আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছেঁড়া পালের নৌকা আর মাঝির ভাবনা-২



কি লিখব বুঝে উঠতে পারছিনা। কিন্তু লিখতে ইচ্ছে করছে। হাবিজাবি কিছু একটা হবে শেষে জানি। থাক না। আমি তো আর সেই বুড়ো রবীন্দ্রনাথ নই যে হৃদয়ের কথামালা গুলোকে অমন শেষ বিকেলের আলোর মত করে রহস্যময় সুন্দর রূপ দিতে পারব।

এইতো কিছুক্ষণ আগে সন্ধ্যা নামল ঝুপ করে। বিকেলের শেষ দিকে সূর্যটা ডুবিডুবি করতে করতে হঠাৎ করে পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে পড়ে। তার এই খেলা করতে করতে বেজে যায় ৯টারও বেশি। আমরা হলাম ৬টা থেকে ৬টার মানুষ। শরীরের মেটাবলিজমও সূর্যের সাথে সাথে চক্রাকারে ঘোরে।

এখনও আমি ঠিক মানিয়ে নিতে পারিনি এখানকার এই খেলার সাথে। আমার কাছে এখনও সন্ধ্যে মানে হল সূর্যের মুখ লুকানো। এরপরই না রাতপরীটা আসে। কিন্তু সে আসতে আসতে আজকাল এত দেরী করে ফেলে! কিছু করবার আগেই দেখি রাত বারোটার ঘন্টি বাজে। এই নিষ্ঠুর নির্মম পৃথিবীর চাপিয়ে দেয়া কিছু কাজ যে এই অধম ভবঘুরে "আমি"র করতেই হয়- এ কি বোঝেনা রাতের পরীটা? তার সাথে যে দু'দণ্ড জমিয়ে ভাব করব, সেই সময়টুকুই পাইনে এখন।

ভাব জমাবার জন্যে আগে কত কিছুর আয়োজন করতাম-সেতারের ঝঙ্কার, গিটারের কর্ড কিংবা পিয়ানোর টুংটাং। আজকাল আর আসর বসানো হয়ে ওঠেনা। কখনো আসর বসত চৌরাসিয়ার বাঁশি,বিসমিল্লা খাঁ'র সানাই, কখনোবা স্টিভ দার সেই জাদুকরী গিটার খেলা, কখনো বা রবিশঙ্কর তার সম্মোহন নিয়ে। "আবোলতাবোল" বইও পড়া হয়ে ওঠেনা আজকাল। কবিতা তো পালিয়েছে অনেক আগেই।

এখন হঠাৎ টিনটিনের কমিকসগুলো পড়তে ইচ্ছে করছে। সামনে যদিও পরীক্ষার ঝামেলা আছে, তারপরও পড়ব আজ। দেখতে হবে তো কোথায় রেখেছি টিনটিন আর স্নোয়ি কে। আজ রাতের পিক্সিকে আনবোই ঘরে। এই কদিন ধরে বাইরে গেলেই কানে কান-গোঁজাতে এখানকার এফএম রেডিও শুনতে শুনতে বাসে সময়টুকু কাটাই।

তাই বেশকিছু নবীন ইতালিয়ান গানের সাথে, গায়কের সাথে পরিচয় হল। তারপর খোঁজ খোঁজ। আমার ইতালিয়ান বন্ধুটি সাহায্য করেছে অনেক। বেশকিছু গান পেয়েছি তার কম্পুর স্টোরেজ থেকে। গিগাবাইটে পরিমাণটাও কম নয়।

প্রায় তিন অঙ্ক ছুঁইছুঁই। এই মুহূর্তে শুনছি জোভানত্তির "A te (অর্থটা খুব সম্ভব তোমার জন্যে)" গানটা। আমার প্রিয় লিস্টের একটা গান। জীবনটা কেন পিয়ানোর সুরের মত এত সুন্দর? রাত ০৯.৩০ বুধবার, ১০ জুন,২০০৯।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।