জীবিকাবদ্ধ শব আমরা কি চাই? - মানবতা বিরোধি ও যুদ্ধাপরাধিদের ফাঁসি চাই (খেয়াল রাখবেন আমাদের আন্দোলন "ফাসির সমর্থনে"; রায়ের বিরুদ্ধে নয়- কারণ সেটা জামাত-শিবিরদের চাওয়ার সাথে এক মনে হতে পারে; আর এই মিস-রিপ্রেজেন্টের ফসল আমরা তাদের ঘরে তুলে দেবো না)
কিভাবে চাই? - এই ট্রাইবুনাল-কে বাতিল করে নয়, কারণ সেটা জামাতের পারপাস সার্ভ করবে। আমরা আইনগত ভাবেই এই বিচার চাই এবং সেটা এই ট্রাইবুনালের মাধ্যমেই।
কিভাবে? - এই আন্দোলনের মাধ্যমে ট্রাইবুনালকে একটা মেসেজ দেয়া হচ্ছে, চাপ দেয়া হছে। জনগণের আকাক্ষা তাদেরকে বুঝতে হবে।
আমরা কি সরকার ও ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে? - না, আমরা তাদের বিরুদ্ধে নয়; বরং তাদেরকে চাপ দিয়ে আমাদের আকাক্ষিত রায় আদায় করতে হবে।
আমরা কি রায় এর বিরুদ্ধে? - আমরা এই রায় প্রত্যাখ্যান করি; তবে যেহেতু রায় হয়ে গেছে এবং আইনগতভাবে এটা রদ করা সম্ভব নয় তাই আমরা প্রসিকিউটার-কে বলব আপিল করতে।
প্রসিকিউটরার কি আপিল করতে পারবেন? - মুলত শাস্তি বাড়াবার জন্য আপিল করার নজির নেই; তবে ছোট্ট একটা গ্রাউন্ড এখনো খোলা আছে; কসাই কাদেরের ৬টা অপরাধের মধ্যে আদালতের মতে ৫ টা সন্দেহাতিতভাবে প্রমানিত হয়েছে আর একটা হয় নাই। যেটা হয় নাই সেটা নিয়ে প্রসিকিউটার আপিল করতে পারেন সুবিচারের আশায়। আর একটা হতে পারে যদি আদালত স্বপ্রনোদিত ভাবে স্যুয়োমটো করেন।
আমরা কি সরকারের বিরুদ্ধে? - না।
বিচারের রায় সরকার দেয় না। তারা শুধু ট্রাইবুনাল গঠনে আইনগত সহায়তা করতে পারেন মাত্র। এই সরকার অন্তত তাদেরকে বিচার সম্মুখীন করেছে। মনে রাখবেন এই সব খুনিরা একসময় মন্ত্রিত্বসহ বড় বড় ক্ষমতা ও বিলিয়ন ডলারের মালিক; তাদের টেনে এনে বিচারের মুখোমুখি করাটা অত সহজ মনে করবেন না। দেশি-বিদেশি চাপকে সামলে এই পর্যন্ত টেনে আনা সহজ নয়।
তবে সরকারের কাছে আমাদের দাবি - প্রসিকিউটরকে শক্তিশালী করতে যা যা করণীয় তা তারা করবেন এবং একই সাথে এই ট্রাইবুনাল-কে বিল আকারে সংসদে পাস করিয়ে নেবেন যাতে অন্য কোনো সরকার এসে হুট করে এই ট্রাইবুনাল যেনো বন্ধ করতে না পারে। এই বিল পাস হলে - পরবর্তিতে কোনো সরকার এই ট্রাইবুনাল বন্ধ করতে হলে সংসদে তিন চর্তুথাংশ সমর্থন নিয়ে বাতিল করতে হবে।
তাই - কাদের মোল্লার যে রায় হয়েছে সেটা আমরা মানি না, আমরা চাই ফাঁসি। আর সেই দাবি আদায়ের যৌক্তিক সুযোগ রয়েছে। কেরানিগঞ্জের যে গণহত্যার অভিযোগ থেকে কাদের মোল্লা খালাস পেয়েছে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল।
আর এই আপিল করার জন্য সরকারি প্রসিকিউশনকে বাধ্য করতে হবে এই আন্দোলনের মাধ্যমে। ৩৪৪ জন মানুষ খুন করা হয়েছে এই খুনীর মদতে। কাদের মোল্লা মানুষ জবাই করতো। এই রকম নির্মম খুনীর শাস্তি স্রেফ যাবজ্জীবন হতে পারে না।
আপাতত রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে শাহবাগের আন্দোলনকারীদের একজোট হওয়ার বিকল্প নেই কোনো।
সব আন্দোলনেই গুটিবাজ থাকে, প্রতিবিপ্লবী থাকে, তাদের কাজ আন্দোলনের পিঠে ছুরি মারা, সংশয় ঢোকানো। বিভ্রান্তি ছড়ানো। আর এদের কারণেই জামাতে ইসলামী একটা হাস্যকর বিবৃতি দিতে পেরেছে যে ‘দেশবাসী বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে। ’
সো চোখকান খোলা রাখুন- আর ট্রাইবুনাল ও সরকারের উপর চাপ অব্যাহত রাখুন
===========
এই পোষ্টটা-ও রিলেটেড; দেখে নিন
http://www.amarblog.com/baul/posts/158918
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।