আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
গত ৭ দিন ধইরা স্নো পড়তাছে নন স্টপ। পাশের পাহাড়ের স্নো মানে বরফের স্তর কেমুন পড়ছে সেইটা খালি মাপি। কখন যে এভালান্ঞ্চ হয় সেইটাই ভাবি। আমার জানালার পাশে একটা মাঠ তার পাশে রাস্তা আর তার পাশে একটা পাহাড় তার উপর ঘন সবুজ বন।
মাগার সবুজ বন আর বন নাই, পুরা সাদা হইয়া গেছে। কমুন থিকা টানা বুল ডোজার ড্রেজার দিয়া রাত দিন বরফ ঠেলতাছে কিন্তু কোনো কাজ হইতাছে!
আমি তিনদিন ধইরা ঘর বন্দী। ল্যাবের কাজ, প্রজেক্টের কাজ নিয়া একটু টেনশন তো আছেই।
যাই হোউক, সকাল বেলা উইঠাই একটা গুড নিউজ শুনলাম। ব্লগার তাহসিন আহমেদ (জানি না লিংক ঠিক দিছি কি না) মিরপুর ১ নম্বরের গোলারটেকের দিকেই থাকে।
তার ব্লগ খুব একটা পড়া হয় না, তবে দেশে থাকতে তার সাথে আমার কথা হইতো ফোনে নাইলে ম্যাসেন্জ্ঞারে। বেশ কয়েকবার দেখা করার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু নানা কারনে দেখা হয় নাই। মনটা মাঝে মাঝে এখন খারাপ লাগে বেচারার সাথে দেখা হয় নাই। খুবি দুঃখী সেই ছেলেটা। জাহাঙ্গীরন গর থেকে পাশ করেছিলো।
সুন্দর খবরটা হলো সে সোনালী ব্যাংকে আইটিতে সিনিয়র অফিসার হিসাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া সবার দোয়া কবুল হয়েছে।
ও কিছুদিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলো ইসলামী ব্যাংক না ফ্লোরা টেলিকম চুজ করবে কারন ওর জব অফার দুটোতেই ছিলো। বেচারা একটু নামাজ কালাম আর ইসলামী পন্হী তবে যতদূর জানি ও শিবির বা হিজবুতী করে না, কারন ওর কন্ডিশন দেখেই বোঝা যায়, সকাল সন্ধ্যা দুটো চাকরী ওকে পুরা মেশিন বানাইয়া দিছে। কিন্তু ঐ পোস্টে ও শিবির করে না অন্যকিছু সেইটা নিয়া অনেক টানা হিচড়া করছে।
বেচারা পোস্ট টাই ডিলিট কইরা দিছে। তবে দুইটা চাকরিই ওর জন্য সুইটেবল ছিলো যদি স্ট্যাবিলিটি চিন্তা করি। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের এইটা আমার মনে হয় স্ট্যাবল।
সব আল্লাহর ইচ্ছা! বেচারার প্রতি একটা অনুরোধ, সে যেনো আল্লার পথে এবার কিছু করে! আর বাবা আর ভাইকে নিয়ে সুন্দর একটা পরিবার তৈরী কইরা নিজের জীবনের দিকে তাকায়!
আল্লাহ হাফেজ আর সবাই আমার এই ছোট ভাইটার জন্য দোয়া করবেন! আর সবাই যে যত কস্টেই থাকুক দয়া করে আল্লাহর কাছে হাত পাততে ভুলবেন না!
আল্লাহ হাফেজ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।