আর এই লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ‘সব ধরনের সহযোগিতার’ আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন।
চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব জানিয়েছেন, তার অন্যতম সহকারী অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা সফর করবেন এবং দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে সমঝোতায় আনার চেষ্টা করবেন।
বান কি-মুনের ওই চিঠি যাদের দেখার সুযোগ হয়েছে, তাদেরই একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি চিঠিতে বলেছেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো সম্ভব বলেই তার বিশ্বাস। আর এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতাও জাতিসংঘ করবে। ”
সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব কি বান কি-মুন দিয়েছেন? সমঝোতার জন্য মধ্যস্ততার কোনো উদ্যোগ কি তিনি নেবেন?
প্রথম প্রশ্নের জবাবে সূত্রটি জানায়, ‘ঠিক তেমন কিছু’ চিঠিতে নেই।
“তবে তিনি যে মধ্যস্ততার উদ্যোগ নিতে পারেন, সে ইংগিত রয়েছে। ”
সূত্রটি জানায়, জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো তার চার দিনের সফরে রাজনৈতিক দল ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা বান কি-মুনের পত্রটি বুধবার পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের হাতে পৌঁছে দেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি নিল ওয়াকার।
দুই নেত্রীর কাছে চিঠি পৌঁছানোর বিষয়টি শুক্রবার দুই পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করা হলেও চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে তারা কিছু বলতে অপারগতা জানানোয় গণমাধ্যমে বিভিন্ন জল্পনার সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রী যে চিঠি পেয়েছেন, একমাত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীই শুক্রবার তা নিশ্চিত করতে পেরেছেন।
এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী জানান, তিনি নিজেই জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে পৌঁছে দিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রীকেও একটি চিঠি দিয়েছেন বান কি-মুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।