আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংবিধান সংশোধন, রুপগঞ্জে জমি হালাল, দুই বিঘা জমি; বসুন্ধরার শাহআলম একজন ফেরেশতা!

মানুষে মানুষে সমানাধিকারে বিশ্বাস করি

নিচের কোন কিছুর সাথে কোন কিছু মিলে গেলে কোনক্রমেই কোন কেউ দায়বদ্ধ নন। কারণ এখানে বিদেশী ইন্ধন আছে বলে সরকার ও বিরোধী দল মনে করে। শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই....রবীন্দনাথের কালজয়ী কবিতাটি আজও প্রাসঙ্গিক। শুধু বদলেছে কুশীলব। সর্বগ্রাসী জমিদার কর্তৃক প্রজার সম্পদ কেড়ে নেয়ার পরিবর্তে এখন রাষ্ট্রের পাহারাদার কর্তৃক রাষ্ট্রের মালিকের ভিটেমাটি জবরদস্তি কেড়ে নেয়ার ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করছি।

সেনাবাহিনীর অফিসারদের(কোনক্রমেই সাধারণ সেপাইদের নয় কিন্তু) বিলাসবহুল আবাস নিশ্চিত করার জন্য সাধারণ মানুষের হাজার হাজার বিঘা জমি কেড়ে নেয়ার এক নব ফ্যাসিবাদী রুপ প্রত্যক্ষ করল রুপগঞ্জবাসী। ঘুরে-ফিরে সবার মুখে এক কথা- সেনাবাহিনী এবং জনগণকে মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্র। এ ধরনের কিছু যদি ঘটে থাকে তাহলে তার শতভাগ দায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের(কোন অবস্থায়ই সাধারণ সৈনিকদের নয়)। তারাই জনগণের উপর জুলুম করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। জমি বিক্রির প্রস্তাব বা দখলের আব্দার নিয়ে তাদের নিকট গ্রামবাসি যায় নি নিশ্চয়ই।

ক্ষুধার একটা শেষ থাকা উচিৎ। রাষ্ট্রযন্ত্রটাকে নপুংশসক করেও এসব অফিসারদের হয় নি। মানুষকে ভিটেছাড়া না করতে পারলে কিভাবে বোঝা যাবে তারা আমদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল্যবোধের দ্বারা চালিত নয়, বরং ব্রিটিশ এবং পাকিস্থান সেনাকর্মকর্তাদের উত্তরসূরী? এতসব দেখে বসুন্ধরার শাহ আলম এখন দাবি করতেই পারে "সেনাকর্মকর্তারা জবরদখল করলে সাধু আর আমি করলে কেন ভুমিদস্যু?" জাতির বিবেক শাহ আলমের এই আক্ষেপ গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং তাকে ফেরেশতার মত নিস্পাপ বলে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য সেনাপ্রধানের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছে! একই সাথে আরও দু'টি গুরুদ্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান হওয়ায় দেশের সকল সর্বনাশের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সরকারি দল ও বিরোধী দল খুশিতে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানানো দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। (এক) তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগের যে বিধান সংবিধানে গোলমাল পাকাচ্ছে তার পরিবর্তে সর্বশেষ অবসরগ্রহণকৃত(অবসরপ্রাপ্ত নয়, তাকে অবসর দেবে এমন সাধ্য কার!) সেনাপ্রধানের নাম প্রতিস্থাপন করা হবে। একই সাথে বাইতুল মোকাররমের খতিবের পদ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তাও সমাধান করা হয়েছে।

এখন থেকে বাইতুল মোকাররমের খতিবের পদটি সেনাপ্রধান মনোনীত একজন মেজর জেনারেল পদমর্যাদার সেনাকর্মকর্তার জন্য নির্দিষ্ট করা হলো। সংবিধানে এসব বিষয় সংযোজন করার জন্য সংসদে বিল পাসের কোন প্রয়োজন নেই। আপিল বিভাগকে ক্যান্টনমেন্ট সদরদপ্তর থেকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ক্যানটনমেন্টের নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে বাংলাদেশের মার্কিন কনস্যুলেটে স্থাপিত আদালত আইনমন্ত্রণালয়কে সংবিধানে এদতসংক্রান্ত প্রতিস্থাপনের কাজটি সেরে ছাপিয়ে বাজারজাত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.