এর মধ্যে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ট্রাক চালক নিয়ম ভেঙে প্রায় ২৫ জন যাত্রী বহন করছিলেন। আর বাসচালক মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
আর দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দুই বাসের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে মা মেয়েসহ তিন জনের। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
বগুড়ার ঘটনাটি ঘটে রোববার বেলা ৩টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলা এলাকায়।
শাজাহানপুর থানার ওসি মাহমুদুল আলম জানান, রংপুর থেকে ঢাকাগামী এসআর ট্রাভেলসের বাসটি ফুলতলায় পৌঁছানোর পর বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি বাহনই উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় ট্রাকে থাকা এক শিশু ও এক নারীসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরো তিনজন।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
ওসি জানান, আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. অক্ষয় কুমার জানান,
আহত বাসযাত্রী রুমানা হাসপাতালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় বাস চালক মোবাইলে কথা বলছিল। তাই হঠাৎ ট্রাকটি সামনে চলে এলে তিনি বাস ঘোরাতে পারেননি।
আর ট্রাকের আরোহী গাইবান্ধা সদরের পূর্বতলার বাসিন্দা আঙ্গুর (২৮) জানান, তারা প্রায় ২০/২৫ জন মিলে ওই ট্রাকে করে গাইবান্ধা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন।
নিহতরা এবং আহত অধিকাংশই ট্রাকের যাত্রী।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেডিকেলে আহতদের দেখতে যান।
বগুড়ার এনডিসি আরিফুজ্জামান জানান, যারা তুলনামূলক কম আহত, তাদের অন্য গাড়িতে করে ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
এদিকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দিনাজপুর-পঞ্চগড় সড়কের ভাবকি পাঁচপীর এলাকায় বেলা আড়াইটার দিকে দুই বাসের সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল হক প্রধান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দিনাজপুর থেকে পঞ্চগড়গামী শাহজালাল পরিবহনের সঙ্গে বিপরীতমুখী তাহমিনা এন্টারপ্রাইজের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে কাহারোল উপাজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের দিপনগর গ্রামের হানিফের স্ত্রী লাইলী বেগম (৩৫) ও তার সাত বছর বয়সী মেয়ে ফারজানা আক্তর এবং আনুমানিক ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী নিহত হন। আহত হন দুই বাসের অর্ধ শতাধিক যাত্রী।
নিহতরা সবাই শাহজালাল পরিবহনের যাত্রী বলে ইন্সপেক্টর হাবিব জানান।
তিনি বলেন, আহতদের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
বিকেল ৪টার পর যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।