আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পালের গোদার অর্থ কি? ও আলকুশি সমাচার

পছন্দ নির্জন বাস, বই পড়া, গান শুনা, আবৃত্তি করা । পেশা দিন মজুর।

হাসান বৈদ্য আলকুশি একটি শিম জাতীয় লতা গাছ। এর ফল দেখতে অনেকটা পারিজাত ও তরুকলার মত। তরুকলাকে অনেকে বড় আল কুশিও বলে।

এটি যত না ঔষধী গাছ হিসাবে পরিচিত তার চেয়ে বেশি পরিচিত এর হুল বা শুয়র জন্য। আলকুশির শিমের গায়ের ত্বকের সাথে অসংখ্য হুল থাকে। ফল যখন পেকে যায় তখন এই হুল শুকায়ে সূক্ষ্ম লোমের মত শক্ত হয়। এই হুল শরীরে লাগলে প্রচণ্ড চুলকায়। দুষ্ট লোকেরা এই হুল ছাড়ায়ে কাগজে জড়ায়ে রেখে দেয়।

সুযগ বুঝে হাতের তালুতে রেখে ফু দিয়ে কৌশলে উদ্দিষ্ট মানুষের গায়ে ছিটায়ে দেয়। যার গায়ে পরে সে অসহ্য জ্বালায় ছটফট করতে থাকে। ওষুধ হিসাবে আলকুশির শুটি দানা ব্যবহৃত হয়। এটি অত্যন্ত বল বর্ধক এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে ও যৌন শক্তি অটুট রাখে। বনে জঙ্গলে আলকুশি প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মে থাকে।

বর্তমানে এর ব্যাপক চাহিদার জন্য বানিজ্যিক ভাবে চাষ হয়। আমাদের দেশে এর সামান্য চাষ হয়। এর সিংহ ভাগ ভারত থেকে আমদানি করা হয়। যে বনে আলকুশি প্রচুর পরিমাণে জন্মে সে বনে বানরের আনাগোনা বেশি। কারণ আলকুশি বানরের প্রিয় খাদ্য।

তবে সব বনরের না বিশেষ বানরের প্রিয় খাদ্য। অবশ্য এর বিশেষ কারণ আছে। কারণের অর্থটি একটু কদর্য। আমরা পালের গোদা কথাটির সাথে পরিচিত। কিন্তু এর অর্থের সাথে সবাই পরিচিত না।

পালের গোদা অর্থটিও কদর্য। এই কদর্যতা ইদ্ঘাটনের জন্য পাঠকদের কাছ থেকে মাপ চেয়ে নিচ্ছি। একটি বানর দলে অনেক বানর থাকে অনেকেই নিজেদের পছন্দ মত জোড়ায় জোড়ায় থাকে এবং তারা তাদের পছন্দের জোড়ার সাথে একে অপরে যৌন কাজ চালায়। কিন্তু যতই জোড়া থাক না কেন, দলের সব মেয়ে বানরের উপর মর্দামী ফলায় পালের মধ্যে যার দাপট ও শক্তি বেশি সেই বানর। অন্য সব বানর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের যৌন সঙ্গীদের ভাগ ছেড়ে দেয় দলের (পালের) সর্দারের (গোদার) জন্য।

ইতমধ্যে পালের গোদা কথাটির ভাবার্থ করা হয়ে গেছে। এবার আরেকটু খোলাসা করা যাক। পাল কথাটি অর্থ দল। আর গোদা কথাটি এসেছে গুদ থেকে। গুদ অর্থ যৌনাঙ্গ।

গুদ মারায়, অর্থাৎ যৌন ক্রিয়ায় যে পারদর্শী সেই গোদা। তাহলে পালের গোদার অর্থ হচ্ছে কোন পশু দলের সর্দার এবং সেই দলের মধ্যে যে সকল মাদী পশুর উপর মর্দামীতে পারদর্শী। এই পালের গোদার হিম্মত ঠিক রাখার চন্য চাই অফুরন্ত যৌন শক্তি। বানর সর্দার তার যৌন শক্তি ঠিক রাখে আল কুশি খেয়ে। বানর আল কুশি খেয়ে যাতে সব শেষ না করে সে জন্য প্রকৃতি আল কুশির গায়ে হুল তৈরী করে দিয়েছে।

বানর হুলের ভয়ে আল কুশি গাছে থাকা অবস্থায় হাত দিয়েও ছোঁয় না। আল কুশি পেকে যখন মাটিতে পড়ে তখন সে সেগুলি কুড়ায়ে কুড়ায়ে খায়। আর ঝোপ ঝাড়ের আড়ালে যে বীজ গুলি অদৃশ্য হয়ে থাকে সে গুলিই পরবর্তীতে বংশ রক্ষা করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.