<<মধ্যরাতের হাইওয়ে>>
আজ ১ নভেম্বর। বহু আগে থেকেই সরকার ঘোষণা দিয়ে আসছে যে, আজ থেকে বাইক চালানোর সময় হেলমেট এবং গাড়ি ড্রাইভ করার সময় অবশ্যই সিটবেল্ট বাধতে হবে। নিয়মটা ভাল এবং মেনে চলা দরকার। অবশ্য আমাদের ঢাকা শহরের "এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে"(!) গুলোতে গাড়ির যে পরিমাণ গতি সেক্ষেত্রে সিটবেল্ট ড্রাইভারদের জন্য কতটুকু কার্যকরী তাও ভেবে দেখা দরকার। এ ক্ষেত্রে আমরা যাআ ম্যাঙ্গো পিপল আছি , তাদের জন্য সিটবেল্ট এবং "হ্যাঙ্গার বেল্ট" (!) দরকার।
কেননা, পাবলিক পরিবহনগুলাতে (লোকালই বলেন আর কাইন্টারই বলেন) যেভাবে আমরা বাদুড় ঝোলা হয়ে যাতায়াত করি , সেক্ষেত্রে ওই বস্তুগুলো আমাদেরই প্রয়োজন বেশি।
কেননা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েগুলো দিয়ে চলার সময় কিছুক্ষণ পর পরই বাস চালকের ব্রেক, সেই সাথে ঝাকি। যারা বসে থাকেন , তারা মোটামুটি সুস্থ থাকলেও যারা দাড়িয়ে থাকেন, তাদের অবস্থা দফারফা। এই গণপরিবহনগুলোতে যত মানুষ বসে থাকেন তার দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ মানুষ দাড়িয়ে থাকেন। আর স্পেশাল ব্যবস্থায় গেটের হাতল ধরে কিংবা শুধুমাত্র পায়ের বৃদ্ধ আঙ্গুলের উপর ভর করেও অনেকে আসা যাওয়া করেন।
তো এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া আমাদের কাছে রীতিমত স্বপ্নের ব্যাপার হয়ে দাড়ালেও উপায়তো একটা বের করতেই হবে।
সেই জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আমার আকুল আবেদন এই যে, অন্তত আমরা যারা ম্যাঙ্গো পিপল ঢাকাবাসী তাদের অবস্থার কথা চিন্তা করে হলেও "হ্যাঙ্গার বেল্ট" নামক একখানা বস্তু আকিষ্কার করা হোক, যেটা দিয়ে আমরা বাসে ঠিকভাবে দাড়িয়ে এবং বসে যেতে পারব এবং গেটের বাদুড়গুলো যাতে কোনরকমে জীবনখানাকে হাতে করে গন্তব্যে পৌছতে পারে। । ।
হেলমেট পরলে কি নায়কের মত লাগে না ??
আইন , তুমি কার লাইগা ???
(ছবি : শীর্ষনিউজ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।