ঢাকা, ১৭ অক্টোবর (আরটিএনএন ডটনেট)-- সফরকারী নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত জয় পেতে পেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য কিউইদের প্রয়োজন ছিলো ৮ রান। প্রথম ২ বলে ৫ রান নিতে পারলেও রুবেলে তৃতীয় বলে সরাসরি বোল্ড হল কাইল মিলস। ঐতিহাসিক এ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আরটিএনএন ডটনেট-এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন।
এরআগে দলপতি ভেট্টোরি আর অলরাউন্ডার ইলিয়টের ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের খেলায় ফেরা।
এ জুটির ৮৬ রানের পার্টনারশিপ জয়ের সুবাতাস কিউই শিবিরে। ম্যাচ বেরিয়ে যাওয়ার হতাশা বাংলাদেশ শিবিরে। এমনই সময় বল হাতে পরপর দুই ওভারে টাইগার দলপতি সাকিবের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফেরে স্বাগতিকরা।
সাকিবের বলে দলীয় ১০৬ রানে শফিউলের দুর্দান্ত ক্যাচে ভেট্টোরি (৪৩) ফিরে গেছেন সাজঘরে। এরপর ১১৯ রানে সরাসরি বোল্ড হয়ে বিদায় নিয়েছেন ন্যাথান ম্যাককুলাম (৪)।
তবে আশার প্রতীক হয়ে একপাশ আগলে রেখেছিলেন ইলিয়ট। ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে ৫৯ রানে শুভ’র বলে বিদায় নিয়েছেন। শূন্য রানে রাজ্জাকের বলে ফিরে গেছেন ম্যাককেই। এখন কাইল মিলসের সঙ্গে জুটি বেধেছেন ব্যানেট।
এ ম্যাচ বাঁচাতে পারলে নিউজিল্যান্ড রক্ষা পাবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে।
আর বাংলাদেশের সামনে প্রথম বড় সারির কোন দলকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জয়। সঙ্গে আইসিসি র্যাঙ্কিয়ে ৮ নম্বরের হাতছানি।
বাংলাদেশের ১৭৪ রান তাড়া করতে যেয়ে শুরুতে ২০ রানে কিউইরা হারিয়ে বসে প্রথমসারির ৫ জনকে। সেখান থেকে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন ভেট্টোরি আর ইলিয়ট। এরআগে রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট হাতে ৪৪ দশমিক ২ ওভারে মাত্র ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন অধিনায়ক সাকিব। দ্বিতীয় সেরা স্কোর ওপেনার ইমরুল কায়েসের (৩৪)। এছাড়া মুশফিক ২৯ ও মাহমুদুল্লাহ ১৯ রান করেন। কিউইদের পক্ষে ভেট্টোরি ৩২ রানে এবং কাইল মিলস ৩৬ রানে ৩টি করে উইকেট লাভ করেন। বাকি ৪টি উইকেট ম্যাককেই আর ইলিয়ট ভাগাভাগি করে নেন।
রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৭৫ রানের টার্গেটে মাঠে নামে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ব্রানডন ম্যাককুলাম আর জেসি রাইডার। প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন পেসার রুবেল হোসেন। মাত্র ৪ রানে বিদায় করেন মারকুটে ম্যাককুলামকে। একই ওভারে রুবেল তুলে নেন রাইডারের উইকেট।
এই আঘাতের সঙ্গে পাল্টা আঘাত করেন মাহমুদুল্লাহ।
রাজ্জাকের দুর্দান্ত এক থ্রোতে রানআউট হন ওয়াটলিং (১)। এরপর টেইলর আব্দুর রাজ্জাকের বলে ৩ রানে বোল্ড হন। আর আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া উইলিয়ামসন রানের খাতা খোলার আগেই স্লিপে রকিবুলের তালুবন্দি হন রুবেলের বলে।
এরআগে সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৫ রানে ম্যাককেই-এর বলে ফিরে যান শাহরিয়ার নাফিস (১১)। এরপর ৩২ রানে মিলসের বলে বিদায় নেন জুনায়েদ (১০)।
ব্যক্তিগত ৬ এবং দলীয় ৬৯ রানে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন রকিবুল হাসান। এরপর দারুন খেলতে থাকা ইমরুল (৩৪) ফিরে যান দলীয় ৭৭ রানে ভেট্টোরির বলে লেগবিফোর হয়ে।
দলীয় ৭৭ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে মূলত টেনে তোলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও সহ-অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু দলীয় ১৩২ রানের মাথায় ইলিয়টের বলে ডিপ মিড উইকেটে সাকিব উইলিয়ামসনের তালুবন্দি হলে সত্যিকার অর্থে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে।
মাঝখানে শুভকে নিয়ে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ব্যক্তিগত ৩ রানে আউট হয়ে যান শুভ। ১৯ রান করেন রিয়াদ। রিয়াদের বিদায়ের পরপরই ব্যক্তিগত ২ রানে আউট হন আব্দুর রাজ্জাক।
এরপর ২ রান করে রুবেলের আউটের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ১৭৪ রানের টাইগারদের ইনিংস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।