"I may disagree of what you say, but I will defend to the death - your right to say it." – Voltaire
একটি দেশের খুব গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে যখন কেউ যা মুখে আসে তা বলতে থাকে তখন তা সে দেশের সাধারন মানুষগুলোর জন্য খুব পীড়াদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, তাদের ভোটেই তারা যাকে নির্বাচন করেছে সেই ব্যক্তি/গোষ্ঠী/দল তাদের কথা বেমালুম ভুলে ব্যক্তিগত ক্রোধ/প্রতিশোধ চরিতার্থ করার নেশায় মত্ত।
আমাদের দেশে বর্তমানে ঈভ-টিসিং মহামারী আকার ধারন করেছে। আমরা আমাদের ধর্ম,সমাজব্যবস্থা,শিক্ষানীতি-এসবের কোনটাকেই দায়ী করতে বাকি রাখছিনা। অনেক ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন, কমিটি গঠন,আইন প্রনয়ন করা হচ্ছে।
কিন্তু এসবের কোনটাই কাজ করবে না। কারণ,আমাদের পচন শুরু হয়েছে মাথা থেকে।
কিভাবে???
রাজনৈতিক আক্রমণ ব্যতীত একজন ক্ষমতাসীন ব্যক্তি যখন বিরোধী দলের কারো জীবন/শিক্ষা এবং সংসার নিয়ে যা মুখে আসে তা বলতে থাকেন তখন পুরো জাতির ওপর তার প্রভাব পরে। যেমন কেন্দ্রের খুব কাছের ৪° কৌণিক স্বরণে পরিধিতে বিশাল স্বরণ হয়। কোন উল্লেখযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়া একজন বিরোধী দলীয় নেত্রীকে পূর্বানী হোটেলের রাতিযাপনকারীনি বলা,তার সন্তানদের প্রতি তার পদক্ষেপ/অবস্থানের সমালোচনা করা,তাকে “অশান্তি বেগম” আখ্যা দেওয়া, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অবান্তর প্রশ্ন উত্থাপন করার মাধ্যমে মূলত জাতি কাছে নিজেকেই ছোট করা হয়।
দেশের একজন প্রধান যদি আরেকজন কে নিয়ে এতটা নিম্নমানের কথা বলে যেতে পারেন সে দেশে নাগরিকরা নিজেদের প্রতি,নারীদের প্রতি এবং নারীনেতৃত্বের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল হবেন তা সহজেই অনুমেয়।
একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করতে গিয়ে কে কোন পরীক্ষায় ঊর্দূ আর অঙ্কে পাশ করেছে তার গীত গাওয়ার দরকার পড়ে কেন তা জাতি বোঝে না, জাতি শুধু বলিষ্ঠ নেতৃত্ব চায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।