আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাজারে নতুন ট্রেন্ড এলইডি মনিটর



প্রতিদিনই নিত্য নতুন পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে প্রযুক্তির বাজারে। আর সেই বাজার ধরে রাখতে অনেকটাই হিমশিম খেতে হয় কম্পিউটার প্রস্তুতকারীদের। মানুষের চাহিদার উপর এবং অনেক সময় শখের উপর তাদের পণ্য তৈরী করতে হয়। যেমন- একসময় কম্পিউটার মনিটরের বাজার ধরে রেখেছিল এলসিডি মনিটর। কিন্তু বর্তমানে ধীরে ধীরে বাজার দখল করছে এলইডি মনিটর।

দেশের প্রযুক্তিবাজারে এলইডি মনিটরের চাহিদাও তৈরি হয়েছে। নিখুঁত ঝকঝকে ছবি চোখের সামনে মনিটরের পর্দায় দেখতেই এলইডি মনিটরের পিছনে ছুটছেন অনেকেই। নতুন প্রযুক্তির এই মনিটর নিয়েই এবারের ফিচার। কিছুদিন আগেও বাজারে মনিটর বলতে ছিলো ক্যাথোড রে টিউব বা সিআরটি-এর একছত্র আধিপত্য। কিন্তু সিআরটি এর জায়গায় আরো নতুন প্রযুক্তির এলসিডি মনিটর দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে যায়।

কিন্তু বাজারের মনিটর বিক্রেতাদের মতে, এলসিডি এবং সিআরটির তুলনায় আরো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলেই হালের এলইডি মনিটর দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এলইডি এবং এলসিডি এই দুইটি মনিটরের মধ্যে প্রধান পার্থক্যটাই হচ্ছে এর ব্যাকলাইটিং প্রযুক্তি। এলসিডিতে ব্যবহার করা হয় ফ্লোরোসেন্ট টিউব এবং এলইডি মানেই হচ্ছে লাইট ইমিটিং ডায়োড। অর্থাৎ ডায়োড থেকে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটবে এলইডিতে। লাইটিং প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য এলইডি মনিটরে আলো এড়িয়ে যেতে পারে না।

যার ফলে এর ছবির গুণাগুন অক্ষুন্ন থাকে। স্বচ্ছ ছবি ফুটে উঠে স্ক্রিনে। অন্যদিকে এলসিডিতে ফ্লোরোসেন্ট লাইটিং ব্যবহারের কারণে আলোর বিচ্ছুরণে বাধা পড়ে। ফলে কিছুটা হলেও স্ত্রিনে ছবির মান এলইডি থেকে কমে আসে। কিন্তু এও ঠিক, এলসিডি এখনো জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তি।

এই দুই ধরণের প্রযুক্তির মনিটরই এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সঙ্গে সিআরটিও আছে। এবং দামের দিক থেকেও খুব একটা পার্থক্য নেই। তাই ক্রেতাকেই বেছে নিতে হবে তার প্রয়োজনীয় মনিটরটি- এমনটাই জানিয়েছেন মনিটর বিক্রেতারা। দেশে ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রি করে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানেই পাওয়া যাবে এলইডি মনিটর। চাহিদা অনুসারে প্রয়োজনীয় আকার এবং দামে বিভিন্ন ফিচার মিলিয়েই মনিটর কেনার পরামর্শ দেন বিক্রেতারা।

তবে মনিটর কেনার সময় ওয়ারেন্টিসহ প্রযুক্তিগত সুবিধাও দেখে নিতে বলেন তারা। বাংলাদেশের বাজারে এলইডি মনিটর: বাজারে বর্তমানে এলইডির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাজারে বর্তমানে স্যামসাং, আসুস, এলজি, ফিলিপস, বেনকিউসহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের এলইডি মনিটর পাওয়া যাবে। মডেল: স্যামসাং বিএক্স ১৯৫০ স্যামসাং নিয়ে এসেছে সিঙ্কমাস্টার বিএক্স ১৯৫০ নামের একটি মডেল। মাত্র ৫-মাইক্রোসেকেন্ডে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারবেন তার মনিটর কাজ করতে শুরু করেছে।

সিমলেস মোশন ইমেজ এই মনিটরে যথেষ্ট স্বচ্ছভাবে যে কোন ছবি প্রদর্শিত হবে। গেম, মুভি থেকে শুরু করে যে কোন কনটেন্ট এই মনিটরে উপভোগ করা যাবে একদম স্বচ্ছভাবে। স্ত্রিন সাইজ হচ্ছে ১৮.৫ ইঞ্চি। এবং বাংলাদেশে এর দাম পড়বে ১০,৫০০ টাকা। মডেল: আসুস এমএস২২৮ এইচ আসুসের এই মডেলটির ২১.৫ ইঞ্চির মনিটর।

সম্পূর্ণ এইচডি এবং রেজুলিউশান ১৯২০x১০৮০ পিক্সেল-এর এইচডি মানের ছবি প্রদর্শিত হবে। এর ডিসপ্লেও যথেষ্ট স্বচ্ছ। ওজন ৬.৬ পাউন্ড। এর মূল্য ১৫,৫০০ টাকা। এলজি ই২০৪০ এলজি ই২০৪০ মনিটরটির পর্দার মাপ ২০ ইঞ্চি।

এরও ইমেজ কোয়ালিটি যথেষ্ট সন্তষজনক অবস্থানে আছে। ওয়াইড স্ক্রিনের কারণে প্রদর্শিত সকল ছবি যথেষ্ট সুন্দর দেখাবে। এটি ১৬.৭ মিলিয়ন কালার সাপোর্ট করবে। এর দাম বর্তমানে ১২ হাজার টাকা। বেনকিউ জি ৯২২এইচডিএল বেনকিউ-এর তৈরি ১৮.৫ ইঞ্চির এই মডেলটির ডিসপ্লের রেজুলিউশন হচ্ছে ১৩৬৬x৭৬৮পিক্সেল।

এবং ১৬.৭ মিলিয়ন রঙের সমন্বয় ঘটে এই এলইডি মনিটরে। দাম হচ্ছে ৯,৬০০ টাকা। প্রয়োজনীয় এলইডি মনিটর কেনা যাবে রাজধানী ঢাকার কম্পিউটার মার্কেট আইডিবি, এলিফ্যান্ট রোডের একাধিক কম্পিউটার মার্কেটসহ দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক আউটলেটগুলোতেই। এলইডিমনিটরের খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ‘এলইডির বিক্রি ভালোই হচ্ছে তবে এলসিডির পরিচিত এতোটাই বেশী যে এলইডি এখনও বাজার সেভাবে দখলে নিতে পারেনি’।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.