সত্য বলব বলে মিথ্যা বলার চেয়ে মিথ্যা বলব বলে সত্য বলা ভাল..এতে আর যাই হোক কারও মন ভাঙ্গা হয় না!
আমার বিপদে তুমি এমন চুপ কেন আফরোজা,
তুমি তো জান, আমার জন্য পাত্রী চলছে খোঁজা।
তোমায় কত্ত ভালোবেসে মন প্রাণ দিয়েছিনু,
তোমার জন্য কিটনাশক আর বিষ খেতে চেয়েছিনু।
বুঝিনাতো আমি, এত কেন দ্বিধা আমাদের বাড়ি আসায়-
বুকে বল আনো, সাহস যোগাও, আস আমাদের বাসায়।
বাবা আর মাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে নিয়ে যাও বিয়ে করে,
নয়তো আমাকে বিয়ে দিয়ে দেবে যেখানে সেখানে ধরে!
ইশিতা ইশিতা
আমি কিলিপ, তুমি ফিতা
তুমি সিংহ, আমি চিতা
আমি রাবণ, তুমি সীতা
তুমি মিষ্টি, আমি তিতা
আমি হারা, তুমি জিতা
যদি তোমার মনটা দিতা!
শুনতে কি পাও ঐশী-
চুরি কইরা তুমগো ছাদের ট্যাংকির উপর বইছি।
ফোনে কইলা সন্ধার পর আসবা ছাদের কোনায়-
এখন বলছ,এটা নাকি ভুল হইছে আমার শোনায়!
বারটা নাগাদ বসে থেকে আমি তারপর শুতে যাব,
তুমি না আসলে তুমগো পানির ট্যাংকিতে মুতে যাব।
কুসুম কুসুম কুসুম
আমি কি আর নয়া আবু
শুইয়া ফিডার চুশুম!
তোমার পাড়ার ল্যাংড়া কাশেম
ধরছে আমার কলার-
আমার কি আর সাধ্য নাইগা
একটা কিছু বলার!
কিন্তু তারে কিছু কইনাই কারণ-
কথায় কথায় খুন করতে তুমি করছ বারণ।
জেনি, জেনি, জেনি,
থ্যাংক ইউ সো ম্যানি!
তোমায় ছাড়া জীবন আমার ছিল মরূদ্যান,
তুমি এলে তাই সবকিছু এল, ফুল-ফল-পাখি-গান।
এতদিন ধরে ‘এত ভালবাসা, এত পিরিত আর প্রেম’
জানত কি কেউ এমন কান্ড হবে আফটার দ্যান!
বলোনাগো তুমি, তোমার চেহারা জরিনার মত ক্যান!
তুমি নিশ্চয়ই ভাবছ এখন জরিনা কে?
‘জরিনা বেগম’ আমগো বাড়ির কাজের মেয়ে!!
ডলি ডলি ডলি
তোয়ার লাগি আঁর দিলডা
গেছেরে বাও জ্বলি।
তুই কইলে নাইচতাম হারি
মানা কইরলে নাচতাইন্নো
তোয়ার লাগি একবার মইল্লে
আর কোনদিন বাইচতান্নো।
ওগো তমালিকা,
দিয়ে দিলে ছ্যাকা;
চ্যাংদোলা হয়ে আছি!
ওগো শর্বরী,
বল কি যে করি;
খুশিতে ভীষন নাচি!
ওগো বনফুল, হয়ে গেছে ভুল;
ছেড়ে দে মা কেদে বাঁচি!
তানিয়া,
শুধু এইটুকু যাও জানিয়া-
তোমার জন্য মরিতেও পারি,
বাঁিচব তোমারই জন্য!
তোমার প্রেম আর ভালবাসা দিয়া
জীবন করিব ধন্য!
বলিওনা শুধু ‘বিবাহ করিতে’
ওকাজটা পারিব না,
ঘটক মারিয়া বিবাহ ভাঙ্গিতে
কারও ধার ধারিব না।
তানিয়া,
দুইটা টাকার বিষ তুমি দাও আনিয়া।
তাহমিনা তাহমিনা,
ভাবছো তোমায় ভালবাসি?জ্বে না!
তোমার লগে পিরিত করুম
আমি এত ছাগল না,
বড় কথা, পাগল না।
তুলি তুলি তুলি
ঝুলার আগে জিগাইছিলাম
‘তোমার গলায় ঝুলি’?
আশা কইরা তোমার গলায় ঝুলছি যখন তুলি-
আমার হাতে ধরায়া দিলা চাইরআনা,আধুলি।
তমা তমা তমা,
বেঁচে থাকলে আর কোনদিন করতেছিনা ক্ষমা।
বিয়ের আগে বুঝিনাইতো তুমি এমন পাজি,
ভুলে গেছ বিয়ের পরে কি বলছিল কাজী?
‘হে আল্লাহ পাক,এদের ঘরে সুখ শান্তি দিও,
আসমানী আর জমিনী বালা,গজব তুইলা নিও’।
কাজী সাব কি দোয়া করলেন হইলো না কবুল-
বিয়ার আগে আবাল ছিলাম আর এখন আবুল।
তিন্নি আমার তিন্নি
বাদ জুম্মা গরীব ধইরা খাওয়াইতেছি শিন্নি।
তোমার লিগা জীবন আমার হইছে তামা শীশা।
কি যে বাঁচা বাঁচছি মনরে করতেছি জিজ্ঞাসা।
গত রাত্রে গভীর রাতে ভাগছে মিসেস তিন্নি,
এই খুশিতে গরীব ধইরা খাওয়াইতেছি শিন্নি।
আমি তুলা রাশির জাতক,
মীন কিংবা বৃষ না,
তবু আমার মাথায় শনি
ভর করেছে তৃষ্ণা।
বুলেট গুলি মিস হবে বাট
ভালবাসা মিস না,
যখন তখন ছাইরা যাওয়ার
ভয় আমারে দিস না!
দিশা দিশা দিশা
তোমার জন্য হজম করছি
লোহা তামা শীশা।
তোমার দিকে যে তাকাইবো-
হের কপালে পিছা।
নাইলে এই দুনিয়া মিছা।
দোয়েল দোয়েল দোয়েল
বাকি বোনরা- শ্যামা,ময়না,বাবুই এবং কোয়েল।
পক্ষীকূলের সব পাখিরাই তাহাদের ঘরে আছে,
ন্যাচারালি যারা থাকে জলে,স্থলে,আসমানে আর গাছে।
ভাগ্য ভাল যে সাতটা দিদি একটাও নেই দাদা,
তাহলে তাদের নাম হোত বেশ
গরু-ভেড়া-মোষ-গাধা।
কলেজ জুড়ে রটে গেছে
তোমার আমার প্রেম।
বলছে, 'হোয়াট এ্য শেম !’
প্রিন্সিপালের মুখ গম্ভীর,
স্যারের মুখে ভাঁজ-
বলছে,‘এটা আর কারও নয় কুদ্দুসেরই কাজ’।
তুমি আজ বোবা?
বলনা দিলরুবা !
এই যে দেখ ন্যান্সি-
তোমার দেয়া গত বার্থডের তহবনডা আইজ পিনছি।
সেন্টু গেন্জি যেটা দিয়েছিলে হয়ে গেছে বড় লুজ,
মোজার রাবার ঢিলা হয়ে গেছে,ছোট হয়ে গেছে সুজ।
রিকোয়েস্ট তব করেছিনু কত-
এগুলো তাদের যারা দূর্গত,
ফুটপাত থেকে কিনিয়োনা এত
আমার বস্ত্রগুলি!
নীতিকথা কত শুনেছি তাহার-
কত রঙ্গ আর ঢঙ্গের বাহার,
‘দাম নয় এ যে প্রীতি উপহার’,
শত সহস্র বুলি!
নিপা, তুমি আমার প্রতি একটু কৃপা কর,
তোমার হাতে আমার গলা একটু টিপা ধর।
তোমার আমার বিয়া হবে এইটা যখন ভাবি
বুকের মাঝে জেগে উঠে বেঁচে থাকার দাবি!
ওগো আমার নিলাঞ্জনা,
ওগো আমার সুরঞ্জনা,
ওগো আমার পার্বতী,
বলনাগো কেন হল আমার এমন দূর্গতি?
তোমার প্রেমের ফান্দে পড়ে জ্বলছে আমার লালবাতি!
পলি পলি পলি,
তোমার জন্য কি করতে পারি
এবার তা হলে বলি-
তুমি কি চাও ট্রাক ভরে আনি
সিকি আর আধুলি?
তুমি চাইলেই তোমার সেবায়
লাগাব পাঁচশ কুলি।
তুমি চাইলেই রামগতিতেই
মূর্তি বানাব তোমার।
লোহা তামা নয়, মূর্তিটা হবে
দশ লাখ ভরি সোনার।
তুমি যদি চাও এনে দেব আমি
চাঁদের দেশের মাটি।
তুমি চাইলেই পা ছেড়ে আমি
হাতে ভর করে হাঁটি।
তোমার কথাতে নোয়াখালিটাকে
বানিয়ে ফেলব ঢাকা।
তুমি যদি চাও থেমে যাবে
সব মটর গাড়ির চাকা।
শুধু বলনাগো পলি-
ক্যামনে তোমারে ভুলি।
প্রিয়া প্রিয়া প্রিয়া
তুমি চাইলে করতে পারি ডজনখানেক বিয়া
ওরা তোমার বান্দি হবে
তুমি ওদের রানী
তোমার পিছে খাটবে কেবল
টানবে তোমার ঘানি।
ওরা তোমায় বুবু ডাকবে
তুমি ডাকবা সখি-
ইচ্ছা করে দু্চোখ ভইরা
এসব দৃশ্য দেখি!
বলতে পারো প্রাচী,
তোমায় ছাড়া এই জীবনে কেমন করে বাঁচি?
তুমি আকাশ, তুমি বাতাস, তুমি পাহাড় নদী-
তোমায় রানী করতাম আমি রাজা হতাম যদি।
তুমি চন্দ্র, তুমি সূর্য, আকাশ ভরা তারা,
তুমি ছাড়া সব অন্ধকার কঠিন দিশেহারা।
বোঝ এবার প্রাচী,
কি অবস্থায় আছি!
তোমার মায়ের পা ধইরা
বলমু আমি, ‘চাচীরে-
বড়ই পেয়ার করি আমি প্রাচীরে।
রাগ কইরেন না, আমরার কিন্তু
অতি উচ্চ বংশ,
প্রাচী’রে না পাইলে আমি ধ্বংস!’
কত আশা ছিল এই শীতে খাব তোমার হাতের রান্না,
কেন তুমি এই মন ভেঙ্গে দিলে বল দেখি রাজকন্যা?
রেধে রেধে তুমি টেবিল ভরাবে,আমি বসে থাকি চেয়ারে,
তোমার জন্য ভরে যাবে বুক ভালবাসা আর পেয়ারে।
আমি খেয়ে দেয়ে বলব ‘সাবাস!’‘এটা ভাল’‘এটা ভালোনা’।
ডালের রঙটা এত কালো ক্যান,ডালতো এতটা কালো না!
শীত চলে গেছে সাথে নিয়ে গেছে শীম আলু ফুলকপি,
স্বপ্নটা বুঝি এবছর আর সত্যি হলোনা পপি!
ও বুবলি রে বুবলি,
আমারে ডুবাইয়া তুই নিজেও ডুবলি।
তোর গুন্ডা জামাই আমায় কইরা দিছ ব্যান,
তোর আর আমার কথা হেরে কইতে গেলি ক্যান?
মমতাজ মমতাজ,
তুমিই আমার মাথার মুকুট
তুমিই মাথার তাজ।
আমি তোমার সিংহাসন
তুমি আমার গদি-
ঘরজামাই হব, আমি
রাজ্য হারাই যদি।
মহুয়া ও মহুয়া,
তুমহারা দিল হামারে পাস,
দিলমে আজিব কেয়া হুয়া!
তুমহারে বিন ইয়ে জিন্দেগী
জিনা নেহি সাকতা,
তুম না আতি তো কাচ্চি এ দিল
কাভি নেহি পাকতা!
মারিয়া মারিয়া মারিয়া,
এট ফার্স্ট লুক তুমি যে আমার
মনটা নিয়াছ কাড়িয়া।
ভাল যে লাগে না, মন যে বসে না,
কোন কাজে দিনে রাতে,
বানচাল আমি হয়ে গেছি
সেই প্রথম দৃষ্টিপাতে।
বিশ্বাস করো প্রথম যেদিন
দেখিয়াছি আমি তোমারে,
মিসকল দেয়া বন্ধ করেছি
রুবি-কনা-তমা-সোমারে।
মলি মলি মলি
ইচ্ছা করে সকাল বিকাল
কানটা ধইরা মলি।
আমার খাইয়া আমার পিন্দা
আনিছ আনিছ করে,
আমার বুকে মাথা রাইখ্খা
আনিছের হাত ধরে।
আমার চান্দি গরম কইরা
রুটি বেইল্লা তাওয়ায়-
আমার ঘরের শুটকি ভর্তা
আনিচ্ছারে খাওয়ায়।
রিয়া,
তুমি চাইলে অখন নামব পুসকুনিতে গিয়া!
কারণ তুমি শালিক, বাবুই, তুমি ময়না, টিয়া।
রিয়া,
তুমি চাইলে নুটুস খাব তোমার বাসায় গিয়া।
তুমি বললে করতে পারি তোমার সাথে বিয়া!
রিয়া,
রাগ করছো? ক্যানরে বাবা, ম্যায়নে কেয়া কিয়া?
রাত্রি আমার রাত্রি,
তুমি আমি উভয়েই আজ প্রেম দরিয়ার যাত্রী।
মাঝ নদীতে ঢেউ উঠেছে
দুলছে যখন নাও-
প্লিজ রাত্রি তুমি আমার নৌকা থেকে যাও।
রেশমা, রেশমা।
চুল দেখে তার সবাই বলে,
“কি সুন্দর কেশ, মা!”
রেশমা, রেশমা।
তার কথাতে মুক্তা ঝরে
সবাই বলে, “বেশ, মা। ”
রেশমা, রেশমা।
সব কথা তার ঠিক আছে, বাট
চশমারে কয় ‘চেশমা’।
রেশমা, রেশমা।
লিজা লিজা লিজা
তোমার পোষা পাপ্পিডা কই?
এই যে উনার পিজা।
বার্গার আনি,ক্রীমরোল আনি,আনি স্যান্ডউইচ,
তবু তুমি অন করনা ভালোবাসার সুইচ।
ভালোবাসার আশায় ডেইলি শরাব পিলাইতাছি,
তিনডা বছর ধইরা তোমার কুত্তা খিলাইতাছি।
লাভলি আমার লাভলি,
তোর ভাগ্য ভাল যে তুই আমার কথা ভাবলি।
এই এরিয়ায় কে আছে যে আমায় না ডরায়?
আমি কইলে পরে মাষ্টার ইস্কুলে পড়ায়।
পোলাপানরে মারতে গেলে পারমিশান দেয় কে?
সুন্দরীরা মুচকি হাইসা আমারে দেখে!
লুবনা লু্বনা লুবনা,
প্লিজ জানু আমার লিগা
প্রেম দরিয়ায় ডুবনা।
লাইফ জ্যাকেট আর নৌকা দিমু
লগে লগি বৈঠা দিমু
শুকনা মুড়ি চিড়া দিমু
খোদার কসম কিরা দিমু
একটু পিরিত করনা,
বাংলা বইয়ে যেমন পিরিত করছে ঋতুপর্ণা।
লুনা লুনা লুনা
তোমার লগে বিয়া হইলে হবে বিরাট গুনাহ।
ডজনখানেক পিলিয়াররে পাশ কাটানো শেষে,
বলটা নিয়া আসছো আমায় গোল করার প্রয়াশে!
লিলি লিলি লিলি
ফুল না দিয়া ক্যামনে রে তুই কাঁটার আঘাত দিলি?
তর বাপের বাগান থিকা চাইছিলাম এক ফুল,
তর বাপে কইলো, ‘ওকে, যা চাইছো কবুল’।
আমি ভাবছি সাতটা গোলাপ একটারে তো দিব,
ফুল তুলতে দুদিন পরে বাগানে আসিব।
চোখ বুইজ্জা বিয়া কইরা বাসায় আসতে দেরী,
ও আল্লাগো, এতো দেখি তুমগো কামের ছেরি।
তর বাপেরে বিশ্বাস কইরা করছি চরম ভুল,
বুঝি নাইতো কামের ছেরিও হের বাগানের ফুল।
লিয়ামনি,লিয়ামনি,
আমরা গরীব তোমরা ধনী।
আমরা কালো,তোমরা সাদা,
আমরা মানুষ, তোমরা গাধা!
তোমরা নদী, আমরা খাল,
আমরা কাঁঠাল,তোমরা তাল,
তোমরা গোলাপ,আমরা কদম,
আমরা চালু,তোমরা মদন!
লাকি লাকি লাকি
বুঝতে পারো তা কি?
তুমি আমার ময়না টিয়া
তুমি চড়াই পাখি।
তোমার জন্য সব দিয়েছি
জীবন দেয়া বাকি।
সুমি সুমি সুমি
তোমার জন্য আমি আছি
আমার জন্য তুমি।
মনরে জিগাও তোমায় সবচেয়ে
ভালবাসে কে?
তাই যদি অয়, তোমার বাসায়
ফয়সাল আসে ক্যা?
সাথী ও সাথী,
তুমি আমার রাতের আঁধার,
দিনের বেলার বাতি।
গ্রীষ্মকালের সোয়েটার
আর শীতকালের ছাতি,
তোমার জন্য আজকে
আমি ভিক্ষার থালা পাতি।
শোননাগো ছলাময়ী, কলাময়ী লায়লা,
তোমার প্রেমেতে আমি জ্বলে পুড়ে কয়লা।
যা-ও আছে দম,
পরিমানে কম!
শীলা,শীলা,শীলা,
যত পারিস কিলা।
কারণ তাহার হেড অফিসের সব ইস্ক্রু ঢিলা!
শীলা,শীলা,শীলা,
মনটা যদি নিলা,
তাইলে কেন আজকে আবার মনটা ফিরত দিলা?
আইজকা তোমার খবর আছে কিলামু,
মরিচ লবন দেয়ার আগে ছিলামু!
শাওরিন আমান, শাওরিন আমান,
আমি বুলেট আপনি কামান।
আমি সাবু, আপনি বাবু,
এক পাঞ্চেই আপনি কাবু।
আমি বুলেট আপনি কামান।
বুকে বিধঁব পারলে থামান।
শাওরিন আমান।
শাম্মী,
তোমার বাপরে আব্বু ডাকুম,
মায়েরে ডাকুম আম্মি!
আর তুমারে আদর করে ডাকব আমি শাম্মু,
তুমি চাইলে তোমার লিগা ভিক্ষা করতে নামমু
শান্তা, শান্তা,
রাইতে খাইলে গরম ভাত
সকালে খাও পান্তা।
শান্তা, শান্তা,
তোমায় আমি ভালোবাসি
এইটা যদি জানতা-
আমার কথা মানতা,
দরদ দিলে আমার পেয়ার
বিবেচনায় আনতা!
শান্তা, শান্তা,
বড়ই ভালো লাগতো যদি
বইসা বইসা কানতা!
সখিনা আমার জান-
তোমার বাবার কাছে আমি আজই নিয়ে যাব ফরমান।
হতে পার তুমি রাজা-মহারাজা, জমিদার সন্তান,
আমি সামান্য রাখাল আমার নেই কোন সম্মান।
বলল বাদশাহ্ ‘ওরে,
কে আছিস তোরা দেখে যা আমার জামাতা এসেছে ঘরে ;
এমনই যুবক খুজিঁতেছি আমি এতটি বছর ধরে।
ধনী গরীবের নেই ভেদাভেদ সবাই তো যাবে মরে।
****
যাত্রার স্টেজে এমনই জামাতা হইতেছি আমি রোজ,
বাস্তবে আমি আজও পাই নাই কোন সখিনার খোঁজ।
সাহানা ও সাহানা,
সকাল বিকাল ধরতে আছ
নিত্য নতুন বাহানা।
এই বিয়েতে আম্মু বেজার
বিকালে কও আব্বা,
কত্তরকম প্যাংছা তুমি
করতে পারো বাব্বাহ।
সালমা আমার সালমাগো,
দুই ফুটি মেয়ের গরম মেজাজ,
দুইশ ফুটের ঝাল মা গো!
কথায় কথায় জিনিস ভাঙ্গে
লাত্থি ঘুষি উষ্টা দেয়,
আম খাইলে আটিটা আর
কাঁঠালের পঁচা কুষটা দেয়।
কথা শুনলে রাগ লাগে আর
ভয় লাগে তার হুমকিকে-
এর চাইতে ভাল ছিল
বিয়ে করা চুমকিকে।
সোনিয়া সোনিয়া সোনিয়া
তোমার জন্য কেঁদে কেঁদে আজ ক্ষয়ে গেছে কর্নিয়া।
হাউ মাউ খাউ কেঁদে কেঁদে রোজ ছিড়ে গেছে স্বরনালী,
যতই কাঁদছি প্রতিবেশীরাও চালিয়ে যাচ্ছে গালি।
আমার মত এ দুর্দশা হয়েছে কার কার?
ভালবাসার ব্যাড এফেক্টে জীবনটা ছাড়খার।
জান নাকি তুমি সাবিনা?
তোমার কথা আগে ভাবতাম,
আজকাল আর ভাবি না।
বহুদিন পর তোমার স্বরণে
লেখা হল এই কোবতে-
তোমার চাইতে বেশি ভাল লাগে
ফারিহার কথা ভাবতে।
স্টাইল করে চুল কেটে
চিপ, দাড়ি, গোঁফ ছেটে,
মেয়েটার হৃদয়টা পেলি না,
আজ মাথা টাক করে
ভ্রু-জোড়া প্লাক করে
বলিতেছি-‘ভালবাসি সেলিনা’।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।