পানামায় উত্তর কোরীয় একটি জাহাজে কিউবার অস্ত্রের চালান আটকের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জাতিসংঘ। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের একটি দল এ তদন্তকাজ শুরু করে বলে পানামার নিরাপত্তামন্ত্রী হোসে রাউল মুলিনো জানিয়েছেন।
ছয় সদস্যের জাতিসংঘ তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় দায়িত্ব পালনকরী সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ডেভিড মার্টিন উডেন। চং চন গ্যাং নামের জাহাজটি পানামা খাল অতিক্রমকালে তাতে গত ১০ জুলাই তল্লাশি চালানো হয়। এতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি দুটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র, বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
২৫টি কনটেইনারে এসব সমরাস্ত্র চিনির নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। মাদক পাচার করা হচ্ছিল এমন সন্দেহে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই জাহাজে তল্লাশি চালিয়েছিল। উত্তর কোরিয়ায় যেকোনো ধরনের অস্ত্র সরবরাহের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ অস্ত্রের চালানের ঘটনাটি জাতিসংঘের তদন্তকারী দল খতিয়ে দেখে নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিবেদন জমা দেবে। এতে কিউবা থেকে উত্তর কোরিয়ায় ওই চালান পাঠানোয় জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
কিউবা বলেছে, এসব ‘সেকেলে ও আত্মরক্ষামূলক’ সামরিক সরঞ্জাম মেরামত করার জন্য একটি বৈধ চুক্তির আওতায় উত্তর কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। জাহাজটি থেকে ৩৫ জন উত্তর কোরীয় নাবিককে আটক করা হয়েছে। অস্ত্র পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে পানামার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ওই নাবিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার জন্য উত্তর কোরীয় কূটনীতিকদের ভিসা দেওয়া হয়েছে।
এএফপি ও রয়টার্স। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।