতি



কার আগে কে যায়, বলা যায় একটা সুযোগ এসেই গেলো। সর্বশেষ খবর হলো খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্ট এর বাড়ী ছেড়েছেন, বিএনপির নেতারা হুমরী খেয়ে পরেছেন এই ভেবে যে সুযোগ চলে যাচ্ছে এই সুযোগে কার আগে নেত্রীর কত কাছে যাওয়া যায় কেননা এই ইস্যুটার জাতটাই এমন যে এটা যতটুকু না বিএনপির দলীয় ইস্যু তার থেকে বেশী বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত ইস্যু, নেত্রীর ব্যক্তিগত ইস্যুতে নিজেকে উৎসর্গ করা মানে ব্যক্তিগতভাবে তার কাছাকাছি চলে যাওয়া, মন্ত্রীত্বের হাতছানি, আবার ক্ষমতা ইত্যাদি। রাজার বাড়ি, রহিম, করিম বা আব্বাসের বাড়ী নয়। আমরা কী জানি আমাদের দেশের কত মানুষ ভূমিহীন, এত হিসেবের দরকার নেই এই ঢাকা শহরেই প্রতিদিন কত মানুষ রাস্তায় ঘুমায়, কই এই রাজনীতিবিদদের তো এদের নিয়ে কোন কথা বলতে দেখলাম না, সাধারণ মানুষের বাড়ি রাজনৈতিক ইস্যু হয় না বেগম জিয়ার বাড়ি রাজনৈতিক ইস্যু হওয়ার জন্য শুধু বেগম জিয়ার পরিচয়ই যথেষ্ট অন্য কোন যোগ্যতার দরকার নেই। কারণ এদের আছে একদল দেলোয়ার মার্কা চাটুকার রাজনৈতিক।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ইস্যুতে কিছু নেতা পূর্ণবাসনের হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে কে কত আপন তা প্রমাণ করতে চাচ্ছে। মওদুদ, দেলোয়ার সাহেব রা তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করেই হরতাল দিয়ে দিলেন, একবারও ভাবলেন না তাদের এই মাত্রাতিরিক্ত প্রভুভক্তির কারনণই অনেক সাধারণ মানুষ তাদের আপন জনদের সাথে ঈদ করতে পারবেন না। আসলে মন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজার মন তোষন করা দরকার জনগণের নয় এটা আমরা সবাই জানি তাই জনগণের সুবিধা অসুবিধা দেখার দরকার নেই। আসলে বিএনপির কিছু নেতা এই রকম কোন একটা পরিস্থিতি চাচ্ছিলেন যার মাধ্যমে তারা নেত্রীর প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করতে পারবেন, নিজেদের হাতটাও একটু কচলিয়ে দেখাতে পারেন যে হাত কচলানো তারা ভুলে যাননি এখনও তারা হাত কচলাতে জানেন। এক এগারোর পর এই এক সুযোগ আবার কতদিন পর এই সুযোগ পাওয়া যায় পাথে আসছে মন্ত্রীত্ব হালকা না হয়ে যায়।

একটু বিশ্লেষণ করলেই দেখা যায় এরাই কিছু বেগম জিয়াকে বুঝিয়েছেন তিনি যেন স্বেচ্ছার বাড়ি না ছাড়েন, তাহলেই তারা তাদের আনুগত্য প্রকাশ করতে পারবেন আর যত বেশি আনুগত্য দেখাতে পারবেন,মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে, এই পারফরমেন্সের জন্য মওদুদ ও দেলোয়ার সাহেব মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করতেই পারেন, এমনকি দেলোয়ার তার গুণধর পুত্রের জন্য কিছু লবিংও করে নিতে পারবেন, বেচারা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্য একটু খারাপ লাগছে বিএনপির সেক্রেটারি হওয়া বোধহায় আরও একটু পিছিয়ে গেলো। কিন্তু এতো গেলো এসব নেতাদের মন্ত্রী, সেক্রেটারি হওয়ার লড়াই কিন্তু এজন্য তারা বেগম জিয়াকেও অপমান করতে ছাড়লেন না, একবার ভেবে দেখুন বেগম জিয়া এই বাড়ির লোভ ত্যাগ করে, একে লাথি মেরে, নিজেই বাড়ি ছেড়ে দিতেন তাহলে তার মর্যাদা কোথায় গিয়ে দাড়াতো, বেগম জিয়া এই ধরনের চাটুকার রাজনীতিবিদদের পাল্লায় পরে নিজেই নিজেকে সম্মানিত করতে পারলেন আর ক্ষতিগ্রস্ত করলেন রাজনীতিকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.