ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো ১৯ জন এলিট ব্লগারকে গানম্যানের শুভেচ্ছা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার মোবারকবাদ। অতঃপর আপনারা গণভবনের কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবেন?
জনতার মঞ্চে দাড়ায়ে আপনারা জনবিচ্ছিন্নতার যে অবতার সেজেছেন তা রাজনীতিবিদদের জন্য প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি নিয়ে আসা শাহবাগি জনতাকে ছাগু নিধনে লাগিয়ে দিয়ে এখন বিচারের কথা ভুলে গেলেন? কোথায় সাঈদীর রায়- প্রশ্ন করতে পারেন? গতবছরের ডিসেম্বর থেকে অপেক্ষায় আছে আইজুদ্দিনরা।
আপনারা অনলাইন এক্টিভিস্ট পীর, গণতন্ত্র চাবকান টকশোতে- কোথায় সেই গণতন্ত্র থাকে যখন নিজেরা দাবি দাওয়া পেশ করেন? কখনও অনলাইনে পোষ্ট করে জেনে নিয়েছিলেন, কতজন ৭ঘন্টা আন্দোলনের পক্ষে ছিল? গেল ১২দিনে কোন দাবিটা অনলাইনে পোষ্ট করসেন? রাজীবের লাশ আপনাদের ভাড়ামি দেখা থেকে জনগঙ্কে বঞ্চিত করেছে। নইলে আজকে ৭ঘন্টার প্যাকেজ আন্দোলন দেখতে হতো।
জামাত নিষিদ্ধ করার বিল দাবি করেছেন, পেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল এক্টের সংশোধনী। তালিয়া দেন। ওই প্রসিকিউশন ওই ট্রাইবুনালেই করবে জামাতের প্রাতিষ্ঠানিক গনহত্যার বিচার- যারা কাদের মোল্লার ফাঁসি দিতে পারে নাই। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিশনের ব্যর্থতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সৎসাহস আছে?
জয় প্রশ্নহীন ব্লগিং। জয় বাংলা।
জয় প্রশ্নহীন জনতা।
----------------------------------
প্রথম আলোতে প্রশ্ন কমেন্ট করেছিলামঃ জামাত নিষিদ্ধ করার বিল কোথায়? এটাত ট্রাইব্যুনাল এক্টের সংশোধনী। এই আইন নিয়ে আবার ট্রাইবুনালেই আসতে হবে, এই ভাঙ্গাচোরা প্রসিকিউশনকেই অভিযোগ গঠন করতে হবে। যারা কাদের মোল্লার গনহত্যায় জড়িত থাকার পরেও ফাঁসির জন্য পর্যাপ্ত যুক্তিতর্ক দিতে পারে নাই, দুই মাসে সাঈদির রায় দিতে পারে নাই, তাদের ঘাড়ে আরো জামাতের যুদ্ধাপরাধ বিচারের বোঝা চাপিয়ে এটাকে নির্বাচন পর্যন্ত টেনে না গেলেই কি নয়?
মডারেশনের পরে প্রথম আলো ছেপেছে "জামাত নিষিদ্ধ করার বিল কোথায়?"
ভুল আমারি, আমার দেশের কমেন্ট প্রথম আলোতে কইরা ফেলসি
----------------------------------
আসসালামু আলাইকুম। এটিএন বাংলার রাতের সংবাদে স্বাগতম।
আজ প্রধানমন্ত্রী একুশে বইমেলায় কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এর মধ্যে ছিল 'পদ্মা সেতুর টেকাটুকা'- লিখেছেন আবুল মাল, আবুল হোসেন ও আবুল হাসান। আরেকটি বই শেখ হাসিনা নিজেই লিখেছেন, নাম 'ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিব'... পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন "শাহবাগের গণআন্দোলন আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নের ফসল। '
এইদিকে বাংলাদেশ সাইবার হুজুরস এক আলোচনা সভায় জানায় 'গনহত্যা অপেক্ষা নাস্তিকের জানাজায় গুনাহ বেশি'...অনুষ্ঠানে সভাপতি গামছা ম্যান বলেন "হুজুরের পাজামা দেইখাই বুঝসি, অজু নাই। "
এর প্রতিবাদে আজ প্রেসক্লাবে শতাধিক ব্লগার একত্রিত হয়ে সাংবাদিকদের জানান "বিয়া শাদির যা চান্স ছিল একটু, ছাগলের বাচ্চা লেদায়া নষ্ট কইরা দিল।
মাহমুদুর এসাঞ্জ এখন সব ব্লগাররে নাস্তিক বানায়ে ছাড়বে। মুরুব্বিরা বলবে, ছেলে ভালো- শুধু একটু ব্লগে যায়। ---আর সারসে। ছেলে পাড়ায় গেলেও বিয়া হবে, কিন্তু ব্লগে গেলে কুন সম্ভাবনা নাই। কেনু কেনু কেনু"
এদিকে সাধারণ ব্লগাররা এলিট ১৯ ব্লগারকে প্রশ্ন রাখেন, "আপনাদের গ্রাহস্ত অর্থনীতি পরীক্ষা কবে শেষ হবে? আমাদের কিছু বিজ্ঞানের প্রশ্ন ছিল।
"
জবাবে জনৈক এলিট বলেন "আপনে লাইনে আসেন"
আরেক ব্লগার উত্তরে বলেন "আমরা ১৪ দিন লাইনেই ছিলাম কিন্তু আপনারা কুন ঘোষণা ওন্লাইনে না দিয়া কুই থিকা ৭ ঘন্টার আন্দোলন নামান? বাচ্চু রাজাকার কোথায়, প্রসিকিউশনকে কবে নুতুন উকিল দিয়ে শক্তিশালী করা হবে, কবে মেশিন ম্যানের রায় হবে?"
জবাবে এলিট ব্লগারস বলেন "আপনেরা শাহবাগে আসেন"
এদিকে এক স্কিপ আলাপনে লন্ডনি আইনবিশেষজ্ঞ মিস্টার সাইলেন্টের কাছে আমাদের প্রতিনিধি জিজ্ঞাসা করেন "এই আইনি সংশোধনীর ফলে কবে নাগাদ জামাতের বিচার শেষ হতে পারে বলে মনে করেন?"
উনি চটপটে উত্তর দেন "আমরা ৪২ বছর অপেক্ষা করেছি, আর বেশি দিন দেরী নাই, যেদিন বাংলার মাটি থেকে জামাত নিষিদ্ধ হবে। "
-'সাইলেন্ট ভাই, আপনি সঠিক কত সময় লাগতে পারে মনে করেন?'
জবাবে উনি হাসি মুখে বলেন "২০১৩ থেকে ২০১৭পর্যন্ত গুনতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণ। মাঝে একটা ইলেকশন আছে। ইলেকশনের নুন এরপরে একটা লম্বা গুন্না হবে। পড়বেন ইলেকশনননননননন"
শাহবাগ থেকে জামাতি পণ্য বর্জনের ডাকের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে এটিএন পরিবার।
এখন নিচ্ছি ইসলামী ব্যাংক বিরতি। সাথেই থাকুন। আমাদের ডিয়েনএ পরিস্কার
-------------------------------
খবর: শাহবাগের আন্দোলনে টানা অংশগ্রহণ করে অসুস্থ হয়ে ব্লগার তরিকুল ইসলাম শান্তর ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নানিল্লহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন । আল্লাহ্ তাঁর আত্মার মেগফেরাত দান করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।