টাঙ্গাইলে মির্জাপুরে মোটরসাইকেল দিয়ে যাত্রী পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। এতে একদিকে যেমন বেকারত্ব ঘুচছে অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় সহজে যাতায়াত করতে পারছে সাধারণ মানুষ। আগে যেখানে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছতে কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যেতো। এখন মোটরসাইকেল ভাড়া পাওয়ায় অনেক কম সময়ে এবং কম খরচে একই স্থানে যাতায়াত করতে পারছে যাত্রীরা। আর এসব যাত্রীদের বেশির ভাগই চাকরিজীবি, ব্যবসায়ী।
আর এসব ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সমিতিও গড়ে উঠেছে।
সমিতি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শহরের লৌহজং নদীর চুনাতিবাড়ীর ঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০জন সমিতিভুক্ত ব্যবসায়ী মোটরসাইকেল দিয়ে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। সমিতির বাইরেও প্রায় ১০জন এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত আছেন বলে জানা যায়। তারা দিনে এমনকি অনেক রাতঅব্দিও একাজের মাধ্যমে তারা সাধারণ যাত্রীদের সহযোগিতা করে থাকেন। প্রায় ছয় সাত বছর ধরে এই ব্যবসার মাধ্যমেই অনেক পরিবার তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন পেয়েছে।
প্রায় ৬ থেকে ৭ বছর যাবত এরকম ভাবে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয় এই পথে কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে যে যাত্রিরা মোটরসাইকেল ভাড়া করে নিয়ে যায় ফাকা জায়গা পেলে তাদের জায়গামত থাকা লোকের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে মোটরসাইকেল, টাকা পয়সা যা কিছু থাকে সবকিছু নিয়ে যায় ও মারধর করে ছেড়ে দেয়। আর যদি চিনতে পারে তাহলে তাদেরকে জানে মেরে ফেলে। এমন কয়েকজন রাজ্জাক (২৫), নয়া ভাওড়া থেকে খান ভাওড়া গ্রামে হোন্ডা ভাড়ায় যাওয়ার সময় রাস্তায় আটক করে রাজ্জাককে মারধর করে সরিষা খেতে ফেলে দিয়ে হোন্ডা নিয়ে চলে যায়। জুয়েল (২১), মির্জাপুর থেকে হোন্ডা ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় ফাকা যায়গায় হোন্ডা ফিনতাই করার সময় জুয়েল তাদেরকে চিনে ফেলে বিধায় জুয়েলকে গলায় ফাস দিয়ে মারার চেষ্টা করে। কিন্তু এমন সময় অন্য একটি হোন্ডার আলো দেখে জুয়েলকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে হোন্ডা নিয়ে চলে যায়।
বরকত (৩০), লাভলু (২৩), সালাউদ্দিন (২০) প্রমুখদের মাঝে জানা গেছে যে, ভাড়া নিয়ে যায় ঠিকি কিন্তু সুযোগ পেলে তাদেরকে মারধর করে হোন্ডা ছিনতাই করে। তারা কষ্ট করে মানুষের উপকার করে। আর অকৃজ্ঞ মানুষ সুযোগ পেলে তাদের তি করে। শুধু তি বা হোন্ডা ছিনতাই করেই থেমে থাকে না। তারা তাদের দুইজন সঙ্গী আশীষ কুমার (২৫) ও দানেজ (২৩) কে জানে মেরে ফেলে ধান েেত ফেলে রেখে যায়।
তাদের এই
দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমনিতেই তারা দিন আনে দিন খায়। অনেক কষ্ট করে পরিবারের একটু স্বচ্ছলতা আনার জন্য তাদের ছেলেকে হোন্ডা চালানো শিখিয়ে ঋণ করে হোন্ডা কিনে দেয়। হোন্ডা চালিয়ে কোনভাবে তারা তাদের পরিবার চালাত। কিন্তু ছিনতাইকারীরা তাদেরকে খুন করে তাদের পরিবারকে পথে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছে। তারা এই ছিনতাইকারীদের ফাসির দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে হোন্ডা সমিতির সভাপতি মিঠুন মিয়া ও দপ্তর সম্পাদক আলম এর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান যে, তারা তাদের ড্রাইভারদের অসুবিধায় তারা তাদের পাশে গিয়ে দাড়ান ও সৎভাবে তারা তাদেরকে সাহায্য করেন।
পৌরসভার মেয়র মোশারফ হোসেন (মনি)-র সাথে কথা বললে তিনি বলেন সত্যি এটা ভাবার বিষয়। কিন্তু ড্রাইভারদেরকে নিয়ম শৃঙ্খলাতা মেনে হোন্ডা চালাতে বলেন।
থানায় যোগাযোগ করলে ওসি হাবিবুল্লাহ সিকদার বলেন, সকল কিছু জানার পর তিনি সকল ড্রাইভারদেরকে রাত ৮ টার মধ্যে হোন্ডা চালানো শেষ করে জমা দিয়ে দিতে বলেন। এর মধ্যে কোন অসুবিধা হলে সমিতি তার দায় বহন করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।