আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রশ্নহীন শাহবাগী জনতা, আপনারা সন্তুষ্ট হয়ে যান

ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে শাহবাগী মঞ্চ সরকারের উপরে যেমন সন্তুষ্ট, তেমনি সরকারও শাহবাগী আন্দোলনের প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এদিকে আমরা জনগণ সন্তুষ্ট কারণ, এরা যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়। বা সঠিক কইরা বলা উচিত, চাইতো। শুরুতে কাদের মোল্লার ফাসি চাইতো, এরপরে ছাগুনিধন করতে চাইতো, এরপরে শহীদদের বিচার চায়, এরপরে মাহমুদুর এসাঞ্জের গ্রেফতার চায়। কিন্তু কখনই সরকারের উপরে চাপ দিতে চায় না।

সরকারের প্রতি এত সংবেদনশীল সহানুভূতিশীল গণজাগরণ এর আগে দুনিয়ার কোথাও হইসে জানা নাই। সেকারণেই সরকার গানম্যান পাঠায়, পাইক বরকন্দাজ দিয়ে শাহবাগ পাহারা দেয়। ওয়াসার পানি, সিটি কর্পোরেশনের হাগাখানা হাজির হয়ে যায় খেদমতে। এখন মনে হয় শাহবাগ থিকা 'সাঈদীর রায় কই?' বা বাচ্চু রাজাকাররে কে ছাইড়া দিল, কবে তারে ধরবে- এমন দাবিগুলা আসলে সবচেয়ে বিব্রত হবে সরকার। কিন্তু তারা খুব কনফিডেন্ট, ইমরান সাব থাকতে এইসব বেয়াদপ জিজ্ঞাসা কেউ মঞ্চ থিকা করবে না।

মঞ্চ লাইনে আইসা গেছে আন্দোলনের ৭ম দিন থিকা। এরপরে বেলুম, মোমবাতি, আগরবাতি, পতাকা, এটিএম বুথ কতো কিছুই জ্বললো। কিন্তু বার্নিং কোশ্চেনগুলা কেউ করলো না। কেউ বললো না, সাঈদীর দুই ডজন সাক্ষী ক্যামনে সরকারী জমিন থিকা হওয়া হইয়া গেল। মঞ্চে ব্লগাররা কই? এক্ষণে দেশের এই অরাজক পরিস্থিতিতে সবচেয়ে শান্তিতে আছে সাঈদী।

পরিস্থিতি যত অরাজক হবে, পাবলিক যত বিচারের দাবি থুইয়া ছাগুনিধন বাশেরকেল্লাতে আগুন, সোনাব্লগ ব্যান, আমার দেশ ব্যান- এইসব দাবিতে মুখর হবে, জামাতিদের ততই আরাম। দুই সপ্তাহ আগেও পল্টন অফিসের তেনা পেচাইতে মানা করা হইতো। এখন সবচেয়ে বড় তেনা শাহবাগের মঞ্চ থিকাই আসতেছে। জামাতের শুরু করা নাস্তিক ট্যাগ, আমার দেশের ট্রিগারিং স্ত্রিনশটের এন্টি-ইসলামিক ব্লগ পোস্ট যেমন সব ব্লগারকে নাস্তিক হিসাবে মাদ্রাসামুখী ইসলামি দলগুলারে বিশ্বাস করাইসে- সকল ব্লগার নাস্তিক। তেমন মেইনস্ট্রিম প্রচার মাধ্যমের মোটা দাগের বিশ্লেষণ- সকল টুপিই জামাত।

টুপির তলায় এক এক জনের এক এক মত-পথ আছে- সেটা অস্বীকার করাও গোড়ামি। মোটা বুদ্ধির এই খেলায় সবচেয়ে নিরাপদ সিঙ্গাপুরের নেত্রী, মসনদে আসীন ধানকন্যা আর উত্তম চিকিত্সাসেবা- বাড়ির খানাদানা পাওয়া বন্দী গোলাম আজম। সবচেয়ে অরক্ষিত আপনি। ওহে প্রশ্নহীন জনতা, আপনারা সন্তুষ্ট হয়ে যান। যেমন 'বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্ট' হবার খবর দিয়েছিল দুদক।

তেমনি, সন্তুষ্ট জনতার খবর আর বাংলা দেশপ্রেম রচনার প্যারাগ্রাফ চুরি করে রোজ পত্রিকার পাতা চেতনার জয়গান দিয়ে ভরে উঠবে। কিন্তু বিচারের রায় আর আসবে না। একজন যুদ্ধাপরাধীও দেখবে না ফাসির দড়ি। ভোটের রাজিনীতিতে, জামাত নিষিদ্ধ করলে যেমন বিএনপির খুব উপকার, তেমনি আপনার চেতনার চামড়ার পরিচর্যায় আওয়ামী লীগের উপকার। ওটা ছাড়া চোষার মত আর কিছুই রাখে নি দেশে।

সবই ছোবড়া। ------------------------------------------------------- শাহবাগ মঞ্চ দালাল মুক্ত করেন, কালকে থেকে বন্দুকের নল শাহবাগের দিকে ঘুরে যাবে। কথা দিলাম। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বদলে বুলেট জুটবে। কিন্তু কেউ চেতনার বেলুন উড়ানোর সাহস পাবে না ----------------------------------------------------- গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যাপক বিজয়ের পর লিখেছিলাম "ভোটের ভাত কুত্তায় খায়".... অনেকের ভালো লাগেনি।

এটা লেখার কারণ ছিল স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে এত আন্দোলন (দুই দলের যুগপত) এত হত্যা নির্যাতনের পর আবার সেই স্বৈরাচার পুনর্বাসন হয়েছে। ওই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন কি শাহবাগের চেয়েও ব্যাপক ছিল? সেটা কেন ব্যর্থ হলো? আজকে বিচারের দাবি দিয়ে আন্দোলন শুরু করে অনেক দূর চলে এসেছে শাহবাগী নেতারা। দাবিগুলোতে যুদ্ধাপরাধের বিচার কোথায়? সরকারের জামাত নিষিদ্ধ করব করছি হচ্ছে এসব শুনতে শুনতে বিরক্ত। ২৬ শে মারর্সের মধ্যে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরুর দাবিটাই ঘোলা। প্রক্রিয়া কে করবে- সরকার- নির্বাচন কমিশন- নাকি ট্রাইবুনাল? শুরু মানে কি ফাইল খোলা নাকি, অভিযোগ জমা দেয়া? এদিকে ম্যাডাম খালেদা এখন সিঙ্গাপুরে হাত খিলাল করছেন।

দাত খিলাল করছে সাঈদী। সাঈদীর রায়ের দাবি এখন শাহবাগেও শোনা যায় না। আমার দেশকে দিয়ে উস্কানি দিয়ে সারা দেশ যখন জ্বলছে, তখন এসব দাবি মাথায় আসবে না। আরেকবার যদি ওই জামাতিদের কাধে ভর করে বিএনপি ক্ষমতায় আসে- আবার লিখতে হবে - "ভোটের ভাত কুত্তায় খায়" ------------------------------------- ৪লাখ মসজিদের কয় লাখ লোক নামসে? ৩ লাখ? হবে? আচ্ছা ২ লাখ? ঠিকাছে? ১ লাখ! - ধুর মিয়া। তুম্রা কুন কামের না।

উল্টা পাবলিক খেপায়া দিসো। যাও কাল্কা থিকা গনতন্ত্র মঞ্ছ করবা। আমি থার্ড পেপারডা শেষ কইরা এরপরে আশবো দেশে...এইবারের টাইটেল "ডেমক্রেসি ইন বাংলাদেশঃ বাই দা মোল্লা, ফরদা মোল্লা, ফরেন পলিসি খুল্লা" ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।