আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেকালের চিঠি একালের চেটিং

নাজমুল ইসলাম মকবুল

নাজমুল ইসলাম মকবুল বৈদেশ গেলে বন্ধু তুমি আমায় ভুইলোনা, চিঠি দিয়ো পত্র দিয়ো জানাইয়ো ঠিকানারে জানাইয়ো ঠিকানা......। বন্ধু বা আপনজন দুর বিদেশে যাবার সময় যখন বুকফাটা কান্নায় বিদায় নিতে উদ্যত হতেন তখন দেশের বন্ধু বা প্রিয়জন তার প্রিয়তমকে বিদায় দেবার কিংবা অনেকদিন পাশে না পাবার বেদনা হয়তো এই গানের মধ্যে পাওয়া যায়। আবার বন্ধু বা আপনজন অনেকদিন চিঠিপত্র না দিলে বা যোগাযোগ না রাখলে বিচ্ছেদের জ্বালায় মন আকুবাকু করে উঠতো, তখন বার বার মনে পড়তো প্রিয়তমকে আর মনের অজান্তেই হয়তো গেয়ে উঠতো, নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম, বন্ধুর কাছে মনের খবর কেমনে পৌছাইতাম..........,। অথবা আঙুলও কাটিয়া কলমও বানাইয়া চোখের জলে কইরা কালিরে.......। বর্তমানে একসময়ের খুবই জনপ্রিয় এধরনের গান সেকেলে জামানার কারো কারো শুনতে ভালো লাগলেও এসব গানের আবেদন বর্তমান ডিজিটাল জামানায় একেবারে যেন উধাও হয়ে গেছে।

শুধু তাই নয় এসব গানও এনালগ হয়ে গেছে। একসময় কৃষক শ্রমিক রাখালের সুরেলা কন্ঠে এসব গানই শুনা যেতো, কিন্তু কালের পরিক্রমায় ডিজিটাল জামানায় শুনা যায় পশ্চিমা ধাচের ব্যান্ডের লাফানো লাফানো ঝাকানো ঝাকানো একধরনের গান। চিঠি লেখা যেভাবে ইতিহাসের মলাটে বন্ধি হয়ে গেছে সেভাবে চিঠি সংক্রান্ত গানও ইতিহাসের মলাটেই বন্ধি হওয়ার পথে। এককালে দেশবিদেশে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ ও কুশলবিনিময়ের সর্বোত্তম ও বহুল প্রচলিত জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে চিঠি লেখার এবং চিঠি আদান প্রদানের ঐতিহ্যবাহী রেওয়াজ ছিল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। প্রাচীন আমলের রাজা বাদশাহরাও দূত মারফত বিভিন্ন রাষ্ট্র, সরকারপ্রধান বা অধীনস্থ রাজ্যপ্রধানদের সাথে একমাত্র চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন বলে ইতিহাস থেকে জানা যায়।

আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে বর্তমান ইন্টারনেট ইমেইল ফোন ও মোবাইলের যুগে আজ তা ক্রমশঃ হারিয়ে যাবার পথে। জাদুঘরের বন্ধ খাচার দিকে ক্রমশঃ ধাবমান আর ইতিহাসের পাতায় বন্দি হওয়ার মতো অবস্থা। ই-মেইল, ফেইসবুক, চ্যাটিং, এসএমএস, মাল্টিমিডিয়া ম্যাসেজ, ফাশ ম্যাসেজ, অডিও ম্যাসেজ, টেলিকানেকশন, ও মোবাইলের জয়জয়কারে দেশে বিদেশের স্বজনদের সাথে পত্রযোগাযোগ এখন সেকেলে মডেলে পরিণত হয়েছে। এই ক’বছর পূর্বেও সিলেটসহ সারাদেশেই পোষ্ট অফিসের ডাকপিয়নের কদর ছিল আকাশচুম্বি। ডাকঘর খোলার অনেক পূর্ব থেকেই সর্বসাধারনের দারুন ভীড় দেখা যেতো পোস্ট অফিসের আঙ্গিনায়।

অনেকেই বসে বসেই প্রতিার প্রহর গুণতেন কবে কখন আসবেন ডাক পিয়ন। ডাকপিয়ন এসে অফিস খোলার পরেই ডাকে আসা চিঠি বের করে সিল মেরে এক একটি চিঠি হাতে নিয়ে এয়ারলেটার বা খামের উপর উল্লেখিত প্রাপকের নামে নাম ধরে ধরে উচ্চস্বরে ডাকতেন। তখন সেখানে উপস্থিত লোকজন নিজ নিজ চিঠি আত্মীয়দের চিঠি বা পাশের বাড়ীর চিঠি নিজ হাতে সমঝে নিয়ে যেতেন বাড়ীতে। বাড়ীতে যাবার পর চিঠি খুলে সকলেই খুশিতে জড়ো হয়ে পড়া শুনতেন। পড়া জানা না থাকলে পাশের বাড়ীর কোন পড়া জানাশুনা ব্যক্তির নিকট গিয়ে চিঠি পড়া শুনে তার মর্ম অবগত হতেন।

সমস্যা হতো স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে দেয়া চিঠি পড়াতে বা স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে দেয়া চিঠি লেখাতে। তখন পাঠক বা লেখক খোজা হতো নিতান্ত আপনজনকে। কারন স্বামী স্ত্রীকে যে মধুমাখা আবেগ দ্বারা চিঠি দিতেন তা সকলের দ্বারা পাঠ করানো সম্ভব হতোনা এজন্য যে, এতে স্ত্রীর লজ্জা শরমের একটা ব্যাপার স্যাপার আছে। আগেকার যুগে পাড়া মহল্লায় চিঠি লেখকদের যথেষ্ট কদর ছিল। যারা চিঠি লেখাতেন বা পাঠ করাতেন তারা এদেরকে সব সময় সমীহ করে চলতেন এবং সময় সুযোগমতো দাওয়াতও খাওয়াতেন।

প্রেরক চিঠি লেখকের বাড়ী বারবার হানা দিতেন একটা চিঠি লেখানোর জন্য। চিঠি লেখক ব্যস্ত থাকলে বলতেন আগামীকাল, পরশু অথবা রাত্রে সুবিধাজনক সময়ে আসেন। এভাবে অনেক সময় চিঠি লেখকের বাড়ীতে বারবার চক্কর দিয়ে অনুনয় বিনয় করতে হতো একটি চিঠি লেখানোর জন্য। চিঠি লেখানোর সময় লেখককে আঞ্চলিক ভাষায় পুরো বিষয়আশয় বলা হতো তখন তিনি সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতেন। আবার কেহবা একটু একটু করে বলতেন এবং লেখক তা খুটিয়ে খুটিয়ে লিখতেন।

কিছু অংশ লিখার পর প্রেরককে পাঠ করে শুনাতেন। চিঠির প্রথমে ‘‘এলাহী ভরসা, আল্লাহ মহান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, ৭৮৬/৯২’’ ইত্যাদি লেখা হতো। এরপর প্রাপককে সম্বোধন করা হতো বিভিন্ন মায়াবী ভাষায়। যেমন ছেলে পিতাকে লিখলে পরম শ্রদ্ধেয় আব্বা, জনাব আব্বাজান সাহেব, জনাব বাবাজান, শ্রদ্ধেয় বাবাজী ইত্যাদি, স্ত্রী স্বামীকে লিখলে প্রাণপ্রিয় স্বামী, ওগো আমার পরানের স্বামী, ওগো আমার জীবন সাথী ইত্যাদি। এরপর লিখা হতো লিপির শুরুতে আমার হাজার হাজার সালাম নিবেন, ছোট হলে দোয়া পর সমচার এই যে আশা করি বাড়ীর সকলকে নিয়ে কুশলেই আছো ........।

অনেকেই প্রতিটি প্যারাতে আর এর পরিবর্তে সংেেপ বা ষ্টাইলের জন্য ইংরেজীতে জ লিখতেন, ইতি লেখার সময় ঊ তি লিখতেন। আগেকার যুগে প্রেমিক প্রেমিকার যোগাযোগ বা প্রেম নিবেদনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুলপ্রচলিত মাধ্যমও ছিল চিঠি আদান প্রদান। এতে নানা ধরনের মুখরোচক ও আবেগময় লিখা থাকতো যেমন ‘‘ও আমার পরান পাখি, ও আমার জানের জান............. ’’। প্রেমের চিঠি আদান প্রদানের সময় বন্ধু বা বান্ধবীর প্রতিবেশি বা সমমনা বন্ধু বান্ধব অথবা বাড়ির ছোট ছোট ইচড়েপাকা কিশোর কিশোরিকে ব্যবহার করা হতো এবং এ কাজের জন্য তাদেরকে নানান ধরনের পুরস্কারেও ভুষিত করা হতো। প্রেমিক বা প্রেমিকা চিঠি পেয়ে সাড়া দিলে তখনি চিঠির উত্তর দিয়ে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে প্রেমের প্রথম পর্ব শুরু হতো।

আবার অনেকে প্রেম প্রত্যাখ্যান করলে চিঠি ছিড়ে ফেলতো। বাহকের কাছ থেকে যেকোনভাবে জায়গামতো না গিয়ে অভিভাবক বা মুরব্বী কারো হাতে গেলে বিচার আচার কিংবা ঝগড়া ঝাটি মারামারিও হতো। অনেকেই নিজে চিঠি লিখার বা লিখানোর পরও বারবার পাঠ করে শুনতেন বা শুনাতেন যাতে কোন তথ্য অসম্পূর্ণ না থাকে। এভাবে ব্যক্তিগত পারিবারিক ও অন্যান্য খবরাখবর এবং আশয়বিষয় লেখার পরও প্রেরকের মধ্যে না বলার বা না লেখার অতৃপ্তি মনের মধ্যে থেকেই যেতো। কি জানি কোন তথ্য বাদ গেলো এ নিয়ে অনেকেই গভীর চিন্তা করতেও দেখা যেতো।

দেশ বিদেশের বিষয়আশয় জানার জন্য প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও বহুল প্রচলিত মাধ্যম ছিল চিঠি আদান প্রদান। চিঠির মাধ্যমে প্রবাস থেকে বিস্তারিত হাল হকিকত জানানো হতো সপ্তাহে পনের দিনে কিংবা মাসে অন্তত একবার। এতে লেখা থাকতো ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে সাংসারিক পারিবারিক সামাজিক এমনকি রাজনৈতিক অনেক সংবাদ। নব্বই দশকের পূর্ব থেকেই দেশের প্রতিটি জেলা সদর এবং পর্য্যয়ক্রমে বিভিন্ন উপজেলা সদরে ডিজিটাল টেলিফোন ব্যবস্থার সুবাদে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, ইউরোপের প্রায় সকল দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশের প্রবাসীদের সাথে সরাসরি ফোনে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু মিনিটে স্থানভেদে একশত থেকে দেড়শত টাকা করে বিল আসায় নিতান্ত অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেহ টেলিফোন করতেননা।

তাও দ’ু চার মিনিটের মধ্যেই আলাপ সীমাবদ্ধ থাকতো। দীর্ঘ আলাপ হলে রিভার্স কল করা হতো যাতে প্রবাসীকে কল ব্যাকের ম্যাসেজ দেয়া হতো, কল আসলে রিভার্স কলের বিল দেয়া হতো। এছাড়া এরও পূর্বে অতি জরুরী খবর পৌছানোর জন্য টেলিগ্রামের প্রচলন ছিল। টেলিগ্রাম সম্পর্কিত পুরনো একটি জনপ্রিয় গানও আছে ‘‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম, বন্ধুর কাছে মনের খবর কেমনে পৌছাইতাম....’’। বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বল্প খরছে চেটিং করা যায়।

ফেইসবুকে ঘন্টার পর ঘন্টা বাতচিত করা যায়। চার পাঁচ টাকা মিনিটে আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপের প্রায় সকল দেশেই ফোন করা যায়। নেট কলিং কার্ড মোবাইলে ঢুকিয়ে নিজ মোবাইলের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে আলাপ করা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। এছাড়া মোবাইলের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কলচার্জ ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ায় অনেকেই নিজের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরাসরি ফোন করে ভাবের আদান প্রদান করেন হরহামেশাই। তবে বেশির ভাগ েেত্র দেখা যায় প্রবাসীরা বিদেশ থেকে ইন্টারনেট কার্ডের মাধ্যমে দেশে স্বজনদের মোবাইলে বা ফোনে আলাপ করেন ঘন্টার পর ঘন্টা।

প্রবাসীদের সাথে আলাপ করে জানা যায় পাঁচ পাউন্ডের কার্ডের মাধ্যমে তারা প্রায় ঘন্টা দেড়েক আলাপ করতে পারেন। তাইতো প্রবাসীরা ফোন করলে আর রাখতে চাননা। অপ্রয়োজনীয় গল্প গুজবেও তাদের লিপ্ত হতে দেখা যায়। বর্তমানে কী তরকারি পাকানো হচ্ছে, তরকারিতে লবন বেশি হলো না কম হলো, ঝাল কেমন হলো, রাতে ঘুম কেমন হয়েছে, পাশের বাড়ির অমুকের মা কি করতেছেন, বাচ্ছায় হাসছে না কাঁদছে ইত্যাদি আলাপও বাদ যায় না ফোনের মাধ্যমে। অনেকে টেলিফোনে শিশুর অস্পষ্ট আলাপ বা হাসি কান্না শুনান।

এছাড়া রাজনীতি সচেতন প্রবাসীরা রাজনীতিরও খবরাখবর নিচ্ছেন হরদম টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে। অনেক নেতা বিদেশে থেকেও দলকে টেলিফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করার কথা শুনা যায় এবং এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা লেখিও হয় বিস্তর। নির্বাচনের সময় দলের শীর্ষ নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে মাঝারী ধরনের নেতা নেত্রীরা পর্যন্ত সময় স্বল্পতার কারনে বিভিন্ন এলাকায় স্বশরীরে উপস্থিত হতে না পেরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষন প্রদান ও ভোট প্রার্থনার একটা রেওয়াজও সৃষ্টি হয়েছে গত ক’বছর ধরে। এছাড়া প্রার্থীরা একসময়ে কয়েক জায়গায় যেতে না পেরে মোবাইলের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন ভোটারদের উদ্দেশ্যে আর তা স্পীকারের বা মাইকের মাধ্যমে শুনানো হয় সমর্থকদের। এছাড়া সরাসরি মোবাইলে ফোন করে বা এস এম এস করে সালাম জানিয়ে ভোট প্রার্থনারও রেওয়াজ সৃষ্টি হয়েছে।

ঈদের সময় সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের মোবাইল নাম্বার খুজে খুজে ঈদের সালাম ও শুভেচ্ছা পাঠান এসএমএসের মাধ্যমে, যাতে ভোটের সময় স্মরন হয় লিডারের এসএমএসের কথাটা। বর্তমানে ব্যক্তিগত মোবাইলের ছড়াছড়ির কারনে কপোত কপোতি বন্ধু বান্ধব সহপাঠি শালি-দুলাভাই কিংবা দেবর-ভাবীর রাসালাপও হয় হরদম। মোবাইল বা ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রেম অতঃপর পরিচয়, পরিচয় থেকে পরিণয় কিংবা প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে দেদারছে। বিয়ের আকদ (ইজাব কবুল) ও ফোনে হয় অহরহ। এছাড়া টেলিফোনের মাধ্যমে খতম বা মীলাদ শরিফের দোয়ায় শরিক এমনকি জানাযার নামায ও দোয়ায় শরিক হতেও দেখা যায়।

যাদের বাড়ীতে আই এস ডি টেলিফোন সংযোগ নেই তাদেরও কোন ভাবনা নেই স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায় আই এস ডি মোবাইলের সীম। অথবা দেশের যে কোন মোবাইল থেকে প্রবাসীর কাছে মূহুর্তে এসএমএস পাঠানো যায় ‘‘প্লিজ কল ব্যাক’’। তখন প্রবাসীরা সাথে সাথে অথবা সময় সুযোগমতো কল ব্যাক করেন। প্রবাসীরা বর্তমানে দেশে রেমিটেন্সও পাঠাতে পারেন মুহুর্তে। মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেন টাকা পাঠানোর খবর ও পিন নম্বর।

মুহুর্তে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলে আনা যায় অনায়াসে। এছাড়া মোবাইল র‌্যামিটেন্সতো আছেই। আগের যুগে বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গেলে পাত্রী চিঠি পত্র লিখতে পারে কিনা যাচাই করা হতো এমনকি হাতের লেখাও দেখা হতো সুন্দর কী না। বর্তমান ডিজিটাল যুগে কনে কম্পিউটারে কতটুকু পারদর্শি তা জানার রেওয়াজ এসে গেছে। হাতের মাধ্যমে চিঠি লেখার প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় না লিখে লিখে অনেকেরই হাতের লেখা বসে যাচ্ছে অথবা হাতের লেখা ঝালাই দিতে পারছেননা।

আর ডিজিটাল এ যুগে ক্রমশঃ হারিয়ে যাচ্ছে চিঠি লেখার অভ্যাস \ লেখকঃ সভাপতি, সিলেট লেখক ফোরাম।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.