"অপার্থিব অপূর্নতা শব্দটা আমার বিশেষ প্রিয়। আভিধানিক ভাবে কী অর্থ তা ঠিক জানা না থাকলেও আমি আমার মত একটা ব্যখ্যা বানিয়ে নিয়েছি বৈকি। অপার্থিব অনূভূতির ক্ষেত্রে আমার মন-এ হয় যে, আমরা সব সময় অপূর্নতা বয়ে বেড়াই।
(ইহা একটি কল্পনাপ্রসূত কাহিনী, কোন বাস্তব ঘতানার সাথে সাদৃশ্য কাকতাল মাত্র)
পাঁচ বছরের ইজারা নিয়ে রাখাল বাহাদুর বড়ই বিপদে পড়িয়াছেন। কতকিছুই না তিনি করিলেন! কালো ছাগল আনিয়া রাতের অন্ধকারে দুষ্ট ছানাপোনাদের ক্রস-ফায়ারে দিলেন।
সাতার কাটিতে কষ্ট হয় দেখিয়া সেতু বানাবার গল্প ফাঁদিলেন। চীন দেশ হইতে অন্ধকার দূর করিতে যাবতীয় ভাঙ্গা লোহালক্কড় আনিয়া বসাইলেন। কিন্তু কিছুতেই কেহ আনন্দিত হইতাছে না। সারাদিন যাতে সবাই এই উন্নয়নের জোয়ার দেখিতে পারে তাহার জন্য দূরদর্শনকে তেলি-বিভিশন বানাইলেন। তারপরও সাবাই বলিতে লাগিল কিছুই হইতেছে না।
উপরন্তু কেহ কেহ অম্ল-শো নামক আড্ডা-বৈঠকে বসিয়া “উন্নয়নের আলাপ”-কে “প্রলাপ” বলিয়া গালমন্দ করিতে লাগিল।
সবকিছু দেখিয়া রাখাল বাহাদুরের ভবিষ্যৎ কর্ণধার একখানা মোক্ষম পরী-হীন পরিকল্পনা করিল। তিনি সবাইকে উন্নয়ন দেখাইয়া তারপর থামিবেন। সাত সাগর তের নদী পার করিয়া, এই তৃণভূমিতে আসিয়া তিনি ফাঁদিলেন নতুন ফাঁদ। এলাকাময় তিনি ঝুলাইয়া দিলেন রঙ্গিন সমন।
তফসিলি কায়দা লিখা থাকিল তহসিলি হিসাব।
তাহা দেখিয়া দুষ্টলোকদের গুঞ্জন না কমিয়া বাড়িয়া গেল। তাহার আতশীকাচ লইয়া চিরুনি অভিযানে নামিয়া পরিল। হতবাক হইয়া রাখাল বাহাদুর ও তার দল তালগোল পাকাইয়া ফেলিল। অতঃপর রাখাল বাহাদুর সব সমন নামাইয়া দিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।