আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর পুর্বে ক্ষনজন্মা এক বীরপুরুষ বাঙ্গালি জাতির জন্য আশির্বাদস্বরুপ এই ধরায় আবির্ভুত হয়েছিলেন। তিনি একরকম একাই পাকিষ্তানের বিষবাস্পের নাগপাসকে ছিড়ে বাঙ্গালি জাতিকে এই স্বর্গীয়ভুমি উপহার দিয়ে গেছেন। তিনি আমাদের পরম পুজনীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতি আজো শ্রদ্ধাবনত মস্তকে তাকে স্মরন করে। বাঙ্গালি জাতি যখন এক চরম মূহুর্ত অতিক্রম করছে ঠিক তখনই এক বীর সুপুরুষের আহবানে সাড়া দেয় এই জাতির ত্রাতা এবং অন্যতম মিত্র এবং পরম বন্ধু ভারত।
ভারতের আন্তরিক ইচ্ছায় ও একান্ত সহযোগিতায় ১৯৭১ এ বাংলার মানুষ পায় তাদের নিজস্ব মানচিত্র। পাকিষ্তানের দুঃশাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে ভারত আগেও সোচ্চার ছিলো এবং পরেও তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন করে অন্যায় অত্যাচারের দাতভাঙ্গা জবাব দেয়, ফলে বাংলার মানুষ পায় প্রকৃত স্বাধিনতার স্বাদ। আজো প্রয়োজনে বাংলাদেশের প্রতি ভারত যথাসাধ্য সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ৭১ এর সময়কার ভারতের সহযোগিতার দরুন পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পন করে ঠিকই, কিন্তু তাদেরকে বিনা বিচারে ক্ষমা করেন জাতির পিতা শেখ মুজিব শুধুমাত্র এই কারনে যে দলীত-মথিত দেশটাকে পুনর্গঠন করা জরুরি সর্বপ্রথম। তাই তিনি আর যুদ্ধাপরাধিদের দিকে নজর দিতে পারেনি।
কিন্তু ভারত ঐ সময়ই যদি যুদ্ধাপরাধিদের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুকে সচেতন করতো তবে দেশ পেতো রাজাকারমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক এক সোনার বাংলাদেশ। ভারত তখন বাংলাদেশর উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হবে ভেবে এই বিষয়ের আর অবতারনা করেনি, ফলস্বরুপ ৭৫-এ এক জাতীয় বীরকে প্রানের বিনিময়ে এর মূল্য দিতে হলো। যাই হোক সময় ফুরিয়ে যায়নি, ভারতের কাছে স্বাধিনতার দলীল আজো বিদ্যমান, তাই ভারতের উচিত সেই দলীল পেশ করে আন্তর্জাতিকভাবে সকলের সম্মতি নিয়ে পাকিস্তানকে ও বাংলাদেশে অবস্থিত নরকের কীট যুদ্ধাপরাধিদের চরম শিক্ষা দেয়া। তাই আর কালক্ষেপন না করে যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের ভার বাংলাদেশ সরকারের উচিত ভারতের হাতে সমর্পন করা। একমাত্র ভারতই পারে এদের বিচার করে আবার বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে।
তাই জননেত্রি বিশ্বমাতা শেখ হাসিনার কাছে উদাত্ত আহবান রইলো, সময়কে হেলা না করে যথাশীঘ্র সম্ভব ভারতের সরাসরি সহযোগিতা কামনা করা।
বিশেষ নিবেদনে: ভাস্কর দাস লাল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।