আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মারিও বার্গাস য়োসা’র উপন্যাস, "ছাগলের উৎসব" এর রিভিউ অনুবাদ

যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।

এইবার নোবেল প্রাইজ পেয়ে আলোচনায় এসেছেন বার্গাস য়োসা। তার লেখা একটি বইয়ের রিভিউ অনুবাদের দ্বায়িত্ব পড়েছিল। মূল রিভিউয়ারের জন্মকুষ্ঠি এখনো পাইনি।

প্রকাশিত হয়েছে বিডি নিউজের আর্টসের পাতায় সামুর আগ্রহী ব্লগাররা বঞ্চিত হবেন কেন। তাই এই অনুবাদ ব্লগারদের জন্য। আগ্রহীরা আরো ঘেটে দেখতে পারেন নেটে বা অন্য সোর্স থেকে। দ্যা ফিস্ট অফ দ্যা গোট/ ছাগলের উৎসব। ছাগলের উৎসব এমন একটি উপন্যাস যা আবর্তিত হয়েছে বাস্তবের ঐতিহাসিক চরিত্র রাফায়েল ট্রুজিলোকে ঘিরে।

রাফায়েল ট্রুজিলো, ডোমিনিকান রিপাবলিকের একচ্ছত্র একনায়ক, তিরিশ বছরের (অপ) শাসনের পর ১৯৬১ সালে যিনি গুপ্তঘাতকের হাতে খুন হন। উপন্যাসটির তিনটি মূখ্য ভরের জায়গা রয়েছে। এর একটি অংশে আছেন উরানিয়া কারবেল, যিনি ট্রুজিলোর একান্ত অনুগামী এবং একদা শক্তিশালী একজন রাজনীতিবিদের কন্যা। উরানিয়া, তিরিশ বছর আগে ছেড়ে যাওয়া তার দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে প্রথমবারের মত ফিরে এসেছেন এবং সময়টাও ট্রুজিলো খুন হবার ঠিক আগে আগে। দ্বিতীয় অংশের ভর ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি, যারা এই স্বেচ্ছাচারী শাসককে হত্যার পরিকল্পনা করছে এবং পরবর্তীতে সেটি সম্পন্ন করেছে।

এই অংশের মূল মনোযোগ প্রকৃত হত্যাকান্ড এবং এর অনূবর্তী ঘটনাসমূহের উপর। পরিশেষে ট্রুজিলো স্বয়ং, যেখানে তার রাজত্বের/একনায়কত্বের শেষ সময়কার পরিস্থিতি বিস্তৃত আকারে পরিবেশিত হয়েছে। উপন্যাসে এই তিনটি মূখ্য পরিসরে আগুপিছু যাওয়া আসা করেছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ছোট ছোট বর্ণনা, চরিত্র নির্মাণ এবং পূর্বের ও অন্য সময়ের স্মৃতিচারণ। উরানিয়ার গল্পই এই বইটির কাঠামো নির্মাণ করেছে।

উপন্যাসের শুরু হয় সান্টো ডোমিংগোতে (যা সে চলে যাওয়ার সময় পর্যন্ত সিউডাড ট্রুজিলো নামে পরিচিত ছিল) তাঁর ফিরে আসার মধ্য দিয়ে এবং শেষ হয় তাঁর বিদায়ে। স্কুলে পড়াকালীন সময়ে তিনি ডোমিনিকান রিপাবলিক ছেড়ে চলে যান, আমেরিকার একটি স্কুল এ ভর্তি হবার জন্য। এরপর তিনি হার্ভার্ড ল স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং একজন সফল আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। যদিও মাঝের দশকগুলোতে তিনি একবারও তাঁর নিজের দেশে বা দুঃস্থ পিতার কাছে ফেরত আসেননি। তাঁর এবং একইসাথে তাঁর পিতার গল্প ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়।

ডোমিনিকান রিপাবলিক-এ ফেরত আসার পর তিনি তাঁর পিতার সাথে দেখা করতে যান কিন্তু তাঁর পিতা তখন বৃদ্ধ এবং অসুস্থ। তাঁর পিতা কথা বলতে পারেনা, এবং এটাও পরিষ্কার নয় যে উরানিয়ার কথা সে আদৌ বুঝতে পারে কিনা। একদা গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ, যিনি দীর্ঘসময় ট্রুজিলোর খুব ঘনিষ্ট ছিলেন তিনি ক্ষমতার/সাম্রাজ্যের শেষ সপ্তাহগুলোতে অনুগ্রহ বঞ্চিত হয়ে পড়েন। যথার্থ কারণেই উরানিয়া তখনো তাঁর পিতাকে একনায়কের প্রতি আনুগত্যের কারণে দোষারোপ করেন। স্বেচ্ছাচারী একনায়কের প্রতি সিনেটর অগাষ্টিন কাবরালের আনুগত্য আদতেই গভীর ছিল।

খুব ধীরে ধীরে পাঠক এই গভীরতা আবিষ্কার করে এবং কিভাবে ও কেন উরানিয়া দেশ ছেড়ে চলে যান, সেটাও। অচিন্ত্যনীয় মনে হলেও, কাবরালের বিশ্বাসঘাতকতা শেষ পর্যন্ত পাঠকের কাছে আর অবিশ্বাস্য থাকে না। কেননা ভার্গাস য়োসা তাঁর উপন্যাসের চার’শ পৃষ্ঠা জুড়ে এটাই দেখান যে কীভাবে একটি দেশের প্রায় সকলেই আপোষ করেছিল। বার্গাস য়োসার নিজের বিবৃতিতে, ১৯৬১ সালের গুপ্তহত্যাকে নানাভাবে বিস্তৃত করেন তিনি, বিশেষত যারা যুক্ত ছিলেন তাদের প্রতি মনোযোগ দিয়ে এবং কেন তারা এধরণের পদক্ষেপ বেছে নিয়েছিল সেটির প্রতিও। বইয়ের মাঝামাঝি পর্যায়ে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে, যদিও এটি ট্রুজিলোবাদের এর অন্ত নয়।

এই সত্যই উপন্যাসে বার্গাস য়োসা কতৃক পুনঃপ্রবিষ্ট হয়, বারবার সেইসব দৃশ্যের মধ্যে ফিরে যাবার মধ্য দিয়ে যেখানে ট্রুজিলো খুবই জীবিত। ছাগলের উৎসব বইটি ক্রমপঞ্জিতে ভরপুর, হয়ত গোলমেলেও। সামনে পিছনে; সময়ের নানাদিকে এটি ছুটে বেরিয়েছে। এটি একটি ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস তাই এর মূল ঘটনাগুলো অপরিচিত নয় (হওয়া উচিতও নয়)। পাঠকরা জানেন যে ট্রুজিলোর হত্যাচেষ্টা সফল হবে এবং এর পরবর্তী ঘটনাগুলোও তারা জানেন।

উপন্যাসের অধিকাংশ ঘটমানতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে ১৯৬১ সালকে ঘিরে, এমনকি উরানিয়ার স্মৃতিচারণও। কিছু ঘটনা বর্তমানেরও, অনুমান করি এটা দেখানোর জন্য যে আদতে কত অল্পই পরিবর্তন হয়েছে এবং মানুষজন অতীতকে কীভাবে মনে রেখেছে, (তিরিশ বছর পরও উরানিয়া ট্রুজিলো নষ্টালজিয়ার মুখোমুখি এবং হোয়াইট ওয়াশের বিষয়টিও চলমান, এতগুলো বছর ধরে)। আশ্চর্যজনক হলেও অতীত নিয়ে কমই বলা হয়েছে, অতীতের কিছু ঘটনা কেবল (যার মধ্যে রয়েছে খাওয়ার টেবিলের গল্প হিসেবে, ১৯৩৭ সালের হাইতির ভয়ানক গণহত্যার কথা)। যদিও কীভাবে ট্রুজিলোর মত বদমাশ ছোট মানুষটি ক্ষমতায় এল, এমনকি তার ক্ষমতার প্রথমদিককার সময়– সেসবের কোন বর্ননা নেই। বার্গাস য়োসা’র উপন্যাস ডমিনিকিয় দুষ্কৃতির এক অভিযোগনামা।

তিনি দেখান এবং সরাসরি বলে দেন–কীভাবে বহুসংখ্যক ডমিনিকিয় নাগরিক এই একনায়কের পোষা শাবক হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন, তাকে তুষ্ট করতে ব্যতিব্যস্ত থেকেছেন এবং তার সবচেয়ে অযৌক্তিক সিদ্ধান্তেও কোন প্রতিবাদ জানান নি। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় যে, ট্রুজিলো কর্তৃক সংঘটিত সকল অপকর্মের অন্ধ অনুসারীদের দলে অগাষ্টিন কাবরাল এর ভূমিকা, পোষ্টার বয় এর(বিশেষত এই কারণে যে, তিনি যৌক্তিক, সভ্য, বিবেক হিসেবে পরিবেশিত-যার ডাক নাম “এগহেড”)। যদিও সবাই ট্রুজিলোর উন্মত্ত উন্মাদনার সাথে গলা মিলিয়ে গেছে, জ্বী হুজুর করে গেছে। অন্তঃস্থ সূক্ষ্মবোধ বার্গাস য়োসা’র শক্তিমত্তার জায়গা নয়, এবং এই উপন্যাসে তিনি এমন কোন চেষ্টাও করেন নি। এছাড়া প্রকৃত ঘটনাসমূহই সম্ভবত সূক্ষবোধ বিষয়ক কোন প্রচেষ্টাকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।

কেননা ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট নেতাদের মধ্যেও ট্রুজোলোর অবস্থান সবচেয়ে খারাপ জায়গায়। দক্ষিণ ও ল্যাটিন আমেরিকায় নানাবিধ অনৈতিক কর্মকান্ডে সে যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্ত করতে পেরেছিল (যুক্তরাষ্ট্র এমনকি তাকে প্রতিপালনও করেছিল)। ১৯৬১ তে সে, ওএএস এর মাধ্যমে ডোমিনিকান রিপাবলিকের উপর অনুমোদন চাপিয়ে দেবার ব্যবস্থাও করেছিল (সেটাও সোভিয়েতদের সাথে ন্যুনতম আঁতাত ছাড়াই)। তার শাসনামলের মত দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন কমই পাওয়া যাবে। কিন্তু বার্গাসের চিন্তা হল, এর দায় আরো অনেকের সাথেই ভাগাভাগী করতে হবে, যারা তার সাথে থেকেছে এবং এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে তারাও এর বাইরে নন।

অধিকাংশ মাল-মশলা বার্গাস ভালোভাবেই ব্যবহার করেছেন। বিশেষত ট্রুজিলোর সাথে দৃশ্যপটসমূহ-জরাগ্রস্ত, অস্বাচ্ছ্যন্দ, খামখেয়ালীপনা এবং শয়তানী নিখুঁতভাবে সজ্জিত। কেবল তার পেছনের ইতিহাস অপর্যাপ্তভাবে সংযুক্ত, যেন মনে হয় বার্গাস য়োসা অনুধাবন করতে পারেননি কীভাবে এরকম একটি দানব ক্রমান্বয়ে অস্তিত্বশীল হতে পারে এবং একটি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। ট্রুজিলোর দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবারও মোক্ষমভাবে বর্ণিত। একই রকম ট্রুজিলোর আশপাশের অনেক রাজনীতিবিদও (বিশেষভাবে লক্ষনীয় প্রেসিডেন্ট জোয়াকুইন বালাগুয়ের-এর চরিত্র, ট্রুজিলোর মৃত্যুর সাথে সাথে যার ভূমিকা নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়)।

বার্গাস য়োসা যেসব চরিত্র উদ্ভাবন করেছেন সেগুলো ততটা প্রসংশনীয় নয়। যেমন উরানিয়া, সান্টো ডোমিংগোতে ফিরে তিনি কি করছেন, তা অনিশ্চিত। তাঁর অস্তিত্বের উদ্দেশ্য কেবল তাঁর পিতার দ্বারা ভয়ংকরভাবে প্রতারিত হওয়া (ঠিক তেমনটাই যেমন ডোমিনিকিয় রিপাবলিকের মানুষজন…. ডোমিনিকিয় রিপাবলিকের লোকজন দ্বারাই প্রতারিত হয়েছে)। যেভাবে তিনি গল্প পরিবেশন করেছেন তা অনেক বেশি কৃত্রিম মনে হয়েছে, অন্তত নিখূঁত ঔপন্যাসিক বুনোনের মত মনে হয়নি। গুপ্ত/পরিকল্পিত হত্যাকান্ডকে ঘিরে থাকা গল্পগুলো বেশ নিরেট, যদিও আবারো রাজনীতিবিদদের ঘিরে যেগুলো, সেগুলো ততটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।

চরম উন্মত্ত নিষ্ঠুরতা তৈরিতে এবং প্রদর্শনে বার্গাস য়োসা পারঙ্গম। ট্রুজিলো ( ট্রুজিলো পরবর্তী শাসনেও) যতগুলো ঘৃণ্য ঘটনা বাস্তবায়িত হয়েছে বার্গাস তার অনেকগুলোই বর্ণনা করেছেন। যার অধিকাংশই দুর্নীতি এবং মানুষের প্রতি অত্যাচার বিষয়ক। এছাড়াও আছে বাছবিচারহীন গণহত্যা (বিশেষত হাইতি পর্ব) এবং বহুসংখ্যক অত্যাচার দৃশ্য (বিশেষত এগুলি বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে)। দ্যা ফিস্ট অফ দ্যা গোট উপন্যাস হিসেবে অসম, একটি সমতল পাটাতনে একে চিহ্নিত করা কঠিন।

এখানে অনেকগুলো দুর্দান্ত পর্ব আর ঘটনার সন্নিবেশ যেমন আছে, তেমনি আছে নিখুঁতভাবে পরিবেশিত চরিত্রসমূহ (বিশেষভাবে ট্রুজিলো) এবং কিছু চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা দৃশ্য। যদিও উপন্যাসের অধিকাংশই ভারী হাতের কাজ এবং সামগ্রিকভাবে অত্যন্ত স্বল্প পটভূমি ও গভীরতা সম্পন্ন। বার্গাস য়োসা সঠিকভাবেই অনেক ডোমিনিকিয়কে অভিযুক্ত করেন (বিশেষত তারা, যারা কোন না কোন ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের সাথে যুক্ত ছিল)। তারা ট্রুজিলোর ক্ষমতাকে দমন করার চেষ্টা না করে অভিযোগযোগ্য অবস্থানেই আছেন। কিন্তু কোন বিষয়গুলো এরকম নিকৃষ্ট নেতাকেও দাসের মত, অনুগতের মত অনুসরণ করা কিংবা সমর্থন দেবার জন্য এসব মানুষকে চালিত করেছে, তিনি সেই কারণ ব্যাখ্যায় স্পষ্ট অপটুতা দেখিয়েছেন।

ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস/ফিকশন, ঘারানা হিসেবে কঠিন। একটা বেশ আগ্রহ উদ্দীপক বিষয় হল এই যে, ছাগলের উৎসব-এ, বার্গাস য়োসা সত্য ঘটনা নির্ভর অংশ বেশ চমৎকারভাবেই সম্পন্ন করেছেন। যদিও ফিকশন/কল্পনার অংশ কম আকর্ষণীয়, উদ্ভাবিত চরিত্রের সাথে ঐতিহাসিক চরিত্রের দ্বিমাত্রিক তুলনায়-যেগুলো তিনি উপন্যাসে একসাথে যুক্ত করেছেন। এমনকি উরানিয়ার বিয়োগান্তক গল্পও, যেটা আসলে একটি রাষ্ট্রের ইচ্ছাশক্তি ধংসের প্রতীক (যার প্রভাব বর্তমান পর্যন্ত বিস্তৃত)। তখন পর্যন্ত এত অমীমাংসিত (কেবলমাত্র বইয়ের শেষ পাতাগুলোয় উন্মোচিত) এবং এত প্রত্যাশিত যে আরেকটু হলেই এই পরিণাম হাস্যকর নাটিকায় পর্যবসিত হবার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল, বিপদজনকভাবে।

ট্রুজিলোর সমর্থক গোষ্ঠীর প্রতি বার্গাস য়োসা’র অভিযোগ কখনো একটু বেশি ভোঁতা ও সরলীকৃত। যদিও এ কথা অনস্বীকার্য যে, তারা ভুল কাজ করেছিল এবং তাদের কর্মকান্ড শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ঠিক একইভাবে হিটলারের সময়কার জার্মানরা যেমন দোষী হতে পারে। অথবা স্ট্যালিনের সময়ের সোভিয়েতরা। অথবা সাম্প্রতিক বিশ্বের বহু রাষ্ট্রের বহু মানুষজন যারা মানবতার জন্য লজ্জাকর এমন স্বেচ্ছাচারী সাম্রাজ্যে বসবাস করছেন।

হয়ত বার্গাস য়োসাই ঠিক, যিনি বেশি চিন্তাও করতে রাজি নন কেন মানুষজন এমন সাম্রাজ্যের সাথে থাকে বা তাদের সহায়তা করে। কিন্তু এ মুহুর্তে যা মনে হচ্ছে তা হল, এ জাতীয় বই এ এমনতর প্রশ্ন জিজ্ঞাসারও কোন কারণ নেই। জীবন্ত, গতিশীল (হয়ত কখনো কখনো দুর্বোধ্যভাবেই), ভীতিকর, কিছু হতবিহ্বলকর দৃশ্যের সাথে। ছাগলের উৎসব যদি সম্পূর্ণ তৃপ্তিদায়ক নাও হয়, তবুও অনেক ভালো একটি উপন্যাস। আরেকটুখানি ঘষামাজা( অথবা সম্পাদনা) হয়ত পূর্ণতা প্রদানে সাহায্য করতে পারত।

যদিও এসবের পরেও এটি একটি স্মরনীয় বই, যা উন্মোচন করে কীভাবে একটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্র দুর্নীতিগ্রস্থ/নীতিবিবর্জিত হয়ে উঠতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.