জাগরী একটি নির্দলীয় মঞ্চ যেখানে বাংলাদেশের যুবসমাজ দেশের রাজনৈতিক ও নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রে সচেতন,সোচ্চার ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করতে পারে।
www.jagoree.org
সামহোয়ার ইন ব্লগকে ধন্যবাদ
ইদানিং কয়টা ভালো জিনিস চোখে পড়লো। সিউল রায়হানের বদৌলতে খেয়াল করলাম প্রিয় লেখকদের , যাদের আমি ভালো লেখক/ব্লগার বলে মানি এবং যাদের লেখা পোস্ট কোনটা মিস করতে চাই না, তাদের অনুসরণ করার ব্যবস্থা হয়েছে। প্রিয় লেখকের প্রোফাইল পিকের নিচে "অনুসরণ করুণ" - এ ক্লিক করুন, প্রথম পাতায় "অনুসরিত" ট্যাবে ক্লিকান- ব্যাস, শুধুমাত্র আকাঙ্খিত লেখকদের লেখাই পড়তে পারবেন। সময় বাঁচানোর জন্য দারুণ!
ফেসবুক বা টুইটারে শেয়ারের বাটন গুলো ব্যবহার করে দেখলাম।
ফাটাফাটি!
প্রায় ৩ বছর ধরে ডেভেলপার টিমকে অনুরোধ করে আসছি, ব্লগটাকে যেন কবিতা-গান-ব্লগর ব্লগর- রাজনীতি ইত্যাদি ট্যাবে ভাগ করে পড়া যায়। এই ব্লগ পোস্টের ২৯৮ নম্বর মন্তব্য দেখুন। এ ব্যাপারে গত ৩ বছরে কোন সাড়া শব্দ নেই, ব্যক্তিগত যোগাযোগে জেনেছিলাম ( তাও ১ বছর আগে) এই ধরনের কিছু নাকি পাইপ লাইনে আছে। পাইপের ব্যাসার্ধ মনে হয় খুবই চিকন!
বাংলাদেশে বিদ্যুৎবিহীন স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব
বাংলাদেশের বিদ্যুৎবিহীন স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব খবরটা পড়ে দারুন লাগলো। প্রকল্পের সাথে জড়িত সামু ব্লগার মুনির হাসান এর ব্লগে প্রথম জানতে পারি এই সম্পর্কে।
এই খবর গুলো পড়লে আশা জাগে মনে- বাংলাদেশে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হলেও আইসিটি এগিয়ে চলেছে।
ছয় কোটি মানুষের ডাটাকে কাজে লাগান
এই নিয়ে লিখছি গত বছর থেকে । প্রচুর মানুষ এখনো এই ডাটা বেজ কাজে লাগানো নিয়ে কথা বলছে না। এইটা আমাদের ব্যর্থতা ।
প্লিজ , কথা বলুন।
আশে পাশের মানুষকে বুঝান। ভোটারদের বুঝান। শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাইকে বুঝান কেন এই ডাটা বেজকে ব্যবহার করা দরকার।
একটা ডিজিটাল আই ডি কার্ড মানে দেশে দুর্নীতি বন্ধ। দুর্নীতি বন্ধ মানে দেশে দারিদ্র মুক্তি।
দারিদ্র মুক্তি মানে দেশের বেশির ভাগ মানুষের হাতে কাজ, উপার্জন। ডিজিটাল আই ডি মানে দেশের প্রতিটা তালিকাভুক্ত নাগরিকের জন্য ৪৪টা নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা।
সরকারী প্রকল্প গুলোর মনিটরিং ডিজিটাইজড করুন
আপনারা অনেকেই জানেন, মনিটরিং বা চোখে চোখে রাখাটা যে কোন প্রকল্পের জন্য একটি অত্যন্ত জরুরী বিষয়। এই কাজটা প্রতিদিন করা সরকারের পক্ষে অসম্ভব একটা ব্যাপার। ফলে, এইখাতেই দুর্নীতি হয় সবচেয়ে বেশি।
কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া, কাজ অসমাপ্ত রেখে টাকা তুলে নেওয়ার খবর পড়ি আমরা প্রায়শই। এক্ষেত্রে, নেটিজেনদের একটা বড় ভূমিকা হতে পারে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি। সরকারের যেইখানে যেই প্রকল্প চলছে ( রাস্তা- ব্রিজ- কোন স্থাপনা-ভূমি উন্নয়ন- গাছ লাগানো ইত্যাদি) সেই উপজেলা/ জেলা/ বিভাগের একটি করে প্রকল্প ওয়েব সাইট বানিয়ে রাখা। যে কোন নাগরিক যে কোন দিনের ছবি তুলে ঐখানে আপলোড করে দিতে পারেন। ফলে, চুরি দারির রাস্তা বন্ধ হবে।
আর সরকার বিনা পয়সায় মনিটরিং করতে পারবেন যে- কোন কাজ আদৌ কতদূর হইলো। প্রকল্প শেষ হলে টাকা তোলার শর্ত হিসেবে কাজ শেষ হয়েছে - এমন প্রমাণ দিতে পারবে ঐ ছবি। ছবি চেয়ে সাইটে নোটিশ টাঙ্গালে এলাকাবাসী কাজটা করতে পারবে, আর সবাই তো আর টাকা খেয়ে নিজের এলাকার ক্ষতি করবে না, তাই না?
নিচের এই খবর গুলো পড়ুন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে শঙ্কিত খাদ্যমন্ত্রী
মা প্রতি শিশুর সংখ্যা কমিয়ে আনা বাংলাদেশের এক অতুলনীয় সাফল্য। ৭ জন থেকে সংখ্যাটা এখন প্রায় ৩ জন।
কিন্তু মুশকিল হলো, বাংলাদেশের মোট ধারণ ক্ষমতা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে এখন আমাদের জনসংখ্যা ১৬ কোটিতে। দুর্ভিক্ষ ও মহামারী ঠেকাতে হলে এখনি পরিবার বা দম্পতি প্রতি সংখ্যাটা ১ জনে নামিয়ে আনা প্রয়োজন। সেই ক্ষেত্রে একজনের বেশি সন্তান নিলে ট্যাক্স, প্রমোশন না হওয়াসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং মাত্র একটি সন্তান হলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে, হাসপাতাল, জমি -প্লট ইত্যাদি পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। শর্ত হতে হবে যে, শিশুর জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় আই ডি বানাতে হবে। দ্বিতীয় সন্তান নিলে ১ম সন্তানের সমস্ত সুবিধা ফেরত এবং জরিমানা দিতে হবে।
'ভাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি' প্রতিষ্ঠায় রাজউকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্লট বরাদ্দ!
বাড়ি, জমি , প্লট ইত্যাদি নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে যদি ভোটার আই ডি বা জাতীয় আই ডির বিপরীতে নিবন্ধন হত, তাহলে কম্পিউটার চেকিং এ সাথে সাথেই ধরা পড়ত কে বা কারা একাধিক প্লট/জমি হাতিয়ে নিচ্ছেন। বাংলাদেশে অর্থের অভাব নেই। দারিদ্র না কমার কারণ কিছু পরিবারের হাতেই সমস্ত সম্পদ দখল হয়ে আছে।
দুর্ভোগের অপর নাম পঙ্গু হাসপাতাল
হাসপাতালের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে আই ডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। কার্ড দিয়েই হাসপাতাল ও সরকারী সমস্ত অফিসে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
ক্যাশ টাকা নেওয়ার ব্যবস্থা উঠিয়ে দিলে এই সব দুর্নীতি রাতারাতি বন্ধ হয়ে যাবে। ওষুধ ও কার্ডের বিনিময়ে দেওয়া যায়।
আঠারোর কম বয়সীদের কাছে মোবাইলের সিম বিক্রি নিষিদ্ধ
জাতীয় ডাটা বেজ এইখানে একেবারেই জরুরী। কারো জাতীয় আই ডি কার্ড দেখে সেই কার্ডের সত্যতা যাচাই করে তাকে লাইন দেওয়া যেতে পারে। এতে করে মোবাইল সংক্রান্ত অপরাধ কমবে, অপরাধী ধরা সহজ হবে।
নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে আবার স্কুল ফিডিং চালু হচ্ছে
পুষ্টি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো কারণ ভালো ফল দেখাতে পারেনি। মনিটরিং ব্যবস্থার ত্রুটি ও দুর্নীতি ছিলো অন্যতম কারণ। এখন আবার শত কোটি টাকা ব্যয় করে বিস্কুট খাওয়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। এইটাও ব্যর্থ হবে নির্ঘাত। বাংগালী বিস্কুট খেয়ে অভ্যস্ত না।
যা হোক, তারপরেও এই ধরনের শত কোটি টাকার প্রকল্প গুলো ন্যাশনাল ডাটাবেজ এর সাথে সমন্বিত করে মনিটরিং করা উচিত। কে , কত টাকা খরচ করলো, কোথায়, কোন ছাত্র বা ছাত্রী কি খাবার পেল, প্রতি সপ্তাহে মনিটরিং করলে হরির লুট বন্ধ করা সম্ভব। এই ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীদের ন্যাশনাল ডাটা বেজের আন্ডারে আনা যায়। কতজন ছাত্র কোন শিক্ষকের ব্যবস্থাপনায় আছে, সেই রেকর্ড রাখা যায়। ছাত্রছাত্রীদের আই ডি টাই পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ সকল ভর্তি /পাবলিক পরীক্ষায় ব্যবহার করা যায়।
১৮ বছর হয়ে গেলে এই কার্ডটাই ভোটার তালিকায় ভুক্ত হবে। এতে করে বয়স চুরি আর সারটিফিকেট এজের মতন লজ্জাজনক দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচা যাবে।
ইন্টারনেটে মুক্ত পেশাজীবীদের জমজমাট কাজের বাজার
এই খবরটার সাথে ন্যাশনাল ডাটাবেজের সরাসরি সম্পর্ক নাই। তবে, এই মুক্ত পেশাজীবীদের জন্য দ্রুত গতির ইন্টারনেট এবং পে প্যালের মত অর্থনৈতিক লেনদেনের ব্যবস্থা করাটা অনেক জরুরী।
প্রধানমন্ত্রী,
যদি সত্যি সত্যি 'পরিবার প্রতি একটি কাজ/চাকুরীর' ব্যবস্থা করতে চান , তাহলে ন্যাশনাল ডাটা বেজটাকে কাজে লাগান।
মুক্ত পেশাজীবী বা আই টি ফ্রি ল্যান্সার পেশাকে স্বীকৃতি দিয়ে এঁদের জন্য একটু ইনফ্রা স্ট্রাকচার , সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে দিন। আপনার চাকরি দেওয়া লাগবে না - বিদ্যুৎ আর ইন্টারনেট পেলে , ছেলে মেয়েরা নিজেরাই কাজ খুঁজে নেবে!
--------------------------------
এই পোস্টের যে কোন খবর নিয়ে আপনাদের মতামত কাম্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।