শেষ বলে কিছু নেই
বাতাসে বাতাসে ওড়ে সবুজের বিভাসূত্র
নান্দী-স্ফূরণ... প্রহরের ভাঁজে ভাঁজে
অরূপের স্বরলিপি খোদিত হয়ে আছে
দুদণ্ড আগে বকুলতলায় একটা দলছুট ছায়া
চপল খরগোশের পায়ে হেঁটে গেলে মঞ্চের এধার থেকে ওধার
তুমুল করতালিতে ফেটে পড়েছিল বিস্তির্ণ মাঠের সবুজ রোদ্দুর;
বিকেলের এমন অপরূপ এনিগমা...
এনিগমা ভালোবাসে আদিবাসী চেহারার রিক্সাওয়ালাও
‘ওই ঘরে গুরুদেব চা খেতেন’, ঝরে পড়ে মন্দ্রস্বর;
আমি কদমতলা থেকেও চুমুকের শব্দ পাই -
মহাকালের সমান চুমুক; ছলকে ওঠে চা ও চারুকলা
খোলা ক্লাসরুমগুলো বৃক্ষতলে আশ্চর্য সব ধ্যানস্থ যোগী;
ঝরা-পাতার মীড়ে ঈষৎ ক্ষয়ে যাওয়া নির্জনতায়
মৃত্তিকা-সংলগ্ন গাঢ়ো বিকেলের সানুতে
এইখানে আকাশ ঢুকে গেছে বিলকুল...
‘ওইখানে গাছের ছায়ায় কাস নিতেন,’
রিক্সাওয়ালার কণ্ঠস্বরে অচল মুদ্রার মত ঝিকিয়ে ওঠে অতীত;
দৃষ্টি কিংবা দৃশ্যের বিভ্রমে দেখি, আলখাল্লা আর গাঢ়ো শাদা শ্মশ্র“
বাউল-বাতাসের নিদারুণ ঘ্রাণ মেখে
আজও ক্লাস নিয়ে চলেছেন...
অলৌকিক বলাকারা উড়ছে আকাশ-সরণিতে...
২১/১০/১০
বোলপুর, প/ব, ভারত
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।