কাহারোলে কৃষি শ্রমিকরা দিন কাটাচ্ছে অর্ধাহারে অনাহারে
ডিজিটাল দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ৪০ দিনের কর্মসূচী এখনও শুরু হয়নি। গতবারের চেয়ে এবার বরাদ্দ অনেক কম। ফলে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় মোট ৬টি ইউনিয়নের ১৫৪টি গ্রামে কর্ম সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। কাজকর্মের অভাবে কৃষি শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ায় তারা কাজের সন্ধানে হন্যে হয়ে ছুটছে এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে। কোথাও কাজ কর্ম না থাকায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।
বর্তমানে গ্রামের কৃষি শ্রমিকদের অভাবের সংসার, দিন আনে দিন খায়। এদের নিজস্ব কোন ফসলি জমিজমা না থাকায় তাদের প্রতিদিন অন্যের বাড়ীতে শ্রম বিক্রি ছাড়া কোন পথ খোলা থাকে না।
কিন্তু এখন প্রতিদিন কাজ পাওয়া যায় না। কাজ না পাওয়া মানে কৃষি শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে থাকা। ওরা অভিযোগ করে জানায় আশ্বিন ও কার্তিক মাসে মাঠে কাজ থাকে না।
সরকারের ৪০ দিনের বা ১শ দিনের কর্মসূচীর কাজ এখনও শুরু হয়নি। ১৫ থেকে ২০ দিন পর মাঠে ধান কাটা শুরু হলে হাতে অনেক কাজ থাকবে আর তখনই শুরু হবে সরকারের মঙ্গা নিরসনে নানা রকম কর্মসূচী। তারা ােভ প্রকাশ করে বলেন, কাজ না থাকায় অতি কষ্টে দিন যাপন করছি। ওরা দলবেধে অপো করে তারপরও একটু রোজগারের আশায় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রতিদিনে মতো জড়ো হয়ে কাজের সন্ধানে দাড়িয়ে থাকে। কৃষি শ্রমিক আঃ মালেক, নয়ামিয়া, আজিজুল, ধীরেন, নবানুসহ অনেকে জানান, মাঠে গৃহস্থের কাজ করলে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা মজুরী পায়।
সে মজুরী দিয়ে তাদের কোন রকম পরিবার পরিজন চলতো। কিন্তু প্রায় দেড় মাস ধরে মাঠে কাজ না থাকায় তারা কাজ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। আর শ্রম বিক্রি করতে না পারায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে। কাহারোল প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে গতকাল মঙ্গলবার ৪০ দিনের কর্মসূচী নিয়ে আলাপ করলে তিনি জানান, আগামী শনিবার থেকে ৪০ দিনের কর্মসূচী কাজ শুরু হবে। আমরা ইতিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নের শ্রমিকদের তালিকা পেয়ে গেছি।
এবার কাহারোল উপজেলায় মোট বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৫০ ল ২৮ হাজার টাকা।
তথ্য সূত্র : http://www.dinajpurnews.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।