ভোর হোক তোমারও জানালায়,ভোর হোক ধ্বংসস্তুপে। চাপা পড়া শহরে,শহীদ স্বরণীর পীচঢালা পথে। রোদ্র আসুক আশাবাদী অহ্মর হয়ে,বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক মানুষের অনন্তকালের ইতিহাসের পায়ে।
যার শিং যত বড়, সেই তত মহান। যার শিং যত মোটা সেই ততবড় পালোয়ান।
মহিষ কুলের কি নেই; আছে বিশাল ভুরি, বিশাল দেহ, বড়সড় মোটা শিং, চরিত্র মানুষের উপকার করা, মাঝে মাঝে কাচা-পাকা ফসলের খেতে ছেড়ে দিলে, তা খেয়ে ধংস করা। আপনারা সিং-হ কে বলেন পশুর রাজা, আর বাঘকে বলেন বনের রাজা। অথচ বাঘ, সিঙ্ঘহ কেও মানুষের উপকার করে না। মহিষ কুলের অনেক দিনের দাবী ইলেকশন দেন, আমরা আপনাদের ভোটে নিরবাচিত হয়ে, রাজা হতে চাই। সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্রের দিন শেষ, এখন শুধু গনতন্র।
অবশেষে ভোটের অধিকার তারা পেল, কিন্তু খমতার লোভে তারা মরিয়া হইয়া উঠিল।
মহিষ কুল শিয়ালদের সাথে হাত মিলালেন বনের পশুদের ভোট পাওয়ার জন্ন। বিনিময়ে শিয়ালরা বনে-জঙ্গগলে মহিষদের এজেন্ট হিসাবে কাজ করবে। ২/৩ টা উজিরের পোষ্ট-ও দেওয়া হবে। শিয়ালরা রাতে কুকুরের বেশ ধরে লোকালয়ে এসে মুরগী আর ছোট ছোট ছাগুদের কে খেতে পারবে।
কুকুর-দেরকে মানুষেরা অনেক বেশী আদর যত্ন করে, অথচ তারা মহিষদের মত পরিশ্রম করে মানুষের কোন উপকার করে না। আজকাল কুকুরা আর রাত জেগে বাড়ীও পাহারা দেয় না, ঘরের ভিতরে ঘুমায়। যদিও এতে মহিষদের কিছু আসে যায়না তবুও এদের একটা শিখ্যা দেওয়া যাবে।
এম্নিতেই মহিষ কুল খুব বিনয়ী, অকারনে কাওকে গুতা মারেন না, খুদা লাগ্লেও দড়ি ছিড়ে ফসল ধংস করে না, পাশ দিয়ে গেলে লাথিও মারেনা, ছাগুদের কেও ভাই বলে ডাকেন আর গরুদের কে ডাকেন দাদা। মহিষ কুল বিপুল ভোটে জয়ী হলেন।
ধুরত শিয়াল তেল মেরে মহিষের নামে নামকরন করেছেন; যেমন মহিষখোলা বাংলাদেশে, বাফেলো নিউইয়রকে, বাফেলো উইংস (আসলে কিন্তু চিকেন উইংস)আমেরিকার জনপ্রিয় একটা খাবার। চিকেন সমাজ আন্দোলন করেও কোন লাভ করতে পারে নাই অবশষে তারা জ়েসিকা সিম্পসনের মাধ্যমে আন্তরজাতিক আদালতে মামলা ঠুকে দিল।
এদিকে ছাগুরা মহিষ ভাইদের দোহাই দিয়ে হাতের কাছে যা পায় তাই খায়, না খেতে পারলে ধংস করে। গরুর পাশ দিয়ে গেলে লাথি মারা শুরু করল, দড়ি ছিড়ে গোয়াল থেকে বের হয়ে কাচ-পাকা ধান/গম ধংস করিল। শিয়াল মশাই মহা আনন্দে চিকেন খাইতে লাগিল।
অত্যাচার বেশীমাত্রা হইলে, যখন সবাই বলাবলি করে তখন ১ মাসের জন্ন ছুটি তারপর আবার শুরু। জাত ভাইদের মহা-আনন্দের কথা কোন অবস্থাতেই মহিষ দের কানে গেল না। মহিষদের কে বেছে বেছে ভাল সংবাদ গুলি দেওয়া হত।
চোউকিদার খরগোস মশাই ভাবনাই পড়ে গেল, খরগোস গেল হাতীর সাথে আলাপ করতে, গিয়ে দেখে লঙ্কা কান্ড। বানর-রা সব কলাগাছ দখল করে আছে।
তারা নাকি কলা খেতে পারেনা, হাতীদের জন্ন। পরিবেশ রখ্যার জন্ন আর তাদের খাবারের জন্ন কলাগাছ খাওয়া নিষেধ। অবশেষে কচ্ছপ কে পাঠানো হল মহিষের অফিসে, কচ্ছপ কে সবাই মামু ডাকে। মামু কে দেখে মহিষের হুস হল, কিছু একটা হয়েছে তা না হলে মামু এখানে কেন। মহিষ দাঁড়িয়ে মামুকে ছালাম দিয়ে জানতে চাইল, মামু কেমন আছ।
মামুর উত্তর, তুমি এই অফিসে এসেছ শুধু কি অফিস করতে? শুন তোমার উচিত, প্রতিদিন সকালে ১৫ মিনিটে ১৫টা পত্রিকার হেড লাইন পরা, দেন মেইক ফাইভ ফোন কল ফর ইউর গোয়াল ঘর, দেন ফলো থ্রী আর, রিওয়ারড, রিমুভ, রিসল্ভ। আই হোপ তোমার ব্রেইন স্টরমিং হবে সবার জন্ন। বলেই মামু দাড়ালেন, মহিষ ডাক্লেন মামু চা, ততখনে মামু চলে গেছেন। টেবিলে মাথা রেখে কিছুখন চুপ থেকে ঘুমিয়ে গেলেন, ২ ঘন্টা পরে উঠে মনে করলেন কি একটা দুঃসপ্ন দেখলেন। রাজ্য যথারিতী আগের মতনই চলিতে লাগিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।