বাংলাদেশে 'যুবতি' বানানটি এখনও চালু হয়নি। এখানে 'যুবতী' বানানটিই চলছে।
কলকাতার একটি দৈনিকে 'যুবতি' বানান দেখে বাংলাদেশের এক সমালোচক লিখেছিলেন, 'যুবতীর পিঠে দীর্ঘ ঈ কারের যে ঘোমটা রয়েছে, তা টেনে খুলে তার বুকে হ্রস্ব-ই কারের এক চিলতে ওড়না চাপিয়ে দিলে যুবতীর শালীনতা কতটুকু বাড়বে'?
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় 'যুবতি' বানানটিও মেনে নিয়েছেন। কারণ সংস্কৃত ব্যাকরণ মতে, বিকল্পে 'যুবতি' বানানটিও শুদ্ধ। যেমন করে 'শ্রেণি' বাননানটিও শুদ্ধ।
কিন্তু ভাষার গতিশীলতার জন্য বিকল্প বানান কম থাকাই ভালো।
এক সময় হ্রস্ব-ই কারের প্রচলন বাড়তে থাকায় বা হ্রস্ব-ই কারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরার জন্য সংস্কৃত অভিধান ঘেঁটে বিকল্প বানানগুলো খুঁজে বের করার একটা বাতিক সৃষ্টি হয়েছিল।
বর্তমানেও কেউ কেউ প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে বাংলা ভাষা থেকে দীর্ঘ-ঈ কার তাগানোর জন্য রীতিমতো আদাজল খেয়ে নেমেছেন। তবে তৎসম শব্দের দীর্ঘ-ঈ কার তাড়ানোর ঘোষণা দিতে এখনো সাহসী হননি।
তত্ত্ববোধিনী মতে, 'যুবতি মানে যে নিজেকে পতির সঙ্গে মিশ্রিত করে'।
অভিধানে যুবতি শব্দের অর্থে বলা হয়েছে যৌবনপ্রাপ্ত নারী, তরুণী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।