গত কয়েকদিন ধরেই হৃতিক রোশন ও সুজান রোশনের বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন চলছে বলিউডে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবিও করা হয়েছে, ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন হৃতিক-সুজান। কিন্তু সম্প্রতি এসব খবরকে ভিত্তিহীন গুজব বলেই দাবি করলেন হৃতিক। একই দাবি করেছেন সুজানের বোন ফারাহ খান আলীও।
অবশ্য একটু ঘুরিয়ে-পেঁচিয়েই খবরটি অস্বীকার করেছেন ৩৯ বছর বয়সী হৃতিক।
এ প্রসঙ্গে এক টুইটার বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি মনে করি, নিজের জীবনের চেয়ে আমার আশপাশের মানুষ যাঁরা আমায় ভালোবাসেন তাঁদের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। ’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ইন্দো-এশিয়ান নিউজ।
এদিকে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সুজানের বোন গয়না নকশাকারী ফারাহ খান আলী এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘সব সময় তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা গুজব রটানো হয়। খবরের পাতায় আপনারা যা পড়েন তার সবটা বিশ্বাস করবেন না। এটা খুবই দুঃখজনক যে, কারও ব্যক্তিগত জীবন ঘাঁটাঘাঁটি করে জীবিকা নির্বাহ করেন এক শ্রেণীর অসাধু সাংবাদিক।
’
চলতি মাসের শুরুর দিকে হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশনের ৬৪তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সুজান তাঁর মা-বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে অতিথি হিসেবে হাজির হন। শুধু তা-ই নয়, বেশ দেরিতে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও মাত্র আধঘণ্টা পরেই সেখান থেকে চলে যান সুজান। তাঁর এমন সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি ও হঠাত্ চলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নানা কানাঘুষা হয়।
হৃতিক-সুজানের সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও জিনিউজে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, সম্ভবত ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন হৃতিক-সুজান। বেশ কিছুদিন আগেই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি গিয়ে উঠেছেন সুজান।
হৃতিক-সুজান দম্পতির দুই ছেলে রিহান ও রিদান
হৃতিকের সঙ্গে দাদুবাড়িতে থাকছে। মায়ের সঙ্গে দেখা করতে তারা মাঝেমধ্যে নানাবাড়িতে গেলেও, সুজান একদমই শ্বশুরবাড়িতে যান না ছেলেদের দেখার জন্য।
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ও নির্মাতা সঞ্জয় খানের মেয়ে সুজানের সঙ্গে হৃতিকের বিয়ে হয় ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর। একই বছরের জানুয়ারিতে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন হৃতিক। কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন হৃতিক-সুজান।
২০০৬ সালে তাঁদের ঘরে আসে প্রথম ছেলে রিহান। দুই বছর পর তাঁদের দ্বিতীয় ছেলে রিদানের জন্ম হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।