সামুতে একজন ব্লগার প্রশ্ন করেছেন আরো অনেক ধর্ম থাকা সত্ত্বেও শুধু ইসলাম কেন ধোলাই খায় ! এটা কেবল ওই ব্লগারের নয়, বর্তমান বিশ্বে অন্যতম গরম প্রশ্ন। গোটা দুনিয়ায় প্রায় সব নেতিবাচক খবরের শিরোনাম ইসলাম ধর্ম ঘিরে। বর্তমান সভ্যতায় যারা সবচে বেশি সন্দেহের তালিকায় তারা হচ্ছে মুসলমান।
বিশ্বে আরো কত ধর্ম আছে। তাদেরকে তো সিসিটিভির সীমানার মধ্যে রাখার কিংবা মেটাল ডিটেকটর কিংবা বিস্ফোরক ডিটেকটরের মধ্য দিয়ে ঢোকানোর প্রয়োজন কেউ অনুভব করে না।
কড়া নজর না রাখলে 'বুমমমমমমমমম' এমন ভয় শুধু মুসলমানদের কারণে ছড়াচ্ছে। খাঁটি মুসলমান দাবি করা একদল 'তৌহিদী' নির্বোধ নিজেরা আত্মঘাতী হচ্ছে, সাথে হাজার হাজার মানুষ মারছে।
আরেকদল ঢাক ঢোল পিটিয়ে জোর করে মানুষকে ধর্মের ট্যাবলেট খাওয়ানোর কাজে ব্যস্ত। সর্বশ্রেষ্ট ধর্ম, সর্ব শ্রেষ্ট ধর্ম, সর্বশ্রেষ্ট ধর্ম.........তারা ইসলামের সাথে ওই একটাই শব্দ কেবল যোগ করতে শিখেছে 'সর্বশ্রেষ্ট'। অন্য সব ধর্মের মানুষ তাদের দৃষ্টিতে কাফের কিংবা বিধর্মী! নিজের ঢোল যারা এভাবে পিটায় তাদেরকে মানুষ আসলে 'বুদ্ধিমান' নাকি 'আবুল' ভাবে সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ।
এই কারণে দিন দিন নিজেদের হাস্যকর করে ফেলছে মুসলমানরা।
রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে অনিচ্ছা। যারা নিজেদের 'খাটি মুসলমান' দাবি করে সেই সব নুরানি চেহারার ইসলামের ফেরিওয়ালারা প্রচার করে 'ইসলামই পরিপূর্ণ একটি শাসন ব্যবস্থা'। 'মানব রচিত সংবিধান এবং আইন' দিয়ে রাষ্ট্র চলতে পারে না। অতএব, ইসলামী আইনে শাসন চাই।
লাগাও বোমা, লাগাও আত্মঘাতী হামলা, শুরু কর জিহাদ!!! কায়েম কর ইসলামী শাসন! তারা বুঝতে পারে না, ওইসব পাগলামী ও ছ্যাবলামির দিন শেষ।
গোঁড়ামি। এত বিপুল পরিমাণ গোঁড়ামী আর অন্ধবিশ্বাস অন্য ধর্মের মানুষের মধ্যে থাকে না। এই ব্লগেও 'ইসলামের সর্বশ্রেষ্টত্ব' তুলে ধরতে গিয়ে কিছু মুর্খ অনেক ভিডিও এবং ছবিসহ পোস্ট দিয়েছে। আল্লাহতালা'র ক্ষমতা প্রচার করতে গিয়ে তারা এমন সব জিনিসকে প্রমাণ হিসেবে হাজির করে থাকে যা মুসলমানদের মানসিক দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করে।
এর বাইরে হাজার হাজার ইসলামী ওয়েবসাইট আছে যারা ইসলামকে 'সর্বশ্রেষ্ট' প্রমাণ করতে গিয়ে প্রকারান্তরে উদ্ভট সব ব্যাখ্যা দিয়ে উল্টে হাস্যকরই বানিয়ে ফেলেছে।
তালেবান। এরা প্রকৃত ইসলামের শাসন কায়েম করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। রাষ্ট্রের সংবিধান টংবিধান, আইন টাইন, আদালত টাদালত, সরকার টরকার, গণতন্ত্র টনতন্ত্র এসব বাক্সবন্ধি করে সাগরে নিক্ষেপ করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইন্টেল পেন্টিয়াম কোর আই৭ -এর যুগেও তাদের এক কথা --- রাষ্ট্র চলবে পবিত্র আল-কোরআনের আইনে।
আর সুযোগ পেলে তারা হাতে কলমে দেখিয়ে দিচ্ছে কেমন হবে আইনের সেই প্রয়োগ....
ইসলামী আদালতে বিচার। রায়: এই নারী ব্যাভিচারী। শাস্তি : মৃত্যুদন্ড। রায় কিভাবে কার্যকর হবে : মাটিতে পুতে পাথর নিক্ষেপ করে।
এবার বলুন, মানুষ কি অন্য ধর্মের সমালোচনা করবে?
[দ্রষ্টব্য : মুল পোস্টে অনেকে প্রশ্ন করেছেন "ধোলাই" কি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
ধোলাইয়ের অর্থ এখানে 'তীব্র সমালোচনা ও আক্রমনের শিকার']
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।