দেখে যা অনির্বান কি সুখে আছে প্রাণ...
আজ সকাল ১১টার দিকে ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহবুব ও দুই কনস্টেবল এমএ রশিদ ও রায়হান দুই সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করে। প্রহৃত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক যায়যায়দিনের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল ভদ্র ও কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার অমিতোষ পাল। সংসদ ভবন এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে ফার্মগেটের দিকে যাচ্ছিলেন নিখিল ও অমিতোষ। ফার্মগেট পুলিশ বক্সের কাছে ডানে টার্ন নেয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল এম এ রশিদ তাদের বাধা দেন। এ সময় তারা বা দিকে এগিয়ে গেলে মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা নিখিল ভদ্র কনস্টেবল রশিদকে বলেন অন্যরা ডানে গেল, তাদের তো বাধা দিলেন না।
এ কথা বলা মাত্রই কনস্টেবল মারমুখী হয়ে টেনে হেঁচড়ে মোটর সাইকেল থেকে নিখিলকে নামান। ওই স্থানে থাকা সার্জেন্ট মাহবুব দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মোটরসাইকেলের সামনে প্রেস লেখা দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্টেবলদের নির্দেশ দেন, শুয়োরের বাচ্চাদের পিটা। সাংবাদিক পেটালে কিছু হয় না। সার্জেন্টের নির্দেশ পাওয়া মাত্র কনস্টেবল রশিদ ও রায়হান দুই সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয়ে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করা শুরু করে। তাদেরকে মারতে মারতে ও টেনে হেঁচড়ে পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাংবাদিকদের উপর সার্জেন্টের এতো রাগ কেন? এটা কোন ধরনের আচরন। অপরাধ যদি হয় তার জন্য আইনী পদক্ষেপ নিতে পারে। এভাবে পেটানোর মানেটা কি? এই উৎসাহ কি তাহলে নাটোরে প্রকাশ্যে রাস্তায় সাংবাদিককে পিটিয়ে পঙ্গু করার পরেও অপরাধীদের কিছু না বলার ফল?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।