রিয়াল মাদ্রিদের তৃতীয় সহ-সভাপতি পেদ্রো লোপেস মার্তিনেস স্পেনের ক্রীড়া দৈনিক এএসকে বলেছেন, রিয়াল কোনো ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত নয়।
ফিফার ‘প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি’ -এর সদস্য মার্তিনেস বলেন, “ফিফার সদস্য হিসেবে আমার অথবা রিয়াল মাদ্রিদের বার্সেলোনার শাস্তির ব্যাপার নিয়ে কিছু করার নেই। ”
বার্সেলোনার কম বয়সী খেলোয়াড়দের চুক্তিবদ্ধ করা নিয়ে সম্প্রতি ফিফা তদন্ত করে। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানায়, ১৮ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ করা নিয়ে স্পেনের ক্লাবটি আইন ভঙ্গ করেছে। এই অপরাধের জন্য বার্সেলোনাকে খেলোয়াড় কেনার ওপর ১৪ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
সঙ্গে অর্থ জরিমানাও করেছে ফিফা।
খেলোয়াড় কেনাবেচার বিষয়ে কোনো অনিয়ম অথবা অভিযোগের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব ফিফার ‘প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির’। লোপেস এই কমিটির সদস্য বলেই হয়ত, বার্সেলোনায় শাস্তির ব্যাপারে তার নামটি উচ্চারিত হচ্ছে।
বার্সেলোনার সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ এরই মধ্যে 'বার্সেলোনা বিরোধী কার্যক্রম' খুঁজে পেয়েছেন। আর বার্সেলোনার সহ-সভাপতি হাভিয়ের ফাউস এটিকে দেখছেন বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে।
লোপেসের দাবি, বিষয়টি কমিটির আলোচনায় ওঠার আগে তিনি জানতেনই না।
“ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনে প্রস্তাবনায় আমি বিষয়টি জানতে পেরেছিলাম। রিয়াল মাদ্রিদও ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। ”
এএসকে তিনি বলেন, “বার্সেলোনার সম্ভাব্য শাস্তি নিয়ে আলোচনা হওয়া দুটি সভায় আমি ছিলামই না। এটা পরিষ্কার করতে চাই, আমি যে কমিটিতে আছি, সেই কমিটির শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা নেই।
”
শাস্তি দেয়ার বিষয়টি ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটির হাতে উল্লেখ করে লোপেস বলেন, “এ নিয়ে আমার বা রিয়াল মাদ্রিদের কিছু করার নেই। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।